নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

>>>>>>আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান বাংলাদেশ এবং সংকট নিরসনে দিক নির্দেশনা // আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৮

বর্তমান বাংলাদেশ এবং সংকট নিরসনে দিক নির্দেশনা
// আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

প্রথমে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটু বলতে চাই ।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী এরকম যে- কেউ যদি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে- তাহলে ধরে নেয়া হয়- সে বিন এন পির সমর্থক । আর কেউ বি এন পির ভুল কর্মকান্ডকে আলোকপাত করলে - নিশ্চিত সে - লীগের সমর্থক ।

আর যদি দুই দলের ভুল ত্রুটিগলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করে - তবে সে কেন নয় রাজাকার আর জামায়েত ইসলামী ?


এই যদি হয় আপনার গোয়ার্তুমি মার্কা দৃষ্টিভঙ্গী - তাহলে - বলবো না - এই লেখাটি আপনার পড়া ঠিক নয়, বলবো যে- এই লেখাটি সর্বাগ্রে আপনারই পাঠ করা উচিত ।


গত কিছু দিনের ঘটনা প্রবাহ ,সহিংস আন্দোলন, টক শো, সাংবাদিকদের কর্মকান্ড , সার্বিক পরিস্তিতি, দেশের অশান্তিতে আমি বিচলিত বোধ করেছি ।আমি , সমাজ নেতাদের কাছে
বাল্য পাঠ -এর আসরের ভুলগুলো প্রত্যাশা করি নি বলেই আমার দুঃখটা প্রখর ।


প্রশ্নগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থ বিজড়িত হলে - চেপে যেতাম ।
প্রশ্নগুলো যেহেতু - রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের আদর্শ, দেশের অর্থনীতি , অদূর গাঢ় অন্ধকার ভবিষ্যত,
সর্বোপরি নীরিহ , সাধারন মানুষের জান, মাল, আর শান্তির প্রশ্ন বিজড়িত - আমি অকুন্ঠ চিত্তে তা
বলতে চাই ।


আওয়ামী লীগের মনোবাসনা তারা ক্ষামতা আকড়ে থাকবে- মূল যুক্তি - যেহেতু তা সাংবিধানিক ।
বি এনপির মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া - মূল যুক্তি- যেহেতু নির্বচন সঠিক ভাবে হয় নি , গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় নি বড় বিরোধী দলের ।

৫ জানুয়ারি একজন তাই বিশাল বিজয় মিছিল করে ।
অন্যজন তাই পালন করতে চায় গনতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে ।


এই তো !!


এবার আসি সংবিধান এ ।
সংবিধান কোনো ঐশ্বরিক গ্রন্থ নয় ।
সংবিধান, কোরআন নয়।
এটা পরিবর্তন হয় ।


জনগনের , গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হলো - সংবিধান ।
এখন যদি সংবিধান হয়ে ওঠে বিশেষ কোনো দলের যুগ যুগ শাসন কায়েম করবার বড় অস্ত্র - তাহলে , সেই সংবিধান , প্রশ্নবিদ্ধ হবে - এটাই স্বাভাবিক । যা এখন হয়েছে ।
আমি বলি না- এই সংহিস আন্দোলন , ক্ষমতায় যাবার জন্য , একজনের কড়াকড়ি, আরেকজনের বাড়াবাড়ি , আর কর্মীদের মারামরি , সাধারনের জীবন সংহার করে এই সংহিসতা কোনো কালে - কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে ।

আমি বলি- সেজন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আছে , জাতিসংঘ আছে , দেশের গণমাধ্যম কোনঠাসা হলে - পৃথিবীর বড় বড় গণমাধ্যম আছে ।

আওয়ামী লীগ হোক বা বিএনপি হোক বা অন্য যে কোনো দল হোক- কাউকে আমরা নীরিহ মানুষের প্রাণের দামে - ক্ষমতায় যাবার মতো অনুমতি দেই নাই ।
দুঃখজনক যে- এটা হয়ে আসছে ।
আমাদেরেে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে - সেই সভ্যতা এখনো আসলে গড়েই উঠে নি ।
আমরা অন্যকে দোষী সাব্যস্ত করে, অন্যের অন্যায় আর হিংস্র রূপ তুলে ধরে নিজেদের হিংস্রতাকে
বৈধতা বা গ্রহণযোগ্যতা দিতে চা্ই ।

