![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
২০০৬ সালে ১/১১ এর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলো, তারা তাদের আইনসম্মত ৩ মাসের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে দুই বছর পর্যন্ত বারিয়েছিল। শোনা যায়, অগণতান্ত্রিক মাইনাসের ফর্মুলা নিয়ে তারা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আরেকবার অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা চর্চার নজির স্থাপন করলো এবং তত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসাবে দেখা দিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুজ্জীবন ও সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গীবাদীদের উচ্ছ্বেদ করার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করলো। ২০১৩ সালের নির্বাচনে কোন সংলাপ-সমঝোতায় রাজী না হয়ে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে মানুষ হত্যার অপরাজনীতি শুরু করলো। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারলো না। মহাজোট সরকার পুনঃনির্বাচিত হয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করার বৈধতা পেল। ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মূলতঃ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র পাল্টে যায়, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নয়নের দৃষ্টিগোচর চিত্র ইতোমধ্যে মানুষের নিকট প্রতিফলিত হতে শুরু করেছে।
২০০৮ সালের মহাজোট সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক পতন ঘটানোর কর্মসূচিও বাস্তবায়ন হচ্ছে পাশাপাশি। সেকারণে স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীও হাত পা গুটিয়ে বসে নেই। তারা আবারও ফিরে আসার চেষ্টা করছে, আর তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে বিএনপিও সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক পতনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে এক হয়ে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুজ্জীবনের অনিবার্য ও চূড়ান্ত এই সংগ্রামে সবাইকে সচেতন থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাস্ত ও প্রতিহত করতে হবে।
©somewhere in net ltd.