নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্পী ফেরদৌস আরা’র সাথে তারেক রহমানের রাত কাটানোর নেপথ্যে…

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

রাজনীতিবিদ দের অযাচিত কর্মকান্ডের ওপর গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘বার্ডস আই’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান চার দলীয় ঐক্য জোটের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদে ‘হাওয়া ভবন’ এর সে সময়ের কর্ণধার ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে অযুত নারী সঙ্গ উপভোগ করে দিন কাটাচ্ছিলেন।সদ্য প্রয়াত মামা সাঈদ ইস্কান্দারের চাইতেও চরিত্রহীন হয়ে পড়া তারেক রহমানের সে সময়ের রঙ্গীন দিনগুলো উপস্থাপনে ‘বার্ডস আই’ এর আজকের আয়োজন দেশের জনপ্রিয় দল বিএনপির ভবিষ্যৎ কান্ডারী তারেক রহমান কে ঘিরেই। যেখানে বরাবরের মত দেশের একমাত্র রাজনৈতিক অনলাইন ও রিসার্চ পোর্টাল জননেতাডটকম এর সাহসীকতার কাছে ঋণী থাকছে ‘বার্ডস আই’।

সূত্রমতে,তারেক রহমান, ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন না। এ স্কুল থেকে অন্য স্কুল- এভাবেই কেটে গেছে। বাবা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন পিতা হিসাবে আর ১০ জনের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। তাই দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়েও পুত্র তারেকের স্কুলের অকৃতকার্যের খবরে অন্যান্য সাধারন ছাত্রের পরিনতির মতো তারেককেও একই ভাগ্য গুনতে হত।

এদিকে মাতা বেগম খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ১৯৯১ সালে কাকতালীয় ভাবে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধান মন্ত্রী হন। জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসাবে সে সময় অতি তরুন থাকায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন ধারণা তখন অর্জিত হয়ে ছিল না তার। কিন্তু তিনি দেখেছিলেন তার মায়ের ব্যক্তিগত ও দলের নানান সাদা-কালো ও রঙ্গীন অধ্যায়।

অন্যদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে সেবার বড়সড় ভুমিকা রাখেন তারেক জিয়া।তখন মাতা খালেদা জিয়াকে একরকম হুংকার দিয়ে বলেন, তুমি ও তোমার প্রিয়জনেরা দেশ চালাও ঠিক আছে কিন্তু ভবিষ্যতের রাজনীতি, গবেষণা ও নানান সাংগঠনিক কাজে বিকল্প আরেক টি নেপথ্য শক্তি গড়ে তোলা হবে। সে ধারাবাহিকতায় খুলনার অর্থ শক্তির নেতা আলী আজগর লবীর রাজধানী ঢাকার বনানীস্থ ‘হাওয়া ভবন’ এক সময় চার দলীয় ঐক্য জোটের সরকার ছাপিয়ে ‘হাওয়া ভবন শাসিত সরকার’ হয়ে পড়ে।

খুব ভালো নিয়তে ‘হাওয়া ভবন’ এর যাত্রা শুরু হলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে ভবনটির বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা রাজনৈতিক স্টাফ, যুব নেতাদের অযাচিত কর্মে ও অসৎ সঙ্গে তারেকের চরিত্রের নৈতিক স্খলন প্রকট ধারণ করে দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। পরিবারের অপরাপর সদস্যদের মতই তিনিও নিজেকে ভীন লিঙ্গের প্রতি দুর্বল রাজনীতিক হিসাবে তার জাত চেনাতে থাকেন।

পুরোনো বন্ধু গিয়াস উদ্দীন আল মামুন, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, লুৎফর রহমান আজাদ, লুৎফুজ্জামান বাবর সহ প্রমুখ- সবাই তাকে বিভিন্ন সময়ে দেশের সিনেমার নায়িকা,গায়িকা,মডেল উপহার দিয়ে নিজেদের কাজ বাগিয়ে নিতেন। সাবেক প্রতি মন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ছিলেন তার আন্তর্জাতিক সফরের প্রধান নারী সরবরাহকারী।

