নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কৃষিতে সর্বোচ্চ সাফল্য

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে মহাজোট সরকার সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে। অতীতে কোন সরকারের আমলে এ রকম অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়নি। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এ পর্যন্ত তিন দফা সারের দাম কমিয়েছে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় টিএসপি সারের মূল্য ছিলো কেজি প্রতি ৮০ টাকা, যা এখন ২২ টাকা। এছাড়া এমওপি ছিল ৭০ টাকা, তা কমিয়ে করা হয়েছে ১৫ টাকা কেজি। ডিএপি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৭ টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।কৃষিতে এমন আশাতীত সাফল্যের পেছনে রয়েছে, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ব্যাপকহারে ভর্তুকি প্রদান, সহজশর্তে কৃষি ঋণ প্রদান, বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ এবং কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত কৃষি খাতে সর্বমোট ৩২ হাজার ১৫০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে । বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিখাতের গবেষণাতেও চমকপ্রদ সাফল্য এসেছে । বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা সোনালী আঁশ পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কার করেছেন। গবেষণা খাতে বাংলাদেশ এখন একটি গর্বের নাম। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় পাটের নাম উচ্চারণ হওয়ার সাথে উচ্চারিত হয় বাংলাদেশের নাম। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সাতটি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষাণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষাণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশপরমাণু কৃষি গবেষাণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষি গবেষণায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিখাতের উন্নয়ন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় অনন্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (FAO) ‘সেরেস’ পদকে ভূষিত করে। অথচ বিএনপি জামাতসহ চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই দেশে শুরু হয় খাদ্য সংকট। ২০০২ সালে থেকে প্রতি বছরই দেখা দেয় ডিজেল ও সারের সংকট। কৃষিখাতে উৎপাদন ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বাজারে খাদ্যস্যের অগ্নিমূল্যের কষাঘাতে সারাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। অপরদিকে সরকারের খাদ্যগুদামে নিরাপদ মজুত গড়ে তোলাও সম্ভব হয় না। আর এ ধারা অব্যাহত থাকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু’বছরেও। দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিপর্যয়পূর্ণ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় খাদ্য সংকট। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর পর-ই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল হিসেবে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বা আরোপ করে। এ লক্ষে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ইউরিয়া ব্যতীত সকল প্রকার সারের মূল্য অর্ধেকে কমিয়ে আনা, ভাল বীজ সহজলভ্য করা, ডিজেলের মূল্যে কৃষককে ভর্তুকী দেয়া, ব্যাংক ঋণ সহজ করাসহ কৃষিতে ভর্তুকী বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে উৎসাহী হয়। ফলে পরবর্তী সবকটি মৌসুমে প্রধান ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। Rice Equivalant of Wage এ দেখা যায় গত ৩-৪ বছরে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ একদিনের মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিক প্রায় আট কেজি চাল কিনতে পারছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকারের নিরলস পরিশ্রম ও সাহসী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে ২০১৩ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.