![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে ভাল প্রবৃদ্ধি থাকায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ ২ হাজার ২শ’ কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছেছে। এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ আবারও নতুন রেকর্ডে বা উচ্চতায় অবস্থান নিয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই রিজার্ভ পাকিস্তানের তুলনায় দ্বিগুণ। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় অর্থনীতির সার্বিক সূচকগুলো বর্তমানে ইতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। রপ্তানি আয়, আমদানি ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। রিজার্ভ বিপদের বন্ধু, দুর্দিনে নয়, সুদিনেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ফলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে। অর্থনীতির এ ধারাবাহিক সাফল্য আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃহস্পতিবার দিনশেষে ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছাড়িয়ে যায়। মূলত দেশের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্সে গতি, বিদেশ থেকে কর্পোরেট ঋণগ্রহণ ও আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় এ রিজার্ভ বেড়েছে। রিজার্ভের এ অর্থ দিয়ে দেশের জন্য সাত মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ১৪৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে ২০১২ সালের অক্টোবরে ১৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। ২০১৪ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) রেমিটেন্স বাবদ দেশে এসেছে ৮৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। এই অর্থ ২০১৩ সালের প্রথম সাত মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। এক সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নিচে ছিল। বর্তমানে এই রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয়ের সমতুল্য পর্যায়ে উঠানো নিঃসন্দেহে এক বড় অর্থনৈতিক সাফল্য। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছে- উচ্চমাত্রার বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তারই প্রমাণ।
©somewhere in net ltd.