নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনো নিজের সম্পর্কে কিছু লিখার মত যোগ্যাতা অর্জন করিনি। সময় হলে লিখবো ইনশা আল্লাহ্‌।

মোহাম্মেদ রবিউল ইসলাম

মোহাম্মেদ রবিউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিপলেট !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

কিশোর বয়স থেকে আজ পর্যন্ত একাধিকবার একটা লিপলেট পড়ার সৌভাগ্য হয়ছে। লিপলেটের লেখাগুলো অনেকটা এই রকম, পুরপুরি মনে নাই তারপরো সারমর্মটা তুলে ধরতে চেষ্টা করলাম।

মক্কা শরীফে একলক্ষ হাজী রাসুল (সাঃ) স্বপ্নে দেখেছেন, স্বপ্নে রাসুল (সাঃ) বলতেছিলেন “আমার উম্মতেরা নামাজ থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তাদেরকে নামাজ পড়তে বল।” এর সাথে আরো অনেক কিছু সংযোজন করে এক পৃষ্টার একটা কাগজ মানুষের হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজেকে দায় সারা করতো। এমনো দেখা গিয়েছে, একজন মানুষ একি লিপলেট একাধিক পেয়েছে। লেপলেটটিতে এমন কিছু শর্ত জড়িয়ে দেয়া হত, যা পড়ে পাঠককে বিপাকে পড়তে হয়।

এই লিপলেটটি পড়ার পর আপনাকে আরো ৫০/১০০ কপি প্রিন্ট করে অথবা কপি করে বিতরণ করতে হবে, এবং সেজন্য নাম-মাত্র একটা সময়ও বেধে দেয়া থাকতো। লিপলেটটি প্রথম বার পড়ে আমি লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম, কারন তখন আমার কাছে হাত খরচের টাকাও থাকতো না। প্রবাসী পিতার হাই স্কুল পড়ুয়া ছাত্র টাকা পাবে কোথায়? কথাটা মা’কে সাহস করে বলতে পারিনি, মা কিছু বুঝে উঠার আগে মাইর দিতে পারে ভেবে আর বলিনি। আচ্ছা একজন বেকার মানুষ, ছাত্র কিংবা যার সামর্থ নাই সে কিভাবে ১০টি লিপলেট কপি করে বিতরণ করবে? ইসলাম কি এতোই কঠিন যে, আপনার পকেটে টাকা না থাকলে আপনাকে ভিক্ষা করে অথবা মায়ের টাকা চুরি করে হলেও ১০০ টাকা খরচ করে লিপলেট বিতরণ করতে হবে।

কাজের কথায় আসা যাক। এক লক্ষ হাজী এক সাথে একি স্বপ্ন কিভাবে দেখলো? একজন কি আরেকজনের কানে-কানে গিয়ে বলেছে “হুজুর আমি এই স্বপ্নটি দেখেছি, আপনিও একি স্বপ্ন দেখতে চেষ্টা করুন’। পরে গণনা করে দেখল যে, একলক্ষ হাজী একি স্বপ্ন দেখেছে। আমার বিশ্বাস যারা অতীতে লিপলেটগুলো বিতরণ করেছেন, তাদের কাছে স্বপ্নে দেখা হাজীদের নাম ঠিকানা সংরক্ষিত আছে, নাহয় কোন যুক্তিতে এসব ভিত্তিহীন জিনিষ প্রচার করেছে? এসব ভণ্ডদের আরেকবার সুন্নাতে খাৎনা (মুসলমানি) করিয়ে শাস্তি দেয়া উচিৎ।

আজ কাল হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে এরকম ম্যাসেজ মাঝে-মাঝেই আসে। এই ম্যাসেজটা ২০ জনকে (আবার সুন্দর করে লিখে দেয় ‘আমাকে বাদে’) সেন্ড করলে ৭ দিনের মধ্যে আপনি ২ টা সুন্দরী মহিলার সাথে পরকীয়া করতে পারবেন, নচেৎ আপনার স্ত্রী আরেকজনের হাত ধরে পালাবে অথবা আগামী ১০০ বছরের মধ্যে আপনি কোন সুখবর পাবেন না। আমি এসব ম্যাসেজ কাউকে পাঠানোর চিন্তাও করি না কারন, প্রথমত আমার পরকীয়া করার ইচ্ছা নাই, দ্বিতীয়ত আমার বৌও নাই যে কারো সাথে পালাবে, তৃতীয়ত আমি প্রেরকের মত আবাল নয় যে–ভিত্তিহীন ম্যাসেজগুলোকেও মূল্যায়ন করবো। তাছাড়াও ইসলাম ফালতু কথা অথবা ভিত্তিহীন কথা বলার ধর্ম নয়।

যারা ভিত্তিহীন ইসলামিক পোষ্ট করে তাদের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন জাগে? ওরা কি সত্যি মুসলমান নাকি অন্য ধর্মের দালাল? শান্তির ধর্ম ইসলামের কুৎসা রটিয়ে ডাবল মুসলমান সাজার চাইতে শুধু মুসলমান হিসেবে থাকতে পারাটাই শ্রেয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.