নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রথম যখন ব্লগিং শুরু করি তখন এর গুরুত্ব বুঝিনি! নিছক খেলা খেলা মনে হতো। এখন বুঝি ব্লগিং এমনকি একটি পেশাও হতে পারে! বাংলায় প্রফেশনাল ব্লগিং এগিয়ে চলুক। সফল হোক জয়যাত্রা।

আশরাফুল ইসলাম (মাসুম)

হঠাৎ করেই ব্লগে লেখা শুরু করা,এখন না লিখে আর থাকতে পারিনা।আজীবন লিখতে চাই....

আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিক চাপমুক্ত হোক আমাদের কর্মজীবন।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৯:২১

কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর জীবনের বেশিরভাগ সময় কর্মক্ষেত্রেই ব্যায় করতে হয়। সব কিছুর উর্ধ্বে জীবিকার কাজকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হয় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়! ব্যাক্তিজীবনের বাকি সবকিছুই যেনো গৌণ হয়ে যায়। সব কিছুর সাথে সমন্বয় করে চলা কঠিন হয়ে যায়। মাত্র দেড় বছরের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় এখনো সবকিছু যেনো বুঝে উঠতে পারিনি। তবে নিজের ব্যাক্তিস্বাধীনতার যে বিসর্জন হয়ে গেছে এটুকু পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে! বাঁচতে হলে কিছু না কিছু তো করতেই হবে! পরিশ্রম না করে বসে বসে খাওয়ার সৌভাগ্য নিয়ে সবাই জন্মায়না। কিন্ত এটুকু বলতে পারি নিজের পছন্দমত পেশায় নিযুক্ত হতে পারা আসলেই বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়! কাজটা যদি মন থেকে করতে পারা যায়, করতে যদি আনন্দ পাওয়া যায় আর মাথার উপর যদি ভয়ানক হুকুমকর্তা না থাকে এর চেয়ে সোনায় সোহাগা আর কি হতে পারে? কিন্ত এরকম চাইলেই হয়না। তবে ব্যাবসাক্ষেত্রে হয়তো স্বাধীনভাবে চলা যায়। নিজেই নিজের বস হওয়া যায়। আর যে কোনো চাকুরী মানেই অন্যের অধীনস্ত হয়ে জীবনযাপন করা! এসব একেবারেই সাধারণ বিষয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এভাবেই জীবন যাপন করে অভ্যস্ত! এসব নিয়ে কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই নির্দিষ্ট কোনো সমাধানও নেই। সবকিছু মেনে নিয়ে চলাই বাস্তবতা। তবে সেলস এন্ড মার্কেটিং চাকুরীতে সম্ভবত বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মানসিক চাপ বেশি থাকে! প্রতিমাসে একটি টার্গেট চাপিয়ে দিয়ে তার পিছনে তাড়া করানো হয়! বাস্তবে বিষয়টি সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক! আবার লাভজনক সেলস না হলে কোম্পানিগুলো বেতনই বা দেবে কোত্থেকে! তবে এ দুয়ের মাঝে একটা ভালো সমন্বয় থাকা দরকার। কোনো তথ্য উপাত্ত না থাকলেও আমার অনুমান বেসরকারি খাতে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের পরই বেশি সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের উৎস বিভিন্ন কোম্পানির সেলস এন্ড মার্কেটিংয়ের চাকুরী!কিন্তু এই সেক্টরের কর্মীদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কোনো ধরনের মনিটরিং দেখা যায়না। তাদের কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা, শ্রম অধিকার,জীবনমান ইত্যাদি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে, শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের অধিকার কিভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে এসব নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা এবং মনিটরিং দরকার! কারণ এরা তো এদেশেরই নাগরিক আর আশেপাশে তাকালে মনে হয় আমাদের সকলের পরিচিতজনদের মাঝেই এ পেশায় নিয়োজিত ব্যাক্তি কম বেশি পাওয়া যাবে! ভবিষ্যতেও এ পেশার প্রসার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বর্তমানে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি একান্ত বাধ্য না হলে উচ্চশিক্ষিত কেউ এ পেশায় যেতে চায়না। এ বিষয়ে পোস্ট লেখার নিশ্চয়ই একটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত অন্ততপক্ষে চিন্তা করার মতো গ্রহনযোগ্য একটি বার্তা থাকা উচিত। বার্তাটি হলো বহু শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাময় এ পেশাকে সম্মানজনক আর আকর্ষণীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যার যা করনীয় করতে হবে। বাধ্য হয়ে নয় বরং নিজ আগ্রহেই যেনো পড়াশোনা শেষে এ পেশায় যোগ দিতে উৎসাহিত হয় চাকুরী প্রার্থীরা। এতে বেকার সমস্যার কিছু সমাধানের পাশাপাশি দেশের জন্যও ভালো হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা কঠিন। আমাদের কোম্পানীগুলো নিম্ণমানের ওষুধ বানিয়ে আশা করে এস আর সেগুলো বিক্রি করবে স্কয়ার, বেক্সিমকোর ওষুধের মত! আর মানুষ অনেক সচেতন। তাই ভালো কোম্পানীর প্রোডাক্ট ছাড়া অন্যরা সুবিধা করতে পারে না। তবে বেকারদের জন্য খারাপই লাগে...

২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
পোষ্ট টি আমার মনের মতো হয়েছে।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি ব্লগে খুব এক্টিভ। ব্লগের নিয়মিত পাঠক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.