![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন গার্মেন্ট ষ্টক বিজনেসে ইনভলবড হতে চান বলে ।
ফরেন বায়ারদের হ্যান্ডল করতে হলে , কিছু জিনিস খুব ভালো ভাবে জানা চাই।
১. ১ কালারের মাল চলে না। কম চলে ।
২. জি এস এম সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকতে হবে।অনেক সময় বায়ারকে স্যাম্পল একটা দেখিয়ে মালের মধ্যে জিজ এস এম ভেরী করলে- বায়ার ডিসএপয়েন্টেড হয়।
৩. কোয়ালিটি এনসিউর করা গার্মেন্ট ষ্টক এ একটি বিগ চ্যালেঞ্জ। কেনান কখনো সাইজ মেজারমেন্ট বা কোনো না কোনো নির্মান ত্রটির কারনেই অর্ডার ক্যানসেল হয় আর প্রোডাক্ট ষ্টক হয়।
৪. সাইজ মেজারমেন্ট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকতে হবে।
সাইজ হয় বিভিন্ন প্রকার তিন মার্কেটের জন্য। এশিয়ান, ইউ এবং ইউ এস।
এম সাইজের বডি এশিয়ানের তুলনায় ইউরোপিয়ান কিছুটা বড়, ইউএস সাইজ, ইউ এর তুলনায় আরো একটু বড় হয়। প্রতিটি মার্কেটের বায়ার আলাদা, তাদের রিকুয়্যারমেন্ট আলাদা। তাদের মার্কেটের সাইজও আলাদা।
৫. বায়ার সেন্টিমেন্ট বুঝতে হবে।
৬. জি এস এম হচ্ছে কাপড়ের ঘনত্ব। একেক মার্কেটে একেক রকম ঘনত্ব প্রয়োজন।
৭. কিছু বায়ার আছে যারা খুচরা ক্রয় করে - যেমন পার ষ্টাইলে হাজার থেকে হাজার পিস।কিছু বায়ার এক ষ্টাইলে মিনিমাম লক্ষ পিস পর্যন্ত কিনে থাকে।
৮. কিছু বায়ার কেনে ক্যাশ বা টিটির মাধ্যমে। কিছু বায়ারের পছন্দ এট সাইট এল সি।
৯. ফিলিপিনি বায়ারদের পছন্দ সেক্সি শর্ট , টি শার্ট , বয়েজ গার্লস মেইনলি নীট আইটেম।
কানাডিয়ান বায়র যেখানে বাচ্চাদের জন্য যেখানে চায় বেশীরভাগ ওভেন আর সোয়েটার আইটেম।
১০. ইরানি বায়াররা সবই নেয় কম বেশী ।মিক্সড আইটেম ।
১১. শর্ট কার্গো ৪ পকেট / ৬পকেট বেশী চলে ইউকে বায়ারের জন্য। ইউএস বায়ারের জন্য।
এই ২ মার্কেটে কপি মাল ভুলবশত কেই কিনে নিলে জেল জরিমানার স্বীকার হতে হয় ব্যবসায়ীকে ।
এমেরিকান ঈগল একটি বড় ব্র্যান্ড । অনেক ব্র্যান্ড এর ওপর আইনি খঢ়গ থাকলেও থাইল্যান্ডে এমেরিকান ঈগল এর মতো নামজাদা ব্রান্ড এর ব্যপারে সরকার শীতল । তাই থাই বায়ার নিচ্ছে সহজেই।
১২. রাশিয়া , বাংলাদেশে তৈরি বিশ্ব মানের সোয়েটার ষ্টক আর টুইল প্যান্ট এর জন্য মোটামুটি পাগল কাষ্টমার।
১৩. টি শার্ট ., বয়েজ ডেনিম অর্জিনাল ( ষ্টক এ ও অনেক কপি হয়। অভিজ্ঞ চোখ ধরতে পারে , সবাই না । কোনটা কপি কোনটা আসল।) ইউএস মার্কেটে ভালো চলে ।
১৪. ইন্ডিয়ান বায়াররা নেয় না এমন কিছুৃ নাই। তবে- মূল্য দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা দূর্বল।
১৫.১ লক্ষ পিস মাল শিপমেন্ট করলে ১ পিস কম বা ১০ পিস খারাপ হলে , বায়ার ডিজ এপয়েন্টেড হয় তুলনামূলক অনেক বেশী।
১৬. বায়ার প্রাইস দিলে কখনো রেগে যেতে নাই, যতই তা কম হোক।
১৭. কম শব্দে মূল কথা ইংরেজীতে বলতে পারা বায়ার হ্যান্ডল করবার জন্য একটি বিশেষ যোগ্যতা।
১৮. কোনো বায়ারের কেয়ার লেবেল এমন কি মেইন লেবেল না থাকলেও চলে।
কিন্তু, কোনো বায়ার এর এগুলো যদি ম্যান্ডাটরি হয় , ধরে নিতে হবে- এসব ছাড়া মালটা তার জন্য রিজেক্ট।
১৯. এক সময় লোকে বায়ারদের ঠকাতো ।একরকম বলে, অন্য রকম মাল দিতো।
ব্যক্তির মুনাফা বেশী হলেও এত দেশের বদনাম।
তাই খুব দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বাস রক্ষার পরীক্ষা দিতে হয়।
২০. একটি ভালো বায়ার মানে বছরে মিনিমাম ১০ লক্ষ টাকা ইনকামের ব্যবস্থা হওয়া ।
২১. এছাড়াও গার্মেন্ট সম্পর্কে আরো গভীর ভঅবে জানতে পারলে ভালো । যেমন কালার ফাষ্টনেস, একিউ এল, সুইং কোয়ালিটি, প্রভৃতি ।
বায়ার পেতে হলে- অন লাইন সার্চ ছাড়াও পরিচিতদের রেফারেন্সে এগুনো যেতে পারে।
ট্রাই ইউর লেভেল বেষ্ট। বেষ্ট উইশেস !!
জানি না কেন, যে কোনো বায়ার আমার সঙ্গে পরিচিত হলে , ২ বছর পর হলেও আমাকে খুঁজে বের করে। মানুষ বায়ারের পেছনে ঘোরে- আর বায়ার আমাকে সার্চ করে । এটা একটি সত্যিই মজার ঘটনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
স্বার্থহীন বলেছেন: ভাইয়া আমি মার্কেটিং থেকে অর্নাস করেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন আমার গার্মেন্স মার্কেটিং চাকরি করার ইচ্ছা অনেক বেশি। কিভাবে চাকরি পাওয়া যায় আর আপনি যে তথ্য দিয়েছেন সে ধরনের তথ্য আরো যদি দিতেন তাহলে উপকৃত হতাম। ধন্যবাদ।