![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের নিভৃত ও প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নাম হচ্ছে চৌধুরীরহাট মালিকান্দা। এক সময়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য নৌকা ছিল একমাত্র ভরসা। গ্রামের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে নৌকায় করে তাকে সদরের হাসপাতালে নেয়ার পূর্বে অধিকাংশই মৃত্যুবরণ করতেন। লেখাপড়া তা আবার কি! গ্রামের খেটে খাওয়া দিনমজুররা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো তা একটা বিরক্তিকরই মনে করতেন। দুস্থ, এতিম কিংবা অনাথ শিশুদের পড়াশোনা করার তো প্রশ্নই ওঠে না। যে কারণে লেখাপড়ায় অকালেই ঝরে পড়তে শুরু করে ঐসব এলাকার শিশু-কিশোররা। এমন একটি সময় গ্রামের ঝরে পড়া দুস্থ, অনাথ ও এতিম শিশুদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য (১৯৮৩ সালে) এগিয়ে আসেন ঐ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিত কুমার রায়। সেই থেকে অদ্যাবধি অজপাড়া গাঁয়ের দুস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে আবাসন ব্যবস্থাসহ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান (মুক্তিযোদ্ধা রনজিত রায়ের প্রতিষ্ঠিত) বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন অনাথ শিশু সদন। ঐ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষিত যুবকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে সমাজকে ফুলের মতো করে সাজাতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘ফুলের মালা সমাজ কল্যাণ সংঘ’। গত ১৬ বছর ধরে ওই সংঘের সদস্যরা এলাকার নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অবদান রেখে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সহযোগিতায় দেশে আজ অনেক কিছুই পাল্টে গেছে, উন্নত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্তমানে সাজানো-গোছানো বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন অনাথ শিশু সদনসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেখলেই যে কোন মানুষের মন কেড়ে নেয়। জাতির কলঙ্কমুক্ত ও সমাজের কুসংস্কার দূর করতে সমাজের মহানুভব সমাজপতি ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিত কুমার রায়ের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি চলবে আমৃত্যু পর্যন্ত। এ কামনা আমাদের সকলের।
©somewhere in net ltd.