![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ঢেলে সাজানো হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশকে। নানা সমস্যায় থাকা পুলিশের এ বিভাগটিকে আধুনিক করার কাজ চলছে। মহাসড়কে যানজট, দুর্ঘটনা ও নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষের ভোগান্তি কমাতেই সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহাসড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০টি স্থায়ী আউটপোস্ট। ইতোমধ্যেই ২৯টির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে ১১টি। প্রয়োজনীয় জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে আউটপোস্টগুলোতে। বাকি ২১টি নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে হাইওয়ে পুলিশকে মামলা তদন্তের ক্ষমতা প্রদানসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ১১ হাজার ৮০৬ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে ২০৮ ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা) রয়েছে। সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রায় ২১ লাখ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন চলাচল করে। বাস্তবে শুধু মহাসড়কেই প্রায় ২৫ লাখেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে, যা মহাসড়কের পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি। যার কারণে যানজট ও দুর্ঘটনায় অধিক প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে গড়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে গড়ে অন্তত ৫ হাজার মানুষকে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। মহাসড়কের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনা ও অপরাধ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৫ সালের ১১ জুন বাংলাদেশে পুলিশের হাইওয়ে পুলিশ বিভাগ চালু হয়। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হাইওয়ে পুলিশ সৃষ্টি করেছিল, তা সফল হয়নি। উপরন্তু পুলিশের এই শাখা সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা হরিলুট করার অভিযোগ আছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশের হাইওয়ে বিভাগকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি হাইওয়ে পুলিশের জন্য ৫০টি স্থায়ী আউটপোস্ট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। গত ঈদ-উল-ফিতরের আগে ব্ল্যাকস্পট হিসেবে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ আরিচা সড়ককে আইডিয়াল রোড (আদর্শ সড়ক) হিসেবে তৈরি করেছে বর্তমান সরকার।
©somewhere in net ltd.