যা ঘৃণিত, তা অন্য পক্ষ বা হাজার পক্ষ করে পার পেলো বলেই - তা গ্রহনীয় হয়ে গেলো না।
তা কিন্তু ঘৃনিতই থেকে গেলো ।

আওয়ামী লীগ ক্যাডার সংস্কৃতি শুরু করেছে বলে - বি এন পি - বিরোধী দল হিসেবে - বাধ্য হয়েছে - এই স্বীকারোক্তি অনেক অপরিণত নেতাকে দিতে শুনি । কিন্তু - আমি বলতে চাই - এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে- যে কোনো নাশকতা , খুন খারাবি, ণীরিহ জীবন নাশ- রাজনীতিক দের জন্য বৈধ এবং বিলকুল অভিনন্দন যোগ্য - যা সম্পূর্ণ আইন , বিচার , সভ্যতা, গণতন্ত্র, বিবেক , মানবিকতা পরিপন্থী ।

সাধারন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে - দলগুলো ক্ষমতায় যাবার রাজনীতি এখনো শুরু করে নি ।
পেছনে কাজ করছে - প্রতিশোধ স্পৃহা, প্রতিহিংসা আর মানুষকে জিম্মি করে - ক্ষমতায় আসীন হবার
লালসা ।

আমাদের আচরন অনেকটা এরকম যে- তুমি কুত্তা , তাই আমিও কুত্তা । সমস্যাটা কি ?
এটা কোনো মানুষের প্রশ্ন হতে পারে না ।
এটা মানুষের দেহে -কোনো জানোয়ার বসবাস করলে - তার বা তাদের প্রশ্ন হতে পারে ।


রাজনীতি মানে জানেন না অনেক বর্ষীয়ান নেতা ।
অনেকে বলেন মানুষের জন্য যে নীতি তা ই রাজনীতি ।
অনেকে বলেন - মানুষকে নিয়ে যে ণীতি - তা ই রাজনীতি ।

রাজনীতি হলো - আসলে - রাজার নীতি ।
রাজার নীতি যদি হয় - জনতার রক্তে হোলী খেলে ক্ষমতায় যাবার হীণ নীতি - তাহলে বলি ও বলবো - এটা কোনো মানুষের হৃদয় রাজের নীতি হতে পারে না । এটা রাক্ষসের নীতি ।

সে ই হবে আসল রাজা - যার মন কাঁদবে জনতার জন্য ।
জনতার রক্ত পানের জন্য নয় ।

খালেদা জিয়া - একটি বড় বিরোধী দলের নেতা । দুই দ্ইবার প্রধাণমন্ত্রী ছিলেন ।
তাকে ও তার দলকে এতো সহজে যারা সন্ত্রাসী বলছেন - একবার ভেবে দেখবেন কি -
এটা যদি সন্ত্রাস হয় - তাহলে অধিকারের লড়াই কোন টি ?

সাধারন মানুষের প্রাণহানি যদি অধিকারের লড়াই হয় - তাহলে সন্ত্রাস কি ?

এই অস্বাভাবিক অবস্থার জন্য - বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের , অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ আর স্বাভাবিক
সভা সমাবেশ এ বাধা দান -একটি বড় ও মূল কারন হয়ে দাড়িয়েছে ।
খালেদা যদি খূব ক্ষুদ্র , অচেনা একটি দলের নেতা বা একজন সাধারন মানুষ ও হতেন- আমি
এই কোনঠাসা করাকে সঠিক বলে মেনে নিতাম না ।

সরকারী তোতা পাখীদের ভাষ্য অনুযায়ী - খালেদা সমাবেশ করলে- খালেদার ওপর জঙ্গী হামলা হতে পারতো বলে - তাকে বাঁচানোর জন্য সরকার নিরাপত্তা প্রদান করার চেষ্টা করেছে । ( স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও এ ব্যপারে এই রূপে বক্তব্য প্রদান করেছেন ।)

