![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
শেখ হাসিনার কণ্ঠে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দটি শোনার পর সবারই প্রশ্ন- এ দিয়ে কী বোঝানো হচ্ছে? জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তা নিশ্চয়ই আমরা তার কাছ থেকে এক সময় জানবো। এ দেশের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষ যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে সেটি হলো এমন : ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র, যার মুখ্য চালিকাশক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি। তথ্যযুগ বা ডিজিটাল যুগ যে নামেই আমরা ডাকি না কেন, কৃষি ও শিল্প যুগের পর মানবসভ্যতার জন্য আসা এ যুগের সার্বিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নত দেশ হিসেবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জীবনযাত্রার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর জীবনধারা গড়ে তুলে পুরো জাতির জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য। শেখ হাসিনা তার দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করার সময় দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেন। প্রথম দিকে শেখ হাসিনার এই বক্তব্য কারও কারও সমালোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। কিছু বুদ্ধিজীবী, কমপিউটার শিল্পের লোকজন এমন কথা বলার চেষ্টা করেন যে, প্রসঙ্গটি ইউটোপীয়। রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যটিকে ব্যঙ্গ করে তাকে প্রথমে এনালগ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। কোন কোন বুদ্ধিজীবী বলার চেষ্টা করেছেন, আমরা কি এনালগ বাংলাদেশে আছি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে? ডিজিটাল বিষয়টি এখন সারা দুনিয়ার প্রবণতা। একটি ডিজিটাল দুনিয়া গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে কি অবিশ্বাস্য গতিতে বিকশিত হচ্ছে।১৯৯৬ থেকে ২০০১ সময়ে শেখ হাসিনা দেশটিকে একুশ শতকের উপযুক্ত করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করেন। তার শাসনকালের সময়টিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত আছে আমাদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনেক বিষয়। এসবের মাঝ থেকে শেখ হাসিনার চলতি মেয়াদের সরকারের জন্য তিনটি অগ্রাধিকার বেছে নেয়া যায়। প্রথম অগ্রাধিকারটি হলো ডিজিটাল সরকার, পেপারলেস গভর্নমেন্ট। এই সরকারের দ্বিতীয় অগ্রাধিকারটি হলো ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা। এই কর্মসূচীতে শুধু বাধ্যতামূলক কমপিউটার শিক্ষাই অন্তর্ভুক্ত নয়, এতে আছে শিশুশ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব পাঠ্য বিষয়কে ইন্টারেকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারে পরিণত করা। প্রতি শিশুর হাতে কমপিউটার এবং প্রতি ঘরে ইন্টারনেট এ কর্মসূচীর আওতায় থাকবে। তৃতীয় অগ্রাধিকারটি হলো ডিজিটাল কমার্স। ব্যবসায়-বাণিজ্য-শিল্প সর্বত্র লেনদেন থেকে যন্ত্রপাতিতে থাকতে হবে ডিজিটাল পদ্ধতি।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিল সে প্রত্যাশা আজ শতকরা ১০০ ভাগ পূরণ হতে চলেছে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য কিংবা মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য যা যা করণীয়, তা সরকার করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.