![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর গেছেন নোবেল পুরষ্কার গ্রহণ করতে। দেশের বাইরে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এসেছেন।এবারের অনুভূতি একদম অন্যরকম-তা তার চেহার দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে।
যে হল রুমে পুরষ্কার প্রদান করা হচ্ছে- তার সদর দরজায় যেতেই - একটা হৈ হৈ উঠলো। কে যেনো বললো - বাংলাদেশের লোক এসেছে, বালাদেশের লোক।
দুই দলে সাত / আটজন করে এগিয়ে এলো।
সদর দরজায় পথ আগলে দাড়ালো।
একজন বে - ফাঁস প্রশ্ন করলো। আপনি কি আওয়ামি লীগ না বি এন পি >?
রবীন্দ্র নাথ থতমত খেলেন।
কি বলবেন, বুঝে পাচ্ছেন না।
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বললেন- আমি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। ওরা জোর করাতে আমি এসেছি। নোবেল পুরষ্কার দেবে।
দুই দলের লোকজন কয়েক মূহুর্তের জন্য নিজেদের মধ্যে ফিসফিস শুরু করলো।
এক দল বললো- আরে ব্যাটা , নাম শুনলেই বোঝা যায় ..হিন্দু মানুষ। আওয়ামি লীগের ই লোক।
আরেক দল বললো- নামে বিশ্বাসী না। কামটা দ্যাখ । এতো বড়ো বড়ো দাড়ি , এ ব্যাটা তলে তলে- জামায়েত ইসলামি, বি এন পি চালায়।
হঠাত করে- একজন বললো- আরে ভাই কি করছেন , কি করছেন, ওনাকে আটকে দিয়েছেন কেন ৎ.
উনি তো একজন সম্মানিত মানুষ।
ভাই , মানীর মান রাখেন। ছাড়েন, ছাড়েন।
উনি তো রবীন্দ্র নাথ ।
শেখ হাসিনাও তাকে ধার করেন।
খালেদা জিয়াও তাকে ধার করেন।
হাসিনা , খালেদার কাছে , ধার করতে , রবীন্দ্র নাথ কখনো যান নাই।
ছোট ছোট স্বেচ্ছা সেবকের দল, এই সব পাগলের প্রলাপ শুনতে নারাজ।
তারা তেড়ে এলো।ওদিকে বারবার রবীন্দ্র নাথের নাম উচ্চারিত হচ্ছে- দর্শক তাকিয়ে আছে।
নোবেল পুরষ্কার নিতেও একজন ব্যক্তি না আসতে পারে- তা তাদের বিষ্ময়কর লাগছে!!!
এরুপ ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হলে , শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া, সঙ্গে সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে,
দলীয় চামচাদের দল থেকে বহিষ্কার করলেন।আর মনে মনে গজ গজ করতে থাকলেন-
ছাগলগুলা , মানুষ চিনে না !!
ঠিক এই সময় , আমার ঘুমটা ভেঙে গেলো ।
কী সব হাবি জাবি স্বপ্ন আজকাল দেখছি !!
মনে পড়লো একটি লাইন-
রেখেছো বাঙালি করে,
মানুষ করো নি।
©somewhere in net ltd.