![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
হতাশ বিএনপি, মাঠ ছাড়া বিএনপি, কোন্দল ও অভ্যন্তরীণ গৃহদাহে বিএনপি। চট্টগ্রামে বিএনপির নেতৃত্বের কোন্দল রীতিমতো এক বাস্তবতা। কেন্দ্রের ঘোষিত কর্মসূচীগুলো কোন রকমে পালন করলেও আন্দোলনের যে ঘোষণা দলীয় চেয়ারপার্সনের রয়েছে তাতে এক হয়ে নামার শক্তি চট্টগ্রাম বিএনপি হারিয়ে ফেলেছে বলেই প্রতীয়মান। চট্টগ্রামে দলের চেয়ারপার্সনের বর্তমান উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যানের কমতি নেই। ক্ষমতায় থাকাকালে চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রিত্ব কম দেননি বেগম জিয়া। একযুগে চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রীর মর্যাদাসহ ৮ জনের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি চট্টগ্রামের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। চট্টগ্রামের নেতাদের যতই ক্ষমতার পদ দেয়া হয়েছে ততই দলের কপাল পুড়েছে। দলটি জন্মের পর থেকে চট্টগ্রামে নেতাদের অভ্যন্তরে গৃহদাহ যে শুরু হয়েছে তা যেন অব্যাহত গতিতে চলছে। জিয়া যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় তখন জামালউদ্দিন ও ব্যারিস্টার সুলতান গ্রুপের ভয়ানক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ দ্বন্দ্ব মেটাতে খোদ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু সফলতা তো পানইনি, উল্টো বিপদগামী কিছু সেনা সদস্যের হাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তার মৃত্যুর পরও বিএনপির কোন্দল থামেনি। বিএনপি রাজনীতির পথ পরিক্রমায় চট্টগ্রামে এ দলটি এবং এর অঙ্গসংগঠনসমূহেও কোন্দল আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কোন্দলে এতই জর্জরিত যে গ্রুপিং, মারামারি, হানাহানি লেগেই রয়েছে। সরকারী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার চেয়ে নিজেদের আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডই প্রতিনিয়ত প্রাধান্য পাচ্ছে। নগরীতে দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চেয়ার মারামারি থেকে শুরু করে হেন ঘটনা নেই যা ঘটছে না। মহানগরে এক সময়ের চরম বৈরী সাবেক দুই মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এখন এক পতাকাতলে এসে সাবেক আরেক মন্ত্রী বর্তমান নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রুপিংয়ে লিপ্ত। এর পাশাপাশি নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাতের সঙ্গে সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দৃশ্যমান কোন্দলে দুজনে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। আর এতেই জনগণের বুঝতে বাকি নেই যে, বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
©somewhere in net ltd.