![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের মৌলবাদীরা পাকিস্তানী বুর্জোয়াদের অংশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অংশটি পাকিস্তানের সশস্ত্র-বাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাঙালীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যুদ্ধে পরাজিত হবার পর মৌলবাদী বুর্জোয়ারা জামায়াতে ইসলামী নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিভিন্ন নাম ধারণ করে বাংলাদেশের ভূতলের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা শুরু করেছে। মৌলবাদী বুর্জোয়াদের প্রকাশ্য রাজনীতির অংশ হচ্ছে : জামায়াত ,হেফাজত এবং বিএনপি।. ইসলামী ব্যাংকের মতো বিভিন্ন অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউশন; মাদ্রাসা ও বিভিন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষায়তনিক ইনস্টিটিউশন। এ সব অর্থনৈতিক ও শিক্ষায়তনিক ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের লিবারেল কাঠামো নড়বড়ে করে দিচ্ছে এবং ভূতলের মৌলবাদী সংগঠনগুলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। ইসলামী মৌলবাদের বিভিন্ন ধরনের কর্তৃত্ব ক্ষমতার বিভিন্ন দিক স্পষ্ট করে তুলছে। ক্ষমতার এ সব দিক মৌলবাদী হেজিমনির বিভিন্ন দিক। রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের যায়গায় মৌলবাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে। মৌলবাদী বুর্জোয়ারা সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে হেজিমনির লড়াইতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে । এ প্রতিযোগিতার এক দিক হচ্ছে প্রকাশ্য, অপর দিক হচ্ছে ভূতলের। এই দুই দিক কেন্দ্র করে মৌলবাদীরা নিজেদের সংগঠিত করে তুলেছে। এ সংগঠন প্রক্রিয়া কিংবা মবিলাইজেশন প্রক্রিয়া সশস্ত্র, সশস্ত্রতা হচ্ছে পপুলার কনসেপ্ট আদায় করার অন্য নাম। মৌলবাদীরা সশস্ত্র ও জঙ্গী; প্রকাশ্যে ও গোপনে ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির স্পেস দখল করার চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেছে। এই চেষ্টার ভিন্ন নাম মৌলবাদী সন্ত্রাস। মসজিদ থেকে মসজিদে, মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসায় এই সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে, পুরুষ দখল করে নিয়েছে প্রকাশ্য স্পেস আর নারীদের ঠেলে দেয়া হয়েছে আবরু রক্ষা করার দায়িত্বে। এর অর্থ হচ্ছে পুরুষ নারীদের ওপর হাত বাড়াতে পারে, আর নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে, অ-প্রকাশ্য স্থানে। এই অবস্থান তৈরি করার জন্য ধর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে। নারীরা রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সাব-অলটার্ন এর বাসিন্দা হতে বাধ্য হচ্ছে। এই বাধ্যতার উৎসব আরোপিত সন্ত্রাস : পুরুষতন্দ্রের প্রকাশ্য এই জবরদস্তি ইসলামের অপব্যবহার।
©somewhere in net ltd.