![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা মন্ত্রী পরিষদে পাশ হয়েছে। আন্দোলনের আর কোন যুতসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে সেটা নিয়ে মাঠ সরগরম করার পায়তারা করছে বিএনপি। বিএনপি একটা ইস্যু ধরে, আবার সেটা ছেড়ে আবার আরেকটা। আরেকটার আড়ালে হারিয়ে যায় আগেরটা। মূল বিষয় হলো, যাদের আন্দোলন করার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নাই, তারাই শুধু আন্দোলনের সাগরের অতল গহ্বরে পড়ে হাবুডুবু খায়। গত ৬ বছর থেকে শুধু আন্দোলনের সাগরে বিএনপি শুধু এভাবে হাবুডুবুই খেয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে তারা সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করছে। তাদের বক্তব্য, সম্প্রচার নীতিমালা নাকি গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার জন্য করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, তাহলে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার জন্য একটা নীতিমালা হাজির করুন জাতির সামনে। পারবেন কি সেটা? দেশে প্রায় অর্ধ শতাধিক টিভি চ্যানেল অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। সাথে আছে বেতার, এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও; যার সম্প্রচারের সাথে জড়িত। এতোগুলো সম্প্রচার মাধ্যম যেখানে বিরাজ করছে, সেখানে তো একটা নীতিমালা থাকাই স্বাভাবিক। এই আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। হঠাৎ করে এই নীতিমালা তৈরী করা হয়নি। নীতিমালা তৈরীর জন্য গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারা একটি খসড়া নীতিমালা তৈরী করে, যে খসড়াটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া ছিল জনগণের মতামত নেয়ার জন্য। বিএনপি কি কোন মতামত দিয়েছে? সম্ভবতঃ না। যখন মতামত চাওয়া হয়েছিল, তখন মতামত না দিয়ে এখন কেন সেটা নিয়ে তারা মাঠ গরম করতে নামছে, প্রশ্ন আসা কি স্বাভাবিক নয়? কি আছে সম্প্রচার নীতিমালায়। মোটা দাগে বলা হয়েছে জনস্বার্থ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনুস্ঠান প্রচার নিশ্চিতকরণের জন্য সম্প্রচার নীতিমালা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে সরাসরি বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য বা মতামত প্রচার করা যাবে না। বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য তথ্য উপাত্ত পরিহার করতে হবে। সকল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনী অথবা আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ, বিদ্রুপ, অবমাননা করা যাবে না। ইত্যাদি, ইত্যাদি। এই নীতিমালার আলোকে আইন তৈরী করা হবে, যেখানে নীতিমালাগুলোর ব্যাখ্যা থাকবে। আইন তৈরীর জন্য গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে, যার খসড়া আইন প্রণয়ন করবে। খসড়া আইনটি ওয়েবসাইটে জনগণের মতামতের জন্য দেয়া হবে। তারপর আইনটি চূড়ান্ত হলে সেই আইনের ভিত্তিতে স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে, যারা সম্প্রচার নীতিমালা, আইনগুলোর ভিত্তিতে গণমাধ্যমের কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রচার নীতিমালা তৈরীতে যেমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে, তেমনি সম্প্রচার সংক্রান্ত আইন তৈরীতেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরন করা হবে, যেখানে মতামত দেবার প্রচুর সুযোগ থাকছে। কিন্তু মতামত না দিয়ে শুধু মুখরোচক বাক্য ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে যারা পারদর্শী, মূলতঃ তারাই সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য থাকলে নীতিমালাটি পড়ে কোন কোন অনুচ্ছেদ বা ধারা গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ কিভাবে করবে, তা জনগণের সামনে বলুন। কিংবা বিকল্প একটা নীতিমালা হাজির করুন। শুধু শুধু যারা মিথ্যা আর অসত্যকে মানুষের সামনে প্রচার করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়, তারাই মূলতঃ ভয় পাচ্ছে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাকে।
©somewhere in net ltd.