আওয়ামীলীগ মিছিল করলে- সমাবেশ করলে - সমাবেশস্থলে যেনো কোনো অঘটন না হয় , সে জন্য সমাবেশ স্থলকে নিরাপদ করা হয়- আর বিরোধী দলকে অফিসে আটকে রেখে , নিরাপত্তা দেয়া হয় ।
অবরুদ্ধ করে , নিরাপত্তা নামে চালানো হয় ।


প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে ।
বি এনপিও অনেক সমর্থক - এই অবস্থাকে চরম সংকট মনে করে - অশান্তির আর বিশৃঙখলার
কারন হলে বা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবার সঠিক সময় নির্বাচন করে- এই সময়কে কেউ যদি বেছে নিয়ে দেশের ক্ষতি সাধন করে - অশান্তি সৃষ্টি করে - তাহলে বিষয়টি কি দাড়ালো ?

সমাবেশ হলে- বি এন পি যতটুকু লাভবান হতো - তার থেকে অনেক বেশী লাভবান হলো -
এই অ ব্যবস্থা অপরিণত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ।

বি এন পি ২/৩ কোটি ভোটার - যারা সব সময় দোদুল্যমান ভোটার - একবার একে - একবার ওকে ভোট দেয় - সেই ভোটারদের সিমপ্যাথি পেয়ে গেলো ।
অপর পক্ষে - তাদের সমর্থকরা মাঠ গরম করবার সুযোগ পেলো , পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে - বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হলো -যে কারনে তারাকো জাতিসংঘে - রিপোর্ট পেশ করবার মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাধ্যতামূলক ছূটি সহ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ বা জাতিসংঘ থেকৈ বাংলাদেশের সদস্য পদ কেটে দেবার মতো সুপারিশ করবার সুযোগ পেলেন ।

আমি একটা কথা বলতে পারি- আওয়ামী লীগ আর বি এনপির এই কড়া সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে অনেকে ভাববেন - আমি বোধ হয় - তাদের শত্রু ।
আমি তাদের শত্রু নই , বরং উল্টোটাও হতে পারে ।
প্রমান করছি ।

আমি দেশ ও দেেশের মানুষের স্বার্থে কথা বলতে গিয়ে - সেটা যদি কারো বিপক্ষে যায় - তা আমার দেখার বিষয় নয় ।

বরং এই লেখা থেকে যদি - বি এন পি এবং আওয়ামী লীগের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় - তবে দেশ তথা দেশের সাধারন মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচে ।

সাধারন মানুষ , তাদের কাছে , সোনা , গহনা , খাদ্য সামগ্রী চায় না ।
জান মালের নিরাপত্তা চায় আর শান্তি চায় ।
তারা জানে =কোনো পার্টি এসে তাকে বাড়ী গাড়ী করে দেবে না ।
যে ৩০ বছল আগে নৌকা বাইতো - সে এখনো তা ই বায় ।
যে ৩০ বছর আগে ধান চাষ করেতো , ফলন কমে গেলেও - তা ই সে করে ।
ভাগ্যের চাকা , প্রত্যেকে নিজেরটা নিজেই ঘোরাবার প্রচেষ্টায় আছে । কেউ ঠেলা মেরে দেয় না ।


বর্তমান সরকার সমাবেশ ঠেকাবার জন্য - গাড়ী ঘোরা বন্ধ করে দিলো- যা নজিরবিহীন । কয়েকদিন পর ই ছিলেঅ ইজতেমা । এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে - ইজতেমার মুসল্লি হিসেবে যদি
বিএনপির কর্মীরা ঢাকায় ঢুকে পড়তো - সরকার তাদের আটকাতে গেলে হতো - ইসলামের বিরুদ্ধাচরন । যদি - ঢূকে পড়তো - কী করে ঠেকাতো ?
তাহলে- সেই দিন যানবাহন বন্ধ রেখে - খালেদা জিয়া কে অফিস বন্দী রেখে কী প্রমান করতে চাইলো সরকার ?

