![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সরকারের এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে অংশ নেবে। এই লক্ষ্যে আগামী ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবেন। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসম্পদ আহরণ, ব্যবস্থাপনা ও সুসমন্বয়ই এই মহাপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। সমুদ্র নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন কার্যক্রমে সমুদ্রে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদেরও যুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাবে সরকার। এছাড়া বাংলাদেশের বাইরে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী সমুদ্র বিশেষজ্ঞ রয়েছে, তাদের এই মহাপরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রয়োজনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের একাধিক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা সমুদ্র অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অনেক সময়ই সমন্বয় ঘটে না। আবার কোন কোন সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এককভাবে সিদ্ধান্তও নিয়ে থাকে। তবে সমুদ্রসম্পদ উন্নয়নে এখন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সরকার থেকে ১৯টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পদ উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আরও মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্পৃক্ত করা হবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সমন্বয়ে একটি বোর্ড বা কমিশন গঠনের কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। আর এই বোর্ড বা কমিশন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে। কেননা দেশের সমুদ্র সম্পদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জড়িত থাকলেও কোন সুনির্দিষ্ট প্রধান সংস্থা নেই। সে কারণে একটি বোর্ড বা কমিশন হলে তার আওতায় সমুদ্রসম্পদের সদ্যবহার করা সম্ভব হবে। সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির ওপর এখন সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্র নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার রাষ্ট্রাধীন সাগর, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে পেরেছে। এবার সেই সম্পদগুলো কাজে লাগাতে বাংলাদেশের নানামুখী উদ্যোগ প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সরকার এখন মহাপরিকল্পনা করার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে। এসকল সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে উন্নয়নের ক্রমধারার অগ্রগতি হবে।
©somewhere in net ltd.