![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
এবার ল্যান্ডফোন শুধু কথা বলার জন্যই ব্যবহার হবে না। ল্যান্ডফোন দিয়ে ভয়েস-ডাটা ও ভিডিও সুবিধা পাওয়া যাবে। ঢাকায় কয়েকটি এলাকায় ত্রিমাত্রিক সুবিধা চালু করেছে বিটিসিএল। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে একটা সংযোগ দিয়েই এই তিনটি সেবা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের পুরনো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন (১৭১ কেএল) প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি এই সেবার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) শেরে বাংলা নগর এক্সচেঞ্জে এক লাখ ৭১ হাজার নামে পরিচিত প্রকল্পের আওতায় ত্রিমাত্রিক সেবা দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা শহরের পুরনো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন (১৭১ কে,এল) প্রকল্পটি ১৯ জুলাই ২০০৯ সালে বিটিসিএল পরিচালনা পর্ষদের ১৮তম সভায় অনুমোদিত হয়। বিটিসিএলর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা শহরের পুরনো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এজন্য প্রচলিত কপার কেবলের ব্যবহার সীমিত রেখে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যন্ত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ভবন, এমনকি বাসা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিফোন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে আমদানিকৃত বৈদেশিক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং টেস্টিং ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে উত্তরা, গুলশান, শেরে বাংলা নগর, রমনা, মগবাজার, নীলক্ষেত, মিরপুর, বাবুবাজার, চকবাজারসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এক লাখেরও বেশি টেলিফোন যে কোন সময় চালু করা যাবে। প্রাথমিকভাবে আট ডিজিটে পরিবর্তন ও এ সেবা কেবল মিরপুর ডিওএইচ এলাকায় চালু হচ্ছে। পরে সেটি রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও ঢাকা শহরের পুরনো টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে এ সেবার আওতায় গ্রাহকরা ভয়েসের সঙ্গে ডাটা এবং ভিডিও ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশের সব মানুষের কম বেশি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম অর্ধকে নামিয়ে আনা হয়েছে। মহাজোট সরকার দূরদৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে দেশের জনগণ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রযোগের সুফল সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে, তথ্য প্রযুক্তি আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে দেশের প্রতি প্রান্তে পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে। দেশে এখন ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে চার কোটিরও বেশি মানুষ। দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ল্যাবরেটরি তৈরি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রতিবছর পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে।
©somewhere in net ltd.