নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময়ী ও সুযোগ সন্ধানী নেত্রী মোশরেফা মিশু, শ্রমিক অসন্তোষ তৈরী করাই যার মূল লক্ষ্য

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে গার্মেন্টস শিল্পের ওপর ভর করে। শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো টাকায় আমাদের দেশের উন্নয়ণ হয়। শ্রমিকদের দুঃখে দেশের সরকার যতোটা না বিচলিত হয়, তারচেয়ে বেশি বেচইন হয়ে পড়ে বিপ্লবী চেতনাধারী বিরোধী রাজনীতিদলগুলো। বিরোধী দল সব আন্দোলনকেই নিজেদের ব্যানারে ব্যানারিত করে ফেলে নিমিষেই। এখানেও তা-ই হয়েছে। কার্টুন এঁকে, প্ল্যাকার্ড বানিয়ে মুহুর্তেই আন্দোলনকে চাঙ্গা করে রাখছে তাদের দলীয় স্বার্থের কারনে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে কাজ করেছে সবাই, কিন্তু এই শ্রমিকদের ঈদ শেষ হয়ে গেছে এক সুগভীর চক্রান্ত আর দূর্বৃত্তায়নের কারনে। এমনই একজন চক্রান্তকারী হচ্ছে বিরোধীদলের দোসর মোশরেফা মিশু !!! তিনিই এখন তোবা গার্মেন্টস আন্দোলনের নেত্রী। ২০১০'র দিকে সিইপিজেডে ইয়ংওয়ান ফ্যাক্টরীতে অসন্তোষ লাগানোর পেছনে কলকাঠি নাড়নেওয়ালাদের অন্যতম এই মহিলা। নতুন বেতন স্কেলের দাবীতে গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে আন্দোলন শুরু হয় হঠাৎ করেই। ইয়ংওয়ানসহ চট্টগ্রাম ইপিজেড এর অনেক কারখানায় একযোগে শুরু হয়ে যায় অসন্তোষ। তীব্র এই আন্দোলনের ফলে ইয়ংওয়ানের কর্মকর্তাদেরকে বন্দী করে মারধোর করা হয়। এতে চারজন কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে পুলিশ। কিন্তু শ্রমিকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আমরা শুনেছি ৮/৯ জন কর্মকর্তা নিখোঁজের খবর। আহত হয় শতাধিক। এছাড়া মেশিনারীজ ভাংচুরও হয় কোটি কোটি টাকার। উক্ত গন্ডগোল চলাকালীন সময়ে শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে অবস্থান করছিল। ইয়ংওয়ানের গন্ডগোলের পরে গোপনে চট্টগ্রাম ত্যাগ করার পর ঢাকার ভূতের গলির এক বাসায় অবস্থান করেন এই মোশরেফা মিশু। শ্রমিক কল্যাণের নামে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত এই নেত্রী। গার্মেন্টস ব্যবসায় বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্ধী অন্যান্য দেশগুলোর সাথে তার গোপন আঁতাত রয়েছে। যার মূল লক্ষ্য বাঙলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরিবেশ বিনষ্ট করা। নিজেকে প্রাক্তন গার্মেন্টস শ্রমিক দাবি করা এই শ্রমিক নেত্রী কোনো গার্মেন্টসে কাজ করেনি ইতিপূর্বে। শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ আদায় করা হতো তার নামে অনেক কারখানা থেকে। এছাড়া মালিক পক্ষ থেকেও অর্থ আদায় করা হত শ্রমিক অসন্তোষ তৈরী করার হুমকি দিয়ে। এ ধরনের সুযোগ সন্ধানীরা আমাদের গার্মেন্টস শিল্পকে খাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এরা অন্যের পা চেটে স্বার্থ হাসিল করার সুযোগে থাকে সব সময়। কোনো রাজনৈতিক দল এবং সুযোগসন্ধানীরা তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে না পারে, সেদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি দেয়া উচিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.