![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রক্তাক্ত-শোকাবহ জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন করে কেক কেটে উল্লাস করার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নিন্দা জানাই। কোন সভ্যমানুষ এটা পারে কিনা তা বিশ্বাস করা যায় না। জেনারেল জিয়াউর রহমানের মদদেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ কারণেই খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালনের নামে ফুর্তি করেন। যারা জাতীয় শোক দিবসে উল্লাস করে সেই বিএনপিকে শোকের আগস্ট মাসে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের অনুমতি দেয়া উচিত নয়। আগস্ট মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের অধিকার নেই বিএনপির। আগস্ট শোকের মাস। ৩৯ বছর আগে নর পিশাচরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল অথচ এই মাসে ভুয়া জন্মদিন পালনের নামে ফুর্তি ও উৎসব করে বিএনপি। যারা জাতীয় শোক দিবসে উল্লাস করে তাদের আর কোনভাবেই শোকের মাস আগস্টে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী করতে দেয়া যাবে না। আগস্ট মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচী করার অধিকার তাদের নেই। দেশের সব মানুষ আজ বেদনার্ত, শোকাহত। আর এসব শোকার্ত মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ১২টা ১ মিনিটে বিশাল বড় কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে বোঝাচ্ছেন তাদের কাছে এই দিন আনন্দের। বেগম জিয়ার তিনটি জন্ম দিন- একটি বিবাহের তারিখ, একটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়া কালীন, অন্যটি তার পাসপোর্টে রয়েছে। যা তিনি সউদি আরব যাত্রা কালে বহন করে থাকেন। আসলে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংগে সংহতি জানাতে নিজ জন্ম দিন পালন করে জাতির সাথে রসিকতা করেন। তার প্রয়াত স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান এমনি করে রাজাকার আলবদর আলশামসদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের পরিবারের সাথে রসিকতা করেছিলেন। জাতি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে আর হতাশার ঢেকুর গিলেছে।
©somewhere in net ltd.