এই টুকু ই যে- সরকারের গায়ে কত শক্তি ?
বলি- অতিরিক্ত শক্তি দেখালে মানুষের ভক্তি বাড়ে না কমে ?

আওয়ামী লীগ, বিএনপি - যত সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাড়াবে- ততই আসলে - মানুষের হৃদয়ে বীতশ্রদ্ধ হবে । আমি যতই পাবলিককে মুখস্থ করাই না কেন - উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতির দায় - কম/বেশী দুই দলের ই নিতে হবে । এটা কাম্য নয় ।

এই পুরো চিত্রটির সবচে' ক্ষতিকর দিকটি হচ্ছে - এদের মুখেঅমুখি সাংঘর্ষিক অবস্থানের
সুযোগ যদি অপরাপর , যুদ্ধবিরোধী সহ- অন্যন্য সুযোগ সন্ধানীরা নেয় - পুরো ঘটনা থেকে সবচে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে এই দুটো দল । তার থেকে বেশী ক্ষতির স্বীকার জনগন ।
দু;দলের কারো কাছেই শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনা না ও থাকতে পারে - আর এটাই আরেকটা দূর্ভাবনা - যা অমূলক বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্চে না ।

আমি অকপটে স্বীকার করি- আওয়ামী লীগের সময়ে - বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে । শুধুমাত্র ইনফ্ষট্রাকচার নয়, শিক্ষ, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, মাথাপিছু আয়, বৈশ্বিক যোগাযোগ আর সামুদ্রিক বিজয় - কোথায় আসলে নয় ?

কিন্তু একটি পরিবারের দুই ভাইয়ের এক ভাই অন্য ভাইকে জোর জবরদস্তিত , পেশীর অহংকার দেখিয়ে , সাফল্যের বড়াই দিয়ে যদি অবরুদ্ধ করতে চায় আর তাতে পরিবারের মানুষ যদি বিভক্ত হয়ে একটা কেওয়াজ লাগে - সমাজ তাদের ভালো বলে না । তখন - সমস্ত অর্জন , চোখের আড়াল হয়ে , বদনামটাই প্রধান হয়ে যায় ।

ভালো কাজ আর সংসারের স্বচ্ছলতা দিয়ে তখন সেই বাজে পরিস্থিতিকে উতরে যাওয়া যায় না ।
দমন নীতিতে স্থায়ী সমাধান কখনো আসে না - যা আসে সহিষ্ণুতা , পর মত শ্রদ্ধার সংস্কুতি
বিকাশে ...


একক ভা্বে বিএনপি , আওয়ামীলীগের এতো মাথা ব্যথার কারন হবার মতো কোনো ম্যথমেটিকস আমার হাতে নেই । কেননা- বি এন পি শেষ যেবার ক্ষমতায় গিয়েঝে - তা ছিলো না একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা, তা ছিলো - জামায়েতের সঙ্গে যোগফলের বিজয় । জামায়েত যেখানে -ধ্বংস প্রায়- সেখানে বিএনপিকে একই সাথে কাগুজে বাঘ মনে করে - অপরদিকে - অবরুদ্ধ রাখবার কোনো যোক্তিক
গ্রাউন্ড আছে বলে আমি বা সাধারন মানুষরা মনে করেন না।

বি এনপি ধ্বংস করতে পারলে - লাভ বেশী কার ?
লাভ বেশী তার- যারা সবচে বেশী বেনিফিটেড হবে-
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যাদের সিরিয়াল নাম্বার ওপরের দিকে এগিয়ে আসবে ।
বলি কি !!!
যারা আজ আওয়ামীলীগ কে ব্যবহার করে , বিএনপিকে র্ধ্ংস করবার কুতসিত ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে -তারা যে আগামীকাল আওয়ামীলীগ এর গলঅ টিপে ধরবে না - তা কে বলবে >?
শত্রুরা, কিন্তু , তত শক্তিশালী হয় না , যতটা বন্ধু বেশী শত্রুরা হয়ে থাকে ।
তারা শুধূ , আওয়ামীলীগের নয়, দেশ ও রাষ্ট্র ও জনতার শত্রু ।
গণতন্ত্রের শত্রু ।
এরা , পারে না , এমন কোনো কাজ নাই ।

