নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

>>>>>>আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা ও জুতা

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৪

কবিতা লিখে , বাংলাসাহিত্য তথা বিশ্ব সাহিত্যের কোনো প্রবাদ পুরুষ , জুতা পেয়েছেন বলে আমার

জানা নাই।

আমি-ই হয়তো ইতিহাসের প্রথম কবি, যে , জুতা গ্রহণ করেছি।



কিছুদিন আগে, সুইডেন থেকে আমার জন্য এক জোড়া জুতা উপহার পাঠিয়েছেন আমার একজন

কবিতার পাঠক। পুরুষ কবি, নারী অনুরাগীর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত বোধ করবেন , সেটাই স্বাভাবিক।



আমি, বিপরীত লিঙ্গের জন্য নয়,

বিষ্মিত হয়েছিলাম কয়েকটি কারনে-



এক. উপহারটি জুতা কেন ?

দুই. কবিতার সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক, জুতার সম্পর্ক কি ?

তিন. আরো চমকপূর্ন ছিলো , শর্তটি। তার নাম কখনো কাউকে প্রকাশ করা যাবে না।

তার স্বামী একজন বাঙালি। আমার কবিতা তার চক্ষু শূল ।

চার. সবচে' বিষ্ময়কর ছিলো- মাপটা সম্পূর্ণ সঠিক ছিলো /

তাহলে কি, যে আত্মাসমূহে আমি ধ্বণিত হউ, তাদের সাথে আমার সত্যি কোনো

আধ্যাত্মিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে ৎ.?



কবিতা ভালো লাগার সাথে, স্বামী , স্ত্রীর সংঘর্ষের সংযোগ কোথায় ?

আমি অেনকক্ষন বোকার মতো ফ্যা ফ্যা করে ক্যাবলাকান্তের মতো হাসলাম।

আমার ধারনা , মেয়েটি কবিতা পড়ে , আমার প্রেমে পড়েছে।

স্বামী বেচারা টের পেয়ে কষ্ট পেয়েছে।

অনেকদিন কবিতা লিখি না।

কবিতা লেখাটাকে পাপ মনে হয়।

এরকম অনেক মেয়েকে আমি জানি,

আমার কবিতা পড়তে পড়তে , যাদের সিস্টেম ফল করেছে।

এরা অন্য এক জগতে বাস করে।

বাস্তবতা থেকে আমি তাদেরকে পরবাস্তবতা, অতি বাস্তবতা আর যাদু বাস্তবতায়, এমন ভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছি যে, তারা এখন, সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারছে না।



তাদের কষ্টটা আমাকেও কখনো ছুঁয়ে যায়।

প্রায় দু,মাস পরে জেনেছি, ১৮ হাজার টাকায় এক জোড়া জুতা সে পাঠিয়েছে,

বৃত্তি আর পুরষ্কারের টাকা দিয়ে।



আজ সে স্কাইপ করলে আমি প্রশ্ন করেছি-কবিতার সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক, জুতার সম্পর্ক কি ?

সে আমাকে অবাক করে দিয়ে উত্তর দিয়েছে-

আপনার হৃদয়ের আয়তন আমি জানি।সেটাকে কিছু দিয়ে ধরবার বস্তু আমার জানা নাই।

আপনার হৃদয়খানি আগলে রাখতে পারবো না , জানি।

চরন দু'খানি রাখি।



কথাটা শূনে, আমার কবি জীবন ১২৫ বার এমন ভাবে স্বার্থক হলো যে, আমার চোখ থেকে

আপনা আপনি জল টপ টপ করে পড়তে লাগলো।

আমি কণ্ঠকে শক্ত করে বললাম-

এরকম আর করবে না, আমি পছন্দ করি নাই।





আমি তাকে প্রশ্রয় দিলে সে , আরো অন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু, আমি চাই,

সে আমর কবিতা দু'চোখ খোলা রেখে ভালোবাসুক।

এখন আমি আর কবিতা লিখি না।

কবিতা লিখলে , আমার মনে হয় ,

আমি পাপ করছি।

কেননা,

এতো ভালোবাসার রীন ,

কখনো শোধ দিতে পারবো না।





Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.