নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় বড় জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র ও কিছু কথা

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ আগস্ট এক শোকসভার আলোচনায় বলেছেন, বড় বড় জায়গা থেকে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে; তাই এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তাঁর এ কথার সত্যতা উন্মোচিত হয়েছে গত মাসের কিছু ঘটনাপ্রবাহে। যেমন, নয়াদিল্লীভিত্তিক ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ নামক তথাকথিত সংগঠন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে অবতীর্ণ হয়েছে। ৬৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এর সঙ্গে রয়েছে ১৩টি পরিশিষ্ট। পরিশিষ্টগুলো গুম-খুন-ক্রসফায়ারের তথ্যে পূর্ণ। রিপোর্টটির প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় ‘র্যা বে’র আলোকচিত্র সংযুক্ত হয়েছে। জুন মাসে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্ভবত ২০১৩ সালের শেষভাগে তৈরি করা। এই রিপোর্টে উপস্থাপিত অধিকাংশ তথ্য-উপাত্ত ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সংগৃহীত হয়েছে। ওই একই সময়ে আদিলুর রহমান ‘র্যা বে’র বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রকাশনা বের করেন এবং বেগম খালেদা জিয়াও ‘র্যা ব’ বাতিলের দাবি তোলেন। সে সময় প্রস্তুত করা রিপোর্টই বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হয় এ মাসে। শান্তি মিশনে সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যে কোন সংস্থার সদস্যদের সম্পৃক্ততা কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে নয় বরং তার সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত থাকে। শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যে অর্থ উপার্জন হয় তা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হয়। আর রাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনীর সরঞ্জাম অন্য দেশে নিয়ে ব্যবহারের ভাড়া বাবদ বিপুল অর্থপ্রাপ্তি ঘটে। রাষ্ট্রের এই উপার্জন অন্য কোন দেশের কাছে চলে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশকে গভীর সঙ্কটে ফেলা। এজন্য কেবল ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ নামক অপশক্তি নয় এর পেছনে অন্য কোন দেশের ইন্ধন থাকাটা স্বাভাবিক। বলা যায় এদেশের রাজনৈতিক দল, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা, বিদেশী সরকার এবং নানারকম আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত হয়েছেন এদেশের কতিপয় সুশীল সদস্য যাঁরা ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’কে সমর্থন দিয়ে টিভি পর্দায় এন্তার কথা বলছেন আর পত্রিকায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করছেন। ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর প্রতিবেদনজুড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর কিলিং সম্পর্কে বিচিত্র-বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সংস্থাটির অফিস দিল্লীতে। সেক্ষেত্রে এদেশের সরকার বিরোধী সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান। পরিশিষ্টের দীর্ঘ তালিকার দিকে লক্ষ্য রেখেই বলা চলে, হত্যাকা- কেবল পুলিশ কিংবা র্যাীবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে হয় না বরং পারিবারিক, ব্যক্তিগত ঘটনা জড়িত থাকে হত্যাকা- সংঘটনে। বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটের ক্রাইম রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় ২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নথিভুক্ত খুনের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে খুন হয়েছে ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ। ২০০৭-০৮ এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজার। ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর প্রতিবেদনে দেখানো ‘র্যা ব’ কর্তৃক ৭৫৩ জন (২০০১-২০১৩) ক্রসফায়ারে হত্যার সংখ্যার সঙ্গে এ পরিসংখ্যানের অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় এটি! বর্তমান সরকার কি গণবিরোধী শাসক? র্যা বের কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে জনগণের মঙ্গলের জন্য। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার আপনজন নিহত হলে আমরা কি বলব? প্রতিটি ব্যক্তির বেডরুম পাহারা দিতে সরকার পারবে না এটা আমরা জেনে গেছি; জনে জনে মানুষের নিরাপত্তা দিতেও সরকারকে বেগ পেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ অন্যতম উপায় হতে পারে। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ‘র্যা বে’র মতো এলিট ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ এ ধরনের ফোর্স সামাজিক অবক্ষয় ও বিচার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আরও বেশি আস্থাশীল সংস্থায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শক্তিশালী চক্রান্তকারী গোষ্ঠী অপপ্রচার শুরু করেছে। নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ গত ২১ জুলাই (২০১৪) র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)-এর পুনর্গঠনের পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব এ বাহিনীকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছে। ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংস্থাটি প্রচার করছে যে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যা ব কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ করে র্যা ব ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে কাজ করছে। অথচ সকলেই জানেন বর্তমান সরকার র্যা্ব পুনর্গঠন ও একে জবাবদিহির আওতায় এনেছে। এ সংস্থার দোষী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। অর্থাৎ র্যাাবের জবাবদিহিতা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন অপপ্রচার। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যখন মন্ত্রিপরিষদ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল, তাদের হাওয়া ভবনের স্বঘোষিত যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্ট জঙ্গীদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা করিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ কোথায় ছিল? তখন তারা সেই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেনি কেন? ২০০১ সালের নির্বাচনউত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হিন্দু-খ্রীস্টান-বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছিল জামায়াত-বিএনপি, হত্যা-ধর্ষণে মেতে উঠেছিল তারা। তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ কোথায় ছিল? ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচনের আগে জামায়াত-বিএনপি প্রায় প্রতিদিন বোমা মেরে, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর কোন মাথাব্যথা ছিল না কেন? আসলে সংগঠনটি বাংলাদেশের বাইরে থেকে এদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। ফলে তাতে ভ্রান্তি থেকেই যায়। তাছাড়া রয়েছে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর প্রচারণা। সেই অপপ্রচারের ওপর ভর করে তারা সাহস দেখায় ‘র্যা ব’কে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করে। একটি জনপ্রিয় সংস্থার প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে না থাকলেও আমাদের মিডিয়া এবং জনমানুষের কাছে তার প্রয়োজন অনেক বেশি। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর পত্র প্রেরণ ও মাথা ব্যথার ঘটনার পর কোন সংবাদপত্র সেই ইস্যুতে কোন সম্পাদকীয় লেখেনি। এমনকি গুরুত্ব দিয়ে সেই সংবাদটি পরিবেশনও করেনি। কারণ ‘র্যা ব’ এখনও জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক। জননিরাপত্তার অন্যতম অবলম্বন। অনুরূপ ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্ট সম্পর্কে। বিষয়টি দেশের কোন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। বরং বিডিনিউজ২৪ডটকম ২৪ জুলাই খবরটি প্রকাশ করেছে ওই সংগঠনের অপপ্রচার ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিষ্কার করার জন্য।‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্টের রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঢাকার সিংহাসনের মূল চালিকাশক্তি বলা হয়েছে। অন্যান্য বাহিনীর ওপর সেনাবাহিনীর সর্বময় কর্তৃত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আরও বলা হয়েছে-বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশের অবস্থান দখল করে থাকলেও এদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছে। ফলে বঞ্চিত বিডিআর বাহিনীর সদস্যরা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করে সেনা কর্মকর্তা নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ ওই ঘটনার বিচার কার্য সমাপ্ত হয়েছে এবং বিদ্রোহের নেপথ্যের অনেক প্রসঙ্গই উদ্ঘাটিত। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও বিপন্ন দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কদাচার নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের কর্তাব্যক্তিদের করা প্রশংসার বিপরীত মন্তব্য। এদেশ থেকে আরও বেশি সৈন্য প্রেরণে গত বছরে (২০১৩) উপস্থাপিত জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষেও এ অভিমত। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সামরিক শাসনের অত্যাচারী ও দখলদার হিসেবে সেনাবাহিনীকে চিহ্নিত করাও অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। কারণ সেখানে পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুসারে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই মর্মে আঘাত করা হয়েছে যে, এই বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মূলত ‘উবধঃয ঝয়ঁধফং’ প্রেরণ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর পরিচালক সুহাস চাকমা (চট্টগ্রামের ভূতপূর্ব বাসিন্দা) দাবি জানিয়েছে, জাতিসংঘ যেন কোনক্রমেই বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী সদস্য গ্রহণ না করে। কারণ বাংলাদেশ সরকার তাদের ‘ডেথ স্কোয়াড’সমূহকে জাতিসংঘে প্রেরণ করে থাকে। এভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবমূল্যায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে এর সুনাম নষ্ট ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’। একইভাবে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এবং আদিলুর রহমানের ‘অধিকারে’র মতো সংগঠন ‘র্যা ব’কে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, র্যা বে’র শতকরা ৪৪ ভাগ সদস্য সশস্ত্র বাহিনী থেকে নেয়া। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করাই তাদের রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য বলে প্রকাশ পাচ্ছে। অথচ এদেশের সেনাবাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শান্তিরক্ষা সর্বত্রই তাদের বিচরণ সমুন্নত রয়েছে এখনও। ১৯৭১ সালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিত হয়েছিল জনতার সঙ্গে। জাতিসংঘ সনদের ষষ্ঠ অধ্যায়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা এবং সপ্তম অধ্যায়ে শান্তি প্রয়োগের বিধান রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংঘর্ষে লিপ্ত দুপক্ষের সম্মতি এবং মতৈক্যের ওপর ভিত্তি করে শুরু হয়। শান্তিরক্ষা বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ কর্তৃক অনুমোদিত একটি শান্তিচুক্তি বা শান্তি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ পরিবারের সদস্য হয় নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা মিশন এলাকায় বিবদমান দলকে নিরস্ত্রীকরণ, মাইন অপসারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা প্রদান, সড়ক ও জনপথ এবং স্থাপনা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কঙ্গো, নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর প্রভৃতি স্থানে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল নাম। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর মোট ৯৬ সদস্য শহীদ হয়েছেন, পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন ১৪জন। অন্যদিকে ২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয় হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা মোতায়েনের সংখ্যার বিচারেও অনেকদিন ধরে শীর্ষস্থান দখল করে আছে আমাদের দেশ। এই ধারা অব্যাহত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নতের বিধানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর বিশ্বশান্তি স্থাপনের ভূমিকাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করা দরকার। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও শান্তিরক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা হার্ভে ল্যাডসাউয়ের বাংলাদেশ সফর সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিল আরও একবার। অন্যদিকে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’সহ বাংলাদেশবিরোধী সংস্থাগুলো যে অপতৎপরতায় যুক্ত তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। তারা বর্তমান সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর আনুগত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে; শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এদেশের বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে বৈরী সম্পর্ক অনুপস্থিত। একইসঙ্গে অপপ্রচার মোকাবেলায় মিডিয়ার কার্যকর অবদান রাখা জরুরী। ২৬ জুলাই প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী শাহদীন মালিক বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী নিয়োগ না দেয়ার জন্য বর্তমান বাংলাদেশ সফরকারী হার্ভে ল্যাডসাউ বরাবর দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে ২৫ জুলাই (২০১৪) আদিলুর রহমান বিডিনিউজ২৪ডটকম-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর ২৬ জুলাইয়ের ওই সংবাদ সম্মেলনে ৩০ আগস্ট (২০১৪)-এর পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। এসব চিহ্নিত ব্যক্তি বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতোই কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রকাশনা ও মন্তব্য করে দেশবাসীকে শঙ্কিত করে তুলেছেন। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে মিডিয়া ও সমাজের বিশিষ্টজনদের।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.