![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
নুন্যতম সংগীত শিক্ষা প্রতিটি সভ্য দেশে
বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেলে , সে মাটি হতে যেমন কোনো
ফুল , ফল আশা করা যায় না,
সে রুপ সংগীত হচ্ছে হৃদয়ের মাটিতে জলের মতো।
উহা ব্যতীত একটি জাতি ক্রমেই নিঃসার হয়ে ওঠে।
কোমলতা হারিয়ে অসভ্য হয়ে ওঠে।
মারমুখি আর ত্রাস প্রিয় হয়ে ওঠে।
সংগীত যদিও সংস্কৃতির অংশ,
তথাপি সংগীত বিষয়ক একটি মন্ত্রনালয় হলে এবং কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করলে
একটি দেশ , আমাদের হাজার বাউলের এই দেশ হয়ে ওঠবে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার এক পাদপীঠ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বেসর্বা।
সব আইন এক দিকে।
তার মুখের একটি বাণী আরেক দিকে।
সংগীতকে ভালোবেসে সত্যি একটি মাইল ফলক তৈরী করতে পারবে-এমন একজন মানুষকে
টেকনোক্রেট মিনিষ্টার বানিয়ে একটি আলাদা মন্ত্রনালয় করা , তাঁর জন্যে একটি স্বাক্ষর আর
একটি গেজেটের ব্যপার।
হাজার কোটি টাকার বাজেটের এই দেশে ১০০ কোটি টাকা একটি মিউজিক মিনিস্ট্রিকে দেয়া
একটা সদিচ্ছার ব্যপার শুধু।
একটি পদক্ষেপ নিয়ে সংগীত প্রেমিকদের বুকে তিনি হৃদয়ের রানী হয়ে থাকতে পারেন-
চিরদিন।
মি্উজিক মিনিস্ট্রির কাজ হবে
প্রতিভাবান ১০০ জন শিল্পীকে ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা প্রদান।
প্রতি বছর ৫০০ জন নতুন শিল্পী,গীতিকার, সুরকার তৈরি করা।
প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাকরন। তাদের সমস্ত ব্যয়ভঅর গ্রহণ।
প্রতি বছর সরকারী খরচে ২০০ অডিও এ্যালবাম, ১০০০ ভিডিও নির্মান।
দেশব্যপী প্রতিমাসে অন্তত ৭ টি কনসার্ট আয়োজন।
মিউজিক মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠাকরন ও রক্ষনাবেক্ষন।
বড় বড় হাটবাজার আর ষ্টেশনগুলোর সংগীতায়ন।
এম পি , মন্ত্রী, সচিব, পুলিশ, আর্মি,সাংবাদিকদের সামান্য সংগীত শিক্ষা প্রদান।
আর্ন্তজাতিক সংগীত উতসব আয়োজন।
সংগীতে অবদান রাখা বিশিষ্ট জন, প্রতিভাবানদের
স্বীকৃতি প্রদান।
প্রতি ৩ মাসে সরকারী খরচে ১০০ জনকে ইনস্ট্রুমেন্ট প্রদান।
যারা মিনিমাম ৬৪ মাত্রার তান করতে পারে-সেসব ওস্তাদদের উচ্চতর শিক্ষার ব্যয়ভার গ্রহণ।
মিউজিক রিসার্চ সেন্টার গঠন।
পাইরেসি বন্ধকরন আর এ ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন।
প্রতিটি জেলায় মিউজিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা।
প্রতি বছর একবার সংগীত প্রেমিদের মহা শোভা যাত্রা উদ্বোধন।
সংগীতের জন্য জাতীয় সংগীত দিবস ঘোষণা করন।
(লালন শাহ এর জন্মদিন প্রস্তাব থাকলো।)
সংবিধিবদ্ধ সতর্ককরন-
এই মিনিস্ট্রি যতটা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থাকবে, যতটা স্বজন প্রীতির বাইরে থাকবে,
যতটা ইগো'র উপরে উঠতে পারবে- ততটাই সফলতা আশা করা যায়।
সন্ত্রাসের দেশ বাংলাদেশ,
বিশ্বের বুকে পরিচিত হোক,
সংগীতের দেশ বাংলাদেশ হিসেবে।
সংগীত কোনো দৈবিক বিদ্যা নয়।
সাধনার বিষয়।
সংগীতে রয়েছে কয়েকটি বিষয়।
তাল,লয়,কথা, সুর, গায়কী (আবেগ),কন্ঠ স্বর।
তাল, লয় , সুর শেখার বিষয়।
গায়কী , যা আসে অভিজ্ঞতা , দক্ষতা ,প্রতিভা থেকে-তার ওপর নির্ভর করে কে কতটা
শ্রোতাপ্রিয় হতে পারবে।
এর মধ্যে একটা জিনিষ প্রকৃতি প্রদত্ত।
তা হচ্ছে কন্ঠস্বর।]
কন্ঠস্বর ভালো হবার থেকে সুরে গাওয়া জরুরী বেশী।
শুধু কন্ঠশিল্পী হবার জন্য সংগীত শিক্ষা জরুরী - এটি একটি তথাকথিত
ফালতু ধারনা।
আবৃত্তিশিল্পী, উপস্থাপক, সংবাদ পাঠক, ঘোষক, ভাষন প্রদানকারী, আর জে, এমনকি ব্যক্তি জীবনে
সুন্দর করে কথা বলার প্রয়োজনে- সংগীত শিক্ষন অপরিহার্য ।
]একটি হারমোনিয়াম কিনে শুরু হোক লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষন প্রক্রিয়া।
রেয়াজ-
ফুসফূসকে শক্তিশালী করে।
হার্ট এটাকের ঝুকি কমায়।
টেনশন থেকে মুক্তি দিতে সহযোগিতা করে।
মনকে সতেজ করে।
কন্ঠকে দৃঢ় করে।
জীবনকে সুরেলা করে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ।
তোতলামো থেকে মুক্ত করে।
কাজ কর্মে গতি আনে।
নমনীয় হতে সহযোগীতা করে।
আধুনিক বিশ্বের যোগ্য করে তোলে।
বিভিন্ন বন্দনা গীত
সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রেম বাড়ায়
আর ইবাদতের সামিল হয়।
সংগীতের বিস্তার , দেশে শান্তি বিস্তারের একটি মাধ্যম হতে পারে।
ওয়ার্ল্ড টিভি'র সৌজন্যে
আবদুল্লাহ-আল-মাসুম-এর একটি গবেষনা।
http://www.worldtvbd.webs.com
©somewhere in net ltd.