![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
President and entrepreneur at Muktijoddhar Itihas Songrokkhon Committee Bangladesh
“মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ”
পরিচিতি
নাম মোঃ শরিফুল ইসলাম
পিতার নাম মৃত কলিম উদ্দিন আহমেদ
মাতার নাম মৃত সালেহা খাতুন
স্ত্রীর নাম মোছাঃ রেনুকা খাতুন
মোবাইল ০১৭০৪৭৬৮০৭৫
গ্রাম দফরপুর
ইউনিয়ন আমঝুপি
উপজেলা মেহেরপুর সদর
জেলা মেহেরপুর
বিভাগ খুলনা
অন্যান্য তথ্য
মুক্তিবার্তা নং : ০৪১০০১০৩৬৭
ভারতীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট নং : নাই
বাংলাদেশ গেজেট নং : ২৩৪
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের সনদ নং : ম-১৩৯৩৬
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান কি না? : yes
সন্তানদের নাম ও বয়স
নাম বয়স শিক্ষাগত যোগ্যতা
মোঃ রাশিদুল হাসান ৩৫ বছর এম,এ
মোঃ রাকিবুল হাসান (প্রতিবন্ধী) ২৪ বছর ----------------
মোঃ মাহমুদুল হাসান ১৭ বছর ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
মোঃ রাহিদিন হাসান ১০ বছর পঞ্চম শ্রেনী
মোছাঃ সুরাইয়া বেগম ৩৩ বছর অষ্টম শ্রেনী
মোছাঃ আনতারা আনিকা ৩০ বছর এইস,এস,সি
যুদ্ধের ইতিহাস
১৯৭১ সালে আমি যাদুখালি হাই স্কুলে এস,এস,সি পরীক্ষার্থী ছিলাম। ১৭ই এপ্রিল বৈদ্যনাথ তলা (মুজিবনগর) আম্রকাননে গনপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের সংবাদে পাক হানাদার বাহিনী মেহেরপুর অভিমূখে যাত্রার প্রাক্কালে আমঝুপি কোলার মোড়ে ৩৭ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলে (এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহঃ প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার আমার স্যারও ছিলেন)। পাক হানাদার বাহিনী আমঝুপি বাড়ী বাড়ী তল্লাশী চালায়। সংবাদ পেয়ে আমার বাবা-মা আমদেরকে বাড়ী ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলেন। আমার গ্রামের ২৫/৩০ জন যুবক ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত্রিতে ভারতের সীমন্ত গ্রাম ব্রহ্মনগর পৌছায়। ঐ গ্রামের লোকজন আমাদের মুখে পাক হানাদার বাহিনীর লোমহর্ষক কাহিনী শুনে আমাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার ব্যবস্থা করে। কয়েকদিন থাকার পর আমি আমার ছোট ভাই মোঃ নুরুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন ছাড়া সকলেই বাড়ীতে চলে যায়। আমরা তিন ভাই ঐ বিদ্যালয়ে অবস্থান করি। মেহেরপুর মহকুমার মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) কমান্ডার আব্দুল গাফফার কুতুবীর সাথে পরিচয় ঘটে। তিনি আমাদেরকে সাথে করে কাগজীপাড়া ক্যাম্প (বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার কাথুলী, কুতুবপুর গ্রামের ভারত সীমান্ত) এ নিয়ে যান। স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তার দলভূক্ত করে নেয়। মেহেরপুর সদর থানা কমাণ্ডার কাতব আলীর তত্বাবধায়নে কাগজিপাড়া ক্যাম্পে অবস্থান করি। তার সাথে জনমত গঠন ও যুদ্ধকালীন সকল কর্মকাণ্ডসহ সম্মুখ যুদ্ধ করি। ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর আমরা মেহেরপুর শহরে ঢুকে পড়ি, ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালন করি। মেহেরপুর শহরের একটা পরিত্যাক্ত বাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে গেরিলা, পুলিশ, সেনাবহিনীর সাথে শন্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে গ্রেনেড, বোমা, ককটেল সরানোর কাজে সকলে সম্পৃক্ত হই। ঢাকা স্টেডিয়ামে অস্ত্র জমা দেওয়ার পর আমি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করি। ১৯৭২ সালে আমি এস,এস,সি ও ১৯৭৪ সালে এইচ,এস,সি পাস করি। পরবর্তীতে পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে গ্রাম্য চিকিৎসক হিসাবে সেবা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আওয়ামী লিগের ওয়ার্ড সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে যুদ্ধকালীন সময়ের আমার কমান্ডার আব্দুল গাফফার কুতুবী এবং অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মোঃ শরিফুল ইসলাম।
©somewhere in net ltd.