![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
কিছু কিছু ঘটনা মানুষের জীবনে থাকে- যা বললে গল্পের মতো বা মিথ্যের মতো শোনায়।
আমার জীবনে এমন একটি ঘটনা আছে।
আমাকে জীবন দান করেছে একটি চড়ুই পাখি।
আমি জন্মেছি মৃত।
দ্বিতীয় জন্ম মানুষ হতে পাখির জন্ম।
মানুষের দেদে পাখির প্রাণ আমি।
আকাশ দেখলেই তাই আমার এতো ভাবালুতা।
অবয়বে আমি মানুষ হলেও পাখির মতো মন আমার।
কবিতার মতো শোনাচ্ছে জানি।
কিন্তুু, ভাববাদ বাদ রেখে সেই অদ্ভুদ গল্পটা বলি।
বাবা তখন সরকারী চাকরি করেন । পার্চেস অফিসার হিসেবে।
এই চাকরিতে অনেক ঘুষ খাওয়ার সুযোগ থাকে।
অনেক লোক কয়েকশ' বিঘা জমির মালিক হয়েছেন এরূপ চাকরি করে।
আর
আমার বাবা পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সৎ পার্চেস অফিসারের সম্মান।
তিনি আজ যে ৮/৯ টি বাড়ীর মালিক- তা নিজ চেষ্টায় ব্যবসা করে করেছেন।
বাবার সততা প্রমান , আমার গল্প আর গল্পের উপজীব্য নয়।
আমার জন্ম আর এর অবাক করা মিরাকল আমার মূল গল্প।
আমি তখন মায়ের গর্ভে।
৮ মাসের বাচ্চা।
পৃথিবীতে আসবার জন্য প্রহর গুনছি।
তখন অবশ্য ভাবতে পারি নি -এই স্মৃতি একদিন ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে লিখবো।
বাবা ৮ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে এসে খেতে বসেছেন।
পাবনায় চাকরি করতেন। আমাদের নারায়নগঞ্জের গ্রামের বাড়ীটি তখন ছিলো একতলা।
বাবা প্রথম লোকমা মুখে তুলবেন-এমন সময় একটা চড়ুই পাখি
ফ্যানের পাখায় আঘাত লেগে- ঠাস্ করে পড়ে গেলো মেঝেতে।
আমার ক্লান্ত , দয়ালু বাবা উঠে গেলেন খাওয়া থেকে । মা এনে মাথায় পানি দিলেন চড়ুই পাখিটির।
প্রকৃতি খুব রহস্যময় খেলা খেলে।
আমার বাবা মা , তখনও জানেন না, তারা একটি চড়ুই পাখির জীবন নয়, তাদের সন্তানের জীবন রক্ষা করেছেন।
চড়ুইটি বেঁচে গিয়েছিলো।
বাবা , মা পাখিটির কথা ভুলে গিয়েছিলেন।
মাস দুয়েক পর আমি এলাম পৃথিবীতে।
প্রতিটি শিশুর মতো আমারও কান্না শুনবার জন্য সবাই ব্যকুল ছিলো। আমার কান্না শুনতে না পেয়ে সবাই কাঁদতে লাগলো
আমি প্রায় দশ মিনিট মৃত বাচ্চাদের মতো নীরব ছিলাম।
এমন সময় একটি চড়ুই পাখি আবার সেই একই পাখায় আঘাত লেগে মেঝেতে পড়ে মৃত্যুবরণ করে।
আর আমি চিতকার করে কেঁদে উঠি।
আমি জীবনে অনেক গল্প লিখেছি, কিন্তুু, এ গল্পটা লিখি নি।
কারন- কিছু ঘটনা , জীবনের এতো গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে থাকে- আর এতো বড়ো এর অর্থ যে- সবার কাছে বলে দিলে এর
গভীরতা , বিশালতা .. হালকা হয়ে যায়।
জানি না .. আজ হঠাৎ একটা চড়ুই পাখিকে আমার কবুতরের সঙ্গে খেলা করতে দেখে - কেন বারবার সেই ঘটনাটি মনে পড়ছে !
আর সবাইকে আমার জীবনের এই মিরাকলটি বলে দিতেও ইচ্ছে করছে !!
পাখি টি কি আত্মহত্যা করে আমাকে মৃত্যু থেকে জীবনে ফিরিয়ে দিয়েছিলো ?
না কি শুধুমাত্র দৈবিক ভাবে ঘটনা প্রবাহ মিলে যাওয়াতে সবার এরকম মনে হয়েছিলো ?
জানি না , তবে সেই সত্য জানবার ইচ্ছে আমার কোনোদিন ই যাবে না।
আমি .. মানব দেহে পাখির রুহু ..জন্মেই আমার মৃত্যু..মৃত্যু থেকে জীবনে ..এসেছি।
জীবনে তাই আমার কোনো মৃত্যু ভয় নাই।
মৃত্যু পেরিয়ে আমি এসেছি...তোমাদের কাছে।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
আলফা-কণা বলেছেন: apni tu mone hoy sai kobi je kina,,""poddo fule dukhce raj dondo" ay kobitar malik,,,,,,
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
সোহরাব হোসাইন বলেছেন: ভাল লাগরে ভাই ।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
আবদুল্লাহ-আল-মাসুম বলেছেন: রাজ দন্ড নয় আজব দন্ড @ আলফা কনা।
ধণ্যবাদ। মনে রাখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা সকলেই চক্রে আবদ্ধ!!!
জীবন চক্র! মৃত্যু চক্র! আবর্তিত হয় ক্রমান্বয়ে!!!
আগুন মাটি পানি বাতাস মিলে পঞ্চভূত! চক্রাকারে ঘুরতে থাকে রেন্ডম!
সকল বিলীন করে দিতে পারলে- যাওয়া যায় পেছনের সময় ঘড়িতে, কিংবা সামনের!
চেষ্টা কই? বিশ্বাসই নাই।
বিজ্ঞানও কিন্তু আগে ধারনা করে। পরে ধারনাটার উপর প্রাথমিক বিশ্বাস রাখে। তারপর চেষ্টা করে, ফল পেলে বিশ্বাসটি প্রতিষ্ঠিত হয়; নতুন নতুন কোন ধারনা নিয়ে আবার চেষ্টা করে- এইতো!
তো, আমরা কেন জানি বিনা চেষ্টাতেই, শৌনা কথায় বিশ্বাস করেই অবিশ্বাসী হই!!!!
নয় কি?