জিয়াউল হক জিয়া ও বগুড়ার আরেক জিয়া( জিয়াউল হক মোল্লা- সাবেক সংসদ সদস্য) সমসাময়িক এক বৈঠকে ‘বার্ডস আই’ এর দুজন ক্যাডেট কে ভারতে যেয়ে তারেক কীর্তির কথা অকপটে বলতে থাকেন। তারা পৃথক ভাবে বলেন সময়টা ছিল ২০০৩ ও ২০০৪ সালের দিকে। হোটেলে উঠেই তিনি নির্দেশ দেন, আমার বলিউড নায়িকা লাগবে। বাধ্য হয়ে সে নির্দেশ পালন করতে ছুটোছুটি করতে হয়েছিল।

অন্যদিকে সে সময় তারেক রহমানের বনানীতে আরেকটি বিশেষ হাউজ ছিল। যা তিনি আমোদ স্ফূর্তির জন্যই ভাড়া নিয়েছিলেন। অনেক কষ্ট করে ঐ হাউজের দায়িত্বে থাকা ‘দুলাল’ ও ‘শিশির’ কে বার্ডস আই খুঁজে বের করে। যেখানে তারা স্বীকার করে, বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সুন্দরী পড়ুয়া সর্ব নিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি যোগ্যতার ঐ সকল মেয়েদের বায়োডাটা তখন গ্রহন করা হত শুধু তারেক রহমানের জন্য।

তারেক রহমানের ঘরে পড়াশোনা করা ও সুন্দরী স্ত্রী থাকলেও মুলত পরিবারের অপরাপর সদস্যদের প্রভাবে তিনি নষ্ট চরিত্রের মানুষ হয়ে পড়েন বলে জান গেছে। এ বিষয়ে কেও তাঁকে নিজেদের কারনেই বারণ করে নি। পরিবারের সবচেয়ে বড় অভিভাবক এক প্রকার বড় মামা সাঈদ ইস্কান্দার-ই ছিলেন।

সদ্য প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী হিসাবে “নাসরিন সাঈদ ” সামাজিক ভাবে খালেদা জিয়ার পাশে দেখা গেলেও ঘরের খবর ভিন্ন। জীবদ্দশায় সাঈদের বিয়ে ছিল মোট তিনটি। প্রথম, নাসরিন সাঈদ রীতা। দ্বিতীয়, লুডমিলা নামক এক এয়ার হোস্টেজ- যিনি এখন প্রবাসী। আর তৃতীয় স্ত্রী এখনও ঢাকায় বসবাস করেন, যার নাম কলি বেগম। মডেলিং করেছেন দু’একটি। ইসলামিক টেলিভিশনে কোনো নারীর পর্দায় দেখার সুযোগ না থাকলেও মাধ্যমটির চেয়ারম্যান হিসাবে তার কক্ষে ঐ কলি বেগম বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবস্থান নিতেন। অফিস কক্ষের পাশেই মামা সাঈদ ইস্কান্দারের আলাদা বিশ্রাম কক্ষ ছিল এবং ‘কলি’ বেগম কে নিয়ে ওখানেই থাকতেন দিনের বেলায় সাঈদ ইস্কান্দার। কলি বেগম স্বামী মৃত্যুর পর বিষয়- বৈষয়িক ঠকেছেন। যদিও খালেদা জিয়া তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তোমাকে দেখা হবে। কলি বেগম রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ব্রাইটন হাসপাতালের সাথেই একই উচ্চতার ভবনের লিফটের ১৫-তে থাকেন। ঐ ভবনের সকল সিকিউরিটি গার্ড তাকে খালেদা জিয়ার ভাই এর বউ হিসাবেই চিনে।

এসব ঘটনার সাথে পারিবারিক অন্যান্য নির্মমতা তারেক কেও নষ্ট করে ফেলে। বিএনপির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি এই তারেক রহমানের অযুত নষ্টামির খবর তথ্য ও প্রমান সহকারে রয়েছে ‘বার্ডস আই’ এর নিকট। যার মাত্র একটি আজ তুলে ধরা হচ্ছে।

দেশের বরেণ্য নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা’র সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তারেক রহমানের। সময়টা ঐ দোর্দণ্ড প্রতাপের ‘হাওয়া ভবন’ এর অসীম ক্ষমতার মেয়াদে। শিল্পী ফেরদৌস আরা’র স্বামী ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা। বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ে নিজের স্বামীর জন্য তদবির করতে গেলে ফেরদৌস আরা স্বভাবতই তারেক রহমানের ক্ষপ্পরে পড়ে যান। এক রাতের জন্য তারেক রহমানের কাছে এসে ফেরদৌস আরা বেশ কিছু দিনের জন্য বেড পার্টনার হয়ে পড়েন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.