পাইলট// আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

যখন

আকাশের আভে ঢুকে পড়ি সজোর গতিতে

ছিড়ে আসি ভুমির পিছু টান।



বিশাল নীলিমাকে আমার মনে হয়

একটা বিরাট নীল গালিচা।



ছোট ছোট নদীগুলো উঁকি মারে

নাতিদীর্ঘ মুক্তোর মালার মতো।

ডানের ছোট্ট জানলা দিয়ে চুমু খায় একটা তেজী সূর্য

আর গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তো রাশিতে।



সেই ঝকমকে আলো

আকাশের অনেক ওপরে

আমার চোখে যখন ম্যাজিকের মতো তৈরী করে কুহেলিকা..

ঘুমন্ত নারীর স্তনের মতো তীব্র হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে দুটো পাহাড়।



বিশাল এক লোহার তেলাপোকা

পেটভর্তি যার কয়েকশ' মানুষ।

তাদের করে দেই আমি

সাত সমুদ্র

তেরো নদী পারাপার।



কানে আমার বাজে গন্তব্যের কড়া পাহাড়া।

আর

ঘড়ির কাটার মতো

মুখস্ত সংকেত।



একটা শাদা পায়রাকে যেমন

ডাকাতিয়া চিল এসে মূহুর্তে ছিড়ে..

ছুড়ে ফেলে নীল থেকে , মাটিতে...



কখনো কখনো সেই রাক্ষুসে মুখ নিয়ে

এগিয়ে আসে একটা দস্যু ঝড়।



কত তুফান আর ঝড় ঠেলে

আমি আমার ছেলেবেলার শখের ঘুড়ির মতো

ওড়াই আমার খেলনাটিকে !

যদি কেউ জানতো..

অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো এক পলক !!!



যে কোনো এডভেঞ্চারিষ্ট তরুনি

হঠাত পাঠাতো একটি এস এম এস..

শোনো,

শচীন নয়..

তোমার সঙ্গে একদিন কফি খেতে চাই

নিরালায় !!!





গলফের মাঠগুলো আমাকে আকাশ থেকে

লাফিয়ে নামতে বলে ।

সমুদ্রে ভাসমান বরফ গুলো বলে

আরেক পেগ হবে কী না আজ রাতে >?



দীর্ঘ নিঃশ্বাস লুকিয়ে

আমি শুনি..

আরিনা , হট ওয়াটার দিতে দিতে

আরো এক যাত্রীকে

রিচার্ড মার্কসের সুরের মতো সুললিত কন্ঠে বললো

মোষ্ট ওয়েলকাম , স্যার !!



আমার প্রশিক্ষন আমাকে বলে

এটা্ নয় জীবনের শেষ উড্ডয়ন ।

আমার দক্ষতা আমাকে বলে

তুমি পারো এভারেষ্টের চূড়ো দিয়ে যাবার সময়

মূসা ইব্রাহিম কে একটি

ললিপপ ছুড়ে দিতে।

আমার যোগ্যতা আমাকে

নিয়ে যায় আভেরও ওপরে।



আমি উড়ছি.. এক নিশ্চিত লক্ষ্যে ..

তবুও কতো অনিশ্চয়তা মুচকি হেসে

বিরল পান্ডার মতো দেখা দিয়ে

লুকিয়ে যায় ইউকেলিপটাস / লতার আড়েলে !!



আমি ভালোবাসি চ্যালেন্জ আর

তুমি পাও বড় ভয়

তোমার আমার পথই আলাদা

কেউ কারো তাই নয় !!

০ টি +০/-০