আজ রাষ্ট্র বিভক্ত হয়ে আছে ।
সাংবাদিক , আদালত, পরিবার , কোথায় নেই বিভক্তি ?
ভাইয়ের বুকে ভঅই ছুড়ি চালাবে - এ জন্য কি আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি ?
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে , বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপনায় , মানুষের প্রয়োজনে বাংলার মাটি স্বাধীন হয়েছে ।
সেই গৌরবজ্জ্বোল ইতিহাস এই মাটিতেই , বিরোধী মতাবলম্বীদের অবরুদ্ধ করে- সেই স্বাধীনতা'র অর্থ
পায়ে পিষে দিয়ে - এ্ই গৌরবজ্জ্বল দলটিকে কারা মানুষের চোখে ডিকটেটর বানাচ্ছে ?
তাদের ফায়দা কি ?

লিবিয়া , সিরিয়া, বাহরাইনসহ আরো অনেক মুসলিম রাষ্টের পর বাংলাদেশ তাদের তালিকায় আছে -এরকম একটি শংকা অনেক আগে থেকেই মনকে অশনি সংকেত দিচ্ছিলো । বর্হিবিশ্বের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্র তৈরীতে , আওয়মীলীগ, বিএনপি যদি নিজের অজান্তে গিনিপিগ হয়ে থাকে-
তাদের অ দূর দর্শীতা তাহলে হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ।

সাংবাদিকদের কাজ কি - ঘটনা তুলে ধরা না কি - দলাদলিতে জড়িয়ে পড়া ?
সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট দেয়- সাংবাদিকদের সরকারের রাজকোষ থেকে মাত্র ৫০০০ সাংবাদিকদের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার বা ৫০ হাজার টাকা করে প্রনোদনা দেয় না কেন ?
প্রয়োজন তাদের তীব্র থাকলে - অপ্রয়োজনেও ব্যবহার করা যাবে - শূধূমাত্র এই হীন উদ্দেশ্যে ?

গনতন্দ্রের ৪ টি ভিত্তি ।
পলিটিক্স
বু্যরোক্যাসি
আর্মি
গণমাধ্যম

গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে - বাকি ৩ টাকে ঘণিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে গঠনমূলক সমালোচনা ।
চামচামি বা চ্যালা চেমুন্ডাগিরি নয় । কিংবা - টু পাইস পাবার জন্য কাইকে ছাড় দেয়া নয় ।
গণমাধ্যমের ব্যপক ক্ষেত্র তৈরী করেছে - সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম , ফেইসবুক, ইউটিউব ,
সহ অন্যান্য বড় মিডিয়াগুলো ।
আমি বিশ্বাস করি - সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আসলে- টিভি চ্যানেল , পত্রিকা,
এবং অন্যান্য মাধ্যমের থেকেও আরো বেশী বিস্তৃত, অপ্রতিরোধ্য, গতিময় - যে কারনে-
মূহুর্তে লক্ষ লক্ষ শেয়ার আর লাইক এর বদৌলতে- তথ্য বিপ্লব ঘটে যেতে পারে নিমিষেই ।



বাংলাদেশ সোনায় সোহাগা একটি রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছিলো- এখানে বিদেশী শক্তির কতটা ইন্ধন , কতটা ভেতরের মীরজাফরেরা কাজ করছে - সেগুলি বের করবার এখনই যোগ্য সময় ।
খালদা জিয়ার জীবন বাঁচানোর নাটক করে, সাইক্লোজিক্যাল ট্র্যাপ এ ফেলে - যারা সরকার তখা সরকার প্রধানকে একটা উদ্ভুদ্ব পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলো - দূর দৃষ্টি থাকলে- তাদেরকে এক্ষুনি দমন করা দরকার। তাছাড়া- যখন তাদের মুখেঅশ উন্মোচিত হবে- তখন বড্ড দেরী হয়ে যাবে ।

