নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরাজিত মেঘের সাম্রাজ্য

মাসকাওয়াথ আহসান

মাসকাওয়াথ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাংক্ষিত স্ট্রিপটিজ

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১২

জগতের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ মানুষ পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক। গত কয়েকটি বছরে এই এক শতাংশ ধনী খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পদ আহরণ করেছে। কথিত নাইন ইলেভেন, ইরাক, আফঘানিস্তান, মিশরের যুদ্ধ ব্যবসা থেকে ঐ একশতাংশের মাঝে ৮০ টি পরিবার শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি করেছে। দরিদ্র আরো হতদরিদ্র হয়েছে।



যে কোন জায়গায় যুদ্ধ ঘটানো গেলে তা ক্রুড অয়েল ও গোল্ড মার্কেটে প্রভাব ফেলে। সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, যাদুঘর ইত্যাদি লুন্ঠন করা যায়, আবার যুদ্ধাহত দেশ পুননির্মাণের ঠিকাদারি ;সব মিলিয়ে এ খুব সহজ মাইন্ড গেম দেদার টাকা কামানোর লক্ষ্যে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের যে মূল চালক তারা ইসরায়েলী; এরা পৃথিবীর ৮০টি ধনী পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো রথসচাইল্ড পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্কিত।



এই ধনী পরিবারটি যুদ্ধের ব্যবসার মাধ্যমে ব্যাংক ও শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণের ভাবনাটি প্রথম নিয়ে আসে পৃথিবীতে। এই পরিবার যুদ্ধ করার জন্য দুই প্রতিপক্ষ উইনস্টোন চার্চিল ও আডলফ হিটলার উভয়কে টাকা দিয়েছিল । এতে যুদ্ধের ভীতিকে কাজে লাগিয়ে শেয়ার বাজার থেকে টাকা লুট ও ব্যাংক-ব্যবসায় মনোপলি তৈরী সহজ হয়েছিল ওই যুদ্ধ ব্যবসায়ী পরিবারের পক্ষে। শীর্ষ ধনী ৮০ টি পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কাউকেই পাত্তা দেয়না। ইসলামী ব্যাংক ও জামাতকে বাঁচানোর জন্য এই ইহুদী-খৃস্টান বলয়টি ক্রমাগতঃ চাপ সৃষ্টি করে চলেছে নানামহলের ওপর।



এরা ডেভিড বার্গম্যান নামে এক ইনফরমেশন হিটম্যানকে ভাড়া করেছে ক্রমাগতঃ বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য। ডেভিড লিখে চলেছে; যদিও লাভ কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু ডেভিড হচ্ছে শিবিরের ফারাবির মত। ফারাবিকে যেমন ৫০ টাকা ফ্লেক্সি করে দিলে বাংলাদেশ সরকার বিরোধী প্রচারণা চালায়; ডেভিডও ঠিক তাই।



এরকম অসংখ্য ডেভিড ঘুরছে; পাউন্ড-ডলার ফ্লেক্সিলোডের বিনিময়ে গোয়েবল-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে।



খুব অবাক লাগে আরেক ডেভিড ক্যামেরন এই ইহুদী-খৃস্টিয় গন্ধগোষ্ঠীর সুঁতোয় বাধা পাপেটের মতো বলে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। সঙ্গে সঙ্গে বিবিসি সিএনএন; আমাদের প্রথম জাজিরা ও গুড মুসলিম স্টারের মতো গেয়ে ওঠে 'ওয়ার এগেন্সট টেরর, ওয়ার এগেন্সট টেরর। অথচ পৃথিবীর ভয়ংকরতম সন্ত্রাসীরা বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। আল-কায়েদা-টিটিপি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী নিশ্চিন্তে লন্ডনে ঘুরে বেড়ায়।



পশ্চিমারা লিবেরেলিজম আর হিউম্যান রাইটস-এর ঝান্ডা নিয়ে দৌড়ায়;অথচ আন্ডা ডেভিড বা টোবি কাডম্যান বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী আর জামাতের পক্ষে দাঁতের মাজন বেচে বেড়ায় প্রকাশ্যে।



অতীতে বিটিভির মতো জগতজুড়ে বিবিসি-সিএন-এন বা নয়াইয়র্ক টাইমস-আমার গার্ডিয়ানের তথ্য বিস্তারে মনোপলি থাকায় যুদ্ধ ব্যবসার এই মাংসের কারবার চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে। কিন্তু মূলধারার অনেক স্থানীয় মিডিয়া ও নিউমিডিয়া বিস্তারের ফলে ফাঁস হয়ে যায় যুদ্ধের রহস্য। যে আল-কায়েদার নাম দিনে একশোবার বলে বুশ-ব্লেয়ার মুখে ফেনা তুলেছে; ধরা পড়ে যায়; ও আচ্ছা ইরাকে-আফঘানিস্তানে আল-কায়েদা এমেরিকা-বৃটেনের শত্রু। কিন্তু সিরিয়ায় তারা বন্ধু!



বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় সিরিয়ার অনুকরণে আল-কায়েদা তথা জামাত ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মেশিনম্যানদের দিয়ে যুদ্ধ বাধানোর ডে-ড্রিম নিয়ে ঘুরছে খৃষ্টিয়-ইহুদী যুদ্ধব্যবসায়ী চক্রটি। উদ্দেশ্য দুটো; ব্যাংক-শেয়ার মার্কেট, প্রাকৃতিক সম্পদের দখল নেয়া। আর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় লালিত ইসলামকে গোটা পৃথিবীর সামনে জামাতে ইসলামের কালি দিয়ে কলংকিত করা।



ব্যর্থ হয়েছে সিরিয়া মৃগয়া; মুখ থুবড়ে পড়েছে মিশন বাংলাদেশ; ইন্দোনেশিয়ার দিকে এগোনোর আর উতসাহ পাচ্ছে না সি আই এ ও এম আই সিক্স-এর ভগ্নমনোরথ ফেলুদারা। আসলে তথ্যের শক্তি ডলার পাউন্ডের চেয়ে বেশী। বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশ ও মূল-ধারার মিডিয়া বুম; উন্মোচন করেছে নানারকম পুতুল নাচের ইতিকথা। জুলিয়ান এসাঞ্জ আর স্নোডেনের মত হুইসেল ব্লোয়াররা কাপড় খুলে দিয়েছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির; সেই সঙ্গে এই ব্যবসায়ী ক্যানিবাল সিন্ডিকেটের বস্ত্র হরণ এখন সময়ের ব্যাপার; এই সেই আকাংখিত স্ট্রিপটিজ; যা আমরা বার বার দেখতে চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.