![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হবার পর নীতিমালাটি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিমূলক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। নীতিমালায় অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনকে অনুৎসাহিত করার কথা আছে, সেটি নিয়ে অনেকে বলছেন, কোনটি অসত্য, কোনটি বিভ্রান্তিমূলক, সেটা বুঝবো কিভাবে? কারা এটি নির্ধারণ করবে? কারো কাছে যেটা অসত্য বা বিভ্রান্তিমূলক, অন্যের কাছে তা সত্যও হতে পারে। এরকম নানামূখী বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এসব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বিএনপি আবার নীতিমালাটি বাতিলের আন্দোলন করবে বলেও জানিয়েছে। এসব সমালোচনা বিভ্রান্তিমূলক, কারণ নীতিমালায় এর পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা থাকার কথা নয়, পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা থাকবে আইনে। এটা জেনে-বুঝে বা না জেনে-বুঝে নীতিমালাটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। পর্যাপ্ত ব্যাখ্যাসহ আইন তৈরী করার জন্য একমাসের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। যারা এতোদিন কোনটি অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক এমন প্রশ্ন তুলেছেন, তারা নিশ্চয়ই এবার আইন প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসবের যথাযথ ব্যাখ্যাসহ আইন তৈরীতে সহায়তা করবেন। আইন তৈরী হলে সেই আইনের ভিত্তিতে স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে, সম্প্রচার কমিশনই সম্প্রচার কার্যক্রম মনিটরিং করবে এবং অভিযোগ পেলে আইনের ভিত্তিতে তারা যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে। কোন সরকার বা মন্ত্রী ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চায় না। এই প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা সম্প্রচার কমিশনের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের বেসরকারি টেলিভিশনের উন্নয়নের জন্যই এই নীতিমালা প্রয়োজন। কিন্তু যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, যারা বলছেন এটা স্বাধীন মতামত প্রকাশকে বাধাগ্রস্থ করবে, তারাই মূলতঃ সম্প্রচার কার্যক্রমকে অন্ধকারের মধ্যে রাখতে চাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.