![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পৃথিবীর সব থেকে ভারি হিমালয় মানুষ কাঁধে করে বহন করতে পারে, তবে লাশ বহন করতে পারে না। যখন কোন পিতা পুত্রের দেহকে কাঁধে নেয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন তখন বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না সে লাশ কত ভারি! মনে হয় পৃথিবীর সব কিছুর থেকে ভারি ওই দেহটি। পৃথিবীর সব থেকে ভারি এই মৃতদেহটি বাংলাদেশের দরিদ্র ট্রাকচালককে উপহার দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার সহযোগী জামায়াতে ইসলামী। এ দেহ টঙ্গীতে পেট্রোল বোমায় পুড়ে যাওয়া মনিরের দেহ। তার পোড়া দেহের ছবি দেখলে মনে হয় যেন গোটা বাংলাদেশের মানচিত্রটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর এই পুড়ে যাওয়া মনিরের দেহের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন বাকরুদ্ধ পিতা। পৃথিবীর কোন সভ্য মানুষ এ ছবির দিকে একবারের বেশি দুইবার তাকাতে পারবে না। এই ছবিসহ ৫০ আগুনে দগ্ধ মানুষের ছবি ছাপা হয়েছে ‘রক্তাক্ত বাংলাদেশ’। ২০১৩ সালে জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত মিলে যে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল সেই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা অবর্ণনীয়। ২০১৩ সালে দেশজুড়ে জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত মিলে যে হত্যা, সম্পদ ধ্বংস ও নারকীয় তাণ্ডব চালায়, সে তুলনায় এই দৃশ্য কিছুই নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ খুব দ্রুত ভুলে যায়। কিন্তু খালেদার নেতৃত্বে এই যে খুন ও ধ্বংসযজ্ঞ ৮ মাস ধরে চলেছিল, তা এ দেশের মানুষকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন। যখন পথশিশু লাল মিয়ার পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া কালো শরীরটি দেখবে, তখন কি তাদের মনে হবে না-খালেদা কি মা না? তার কি নিজের সন্তান নেই? এমনি করে কোন রাজনৈতিক নেত্রী তার কর্মী দিয়ে পথের দরিদ্র শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে। তবে সত্য হলো এই দৃশ্যের এ্যালবামটি মানুষ বেশিক্ষণ দেখতে পারবে না। এর সব পাতা ওল্টাতে পারবে না। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। ফটিকছড়িতে মসজিদের মাইকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিলে হামলা করে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়। ঐ ঘটনার পর পরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা বলেছিল-সারাদেশ ফটিকছড়ি হবে। অর্থাৎ তারা চেয়েছিল একাত্তরের থেকেও বড় ও ভয়াবহ গণহত্যা করতে। চেয়েছিল ৩০ লাখের অনেক বেশি লোককে হত্যা করতে।
©somewhere in net ltd.