মোফাজ্জণল হোসেণ চৌধুরী মায়া - অত্যন্ত সম্মানিত , দীর্ঘ ইতিহাস বিজড়িত একজন রাজনৈতিক
জননন্দি নেতা । লোকে বলছে-তার মতো নেতা যখন - জাতির এরকম কঠিন সময়ে ইতরামিতে সংযুক্ত হয়ে যায়-যে- খালেদা জিয়া বাড়ী সারানোর জন্য বালূ, সিমেন্ট ডেকে এনেছেন - তখন - সেটা লীগের জন্য এক বিরাট অপরিসীম ক্ষীতর কারন হয়ে দাড়ায় । তার এহেন বক্তেব্যের পরে জাতির সঙ্গে এরকম ইতরামি জাতীয় কথা না বলার বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা একান্ত জররিী ছিলো ।
আমার মনে হয় - তিনি ইতর নন । বয়েসজনিত কারনে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
৬০ এর পর তাই নেতা নেত্রীদের বিশঅল পার্কে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে ছেড়ে দিলে ভালো হয় ।
সেখানে তারা রবীন্দ্র সঙ্গীত শূনবে । তাজা শাকসব্জি খাবে, খেলা ধূলা করবে আর নিজেহর স্বাস্থ্যের যত্ন নিবে ।

সারা জীবন যারা মাঠে ময়দানে- মিছিল সমাবেশে কষ্ট, ত্যাগ, তিতিক্ষা করেছে - রাষ্ট্র কি তাদের
জীবনের শেষ কটা দিনও একটু স্বস্থিতে পার করবার জন্য উতসাহিত করবে না >?


কিছু কিছু টিভি চ্যানেল পত্রিকা কংগ্রেস আর অমিত শাহ নিয়ে পড়ে আছে ।
রোগীর বন্ধূ কে ?
এই টা জরুরী না কি মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর জন্য প্রথম দরকার ব্যথা নাশক ইনজেকশন ? ডাক্তারের মূল দায়িত্ব কোনটি ?


কাউকে রক্ষা করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
আমার উদ্ধেশ্য সাধারন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ।
আমাদের দেশেল এখন প্রথম দরকার - স্থিতি আর শান্তি ।
দমন , পীড়নে পৃথিবীর কোন দেশে শান্তি এসেছে - শূধু তাই জানতে চাই ।


গণমাধ্যম হলো ছূড়ির ন্যয় ।
এ দিয়ে মানুষ হত্যা করা যায় আবার এ দিয়ে অপারেশন করে জীবন রক্ষঅ করা যায় ।
ড দিয়ে ডাক্তার ।
ড দিয়ে ডাকাত ।
ছুড়ি ডাক্তারের হাতে গেলে অনেক জীবন রক্ষা পায় ।




আর যদি পুরো বিষয়টা এরকম হয় যে- সমস্ত ঘটনা , দুই নারীর ব্যক্তিগত রাগারাগির জের-
তাহলে- বলবো - শেখ হাসিনা , খালেদা জিয়া কারো না কারো মা ।
তোমরা ভুলে যেও না - আমরাও কারো সন্তান । আমাদের ও কেউ মা ।
আর
আমরা ঘরে ঘরে কিন্তু , বাংলা মায়ের সন্তান !!!


আমরা কেউ আওয়ামীলীগ, বি এনপি হয়ে জন্ম গ্রহণ করি নি ।
জন্ম গ্রহণ করেছি মানুষ হয়ে।
আসল পরিচয়টা ভুলে গেলে চলবে না ।

আমার হাতে একটি ছোট্ট টর্চ আছে ।
তোমরা যারা পথ হারিয়ে ফেলেছো - জানো না - কোন পথে যেতে হবে-
আমি একটা রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছি ।
সমাধানের একমাত্র পথ - আমাদের সকলের বর্তমান মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ।
লোভ আর প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ।
শত্রু, মিত্র চিনবার ক্ষমতা থাকতে হবে ।

সব ঠিক হয়ে যাবে ।




























মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.