![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
কমিটি গঠনের জন্য বৈঠক ডেকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়লেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকার ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মতিঝিলের ৭৪ দিলকুশায় তার অফিস (দেশ জনতা) ভাঙচুরও করে। এ সময় মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকা থেকে বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভার কালাম মারপিটের শিকার হন। মহানগর বিএনপির মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়ে সালাউদ্দিন ১৭ আগস্ট মতিঝিল দিলকুশায় একটি বৈঠক আহ্বান করেন। কিন্তু সেখানে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, বৈঠকের জন্য মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিএনপির সর্বস্তরের নেতাদের চিঠি বিলি না করে শুধুমাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের অনুসারী কয়েকজনের হাতে চিঠি বিলি করা হয়। এদিকে কমিটি গঠনের খবর শুনে চিঠি না পেয়েও বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কমিটির নেতারা বৈঠক স্থলে উপস্থিত হন। সকাল ১১টার দিকে সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই চিঠি বিতরণে লুকোচুরির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা অফিস ভাঙচুর করে। অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি সালাউদ্দিনের নিজ অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধরা জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভারকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সালাউদ্দিন আহমেদকে লক্ষ্য করে ‘ধর, ধর’ বলে ধাওয়া করলে সালাউদ্দিন আহমেদ দৌড়ে পালিয়ে যান। যে সংগঠন নিজেদের দলকেই সামলাতে পারেনা তারা দেশের জন্য কি করতে পারবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
©somewhere in net ltd.