![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা, মার্চ ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিএনপি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিনটি নিয়ে উদাসীন হলেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বীকার করেছিলেন দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা।
১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত এক লেখায় জিয়া নিজেই লেখেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল তার স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা।
এখন বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দিতে বিএনপির আপত্তি থাকলেও ওই লেখায় জিয়া নিজেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে উল্লেখ করেন।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কীভাবে বিষোদগার করা হত, তাও উঠে এসেছে জিয়ার লেখনীতে।
লেখায় মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর জিয়ার আস্থাও ফুটে উঠেছে। তিনি নিজেই লিখেছেন, ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ ও ’৭০ এর নির্বাচনে রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা। বলেছেন, ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বিদ্রোহের পর তিনি নিজেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় জিয়াসহ মুক্তিবাহিনীর তিন ফোর্সের অধিনায়কের স্মৃতিকথা ছেপেছিল। অন্য দুজন হলেন খালেদ মোশাররফ ও কে এম সফিউল্লাহ।
‘মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত ত্রয়ী ও তাদের স্মৃতিকথা’ শিরোনামের এই অংশে প্রকাশিত তিনটি লেখাই ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলা এবং দৈনিক গণবাংলায় প্রকাশিত হয়েছিল বলে বিচিত্রায় উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে বিচিত্রাসহ তিনটি পত্রিকায় বিলুপ্ত।
‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামের ওই লেখায় জিয়া লেখেন, ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোম্মুখ হয়ে উঠলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে থাকা বাঙালি কর্মকর্তারাও তার আঁচ পেতে থাকে। ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলতে থাকে।
“৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা আমাদের কাছে গ্রিন সিগন্যাল বলে মনে হল। আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিলাম,” লিখেছেন জিয়া।
রেসকোর্স ময়দানে ওই ভাষণেই বঙ্গড়বন্ধুর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় বাঙালির মনের কথা- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ওই দিনই স্বাধীনতার ডাক বঙ্গবন্ধু ইঙ্গিতে দিয়েছিলেন বলে মনে করেন তৎকালীন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সব বাঙালি, যা জিয়ার লেখায়ও স্পষ্ট।
লাখো মানুষের মহাসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে; যা অনুসরণ করে সশস্ত্র সংগ্রামের মহড়া শুরু করে দেয় ছাত্র সংগঠনগুলো, যাতে বিপুল সংখ্যক ছাত্রীর উপস্থিতি প্রেরণা যোগায় সবাইকে।
তবে এরপর বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়া খানের আলোচনা শুরুকে পরিস্থিতির উন্নতি বলে মনে করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক জিয়া। কিন্তু তা আর হয়নি।
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যায়, সেই সঙ্গেই শুরু হয় সশস্ত্র প্রতিরোধ, শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
জিয়া লিখেছেন, ২৫ মার্চ রাতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটালিয়ন তার নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে। আর বিদ্রোহের পরই তিনি বিষয়টি জানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
“সমস্ত পাকিস্তানি অফিসারকে বন্দি করলাম।... রিং করলাম বেসামরিক বিভাগের টেলিফোন অপারেটরকে। তাকে অনুরোধ করলাম ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার, ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবে তারা,” লিখেছেন জিয়া। তবে গোলযোগপূর্ণ ওই সময়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি অপারেটর।
এরপর আসে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যা চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারের ব্যবস্থা করেন বেলাল মোহাম্মদসহ দুঃসাহসী কয়েকজন। এতে পরে সংশ্লিষ্ট হন জিয়াউর রহমানও।
বিএনপি দাবি করে আসছে, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তবে বেলাল মোহাম্মদ এই বিষয়টি স্পষ্ট করে ২০১০ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। এরপর করেছিলেন জিয়া।
স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের বিষয়ে জিয়ার সম্পৃক্ততা তুলে ধরে বেলাল বলেন, “আমি তখন কী মনে করে উনাকে (জিয়া) বললাম, মেজর, এখানে তো আমরা সবাই মাইনর, একমাত্র আপনিই মেজর। আপনি কি নিজের কণ্ঠে কিছু বলবেন।
“তারপর তাকে কাগজ দেওয়া হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন।”
বিচিত্রার যে সংখ্যায় জিয়ার লেখা ছাপা হয়েছিল, সেই সংখ্যায় ‘কে’ ফোর্সের অধিনায়ক খালেদ মোশাররফের লেখায়ও উল্লেখ রয়েছে, মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন শেখ মুজিবের পক্ষে।
দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠানোর পর বিষয়টির অবসান ঘটাতে উচ্চ আদালতও নির্দেশ দেয়, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলতে। জীবদ্দশায় জিয়া নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রচার না করলেও বিএনপির তারপরও তা করছে। এমনকি মঙ্গলবার জিয়ার স্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে বলেন, জিয়াই ছিল স্বাধীনতার ঘোষক।
মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিষয়টি বিএনপি নেতারা সবসময় উপেক্ষা করে এলেও জিয়ার লেখায় স্পষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি তার আস্থা।
জিয়ার লেখার শুরুই হয়েছিল এভাবে- “পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই ঐতিহাসিক ঢাকা নগরীতে মি. জিন্নাহ যেদিন ঘোষণা করলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, আমার মতে সেদিনই বাঙালি হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ।”
পাকিস্তানিদের দৃষ্টিভঙ্গীদের অস্বচ্ছতা অল্পবয়সেই পীড়া দিত বলে উল্লেখ করেছেন জিয়া। সামরিক বাহিনীতে যাওয়ার পর এই অনুভূতি আরো গাঢ় হয়।
জিয়ার ভাষায়- “আমাদের ওরা দাবিয়ে রাখত, অবহেলা করত, অসম্মান করত, বলত- ‘আওয়ামী লীগের দালাল’। একাডেমির ক্লাসগুলোতেও সবসময় বোঝানো হত- আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন ওদের রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার আগে থেকে ভারতীয় সৈন্যদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণার কথাও লিখেছেন জিয়া।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তার লেখায় বলা হয়েছে- “যুদ্ধবিরতির সময় বিভিন্ন সুযোগে আমি দেখা করেছিলাম বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় অফিসার ও সৈনিকের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কোলাকুলি করেছি, হাত মিলিয়েছি। তখন দেখেছিলাম, তারা অত্যন্ত উঁচু মানের সৈনিক।
“তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে উঠেছিল, আমরা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলাম। এই প্রীতিই দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাশাপাশি ভাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করতে উদ্বুদ্ধ করেছে আমাদের।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমআই/১১০৫ ঘ.
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯
জারনো বলেছেন:
অথচ জিয়ার উত্তরসূরীরা এই মহা সত্যটিকে শুধু মাত্র হীনমন্যতা ও কুটিলতার কারণে অস্বীকার করছেন। একথা সত্যি যে তারা যতই স্বাধীনতার এই মহানায়ককে অস্বীকার বা অসৌজন্য বাক্য
ব্যবহার করুকনা কেন তাতে সেই মহানায়কের সম্মান ও শ্রদ্ধার এতটুকু কমতি হবে না।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:০৪
ফায়ারউলফ বলেছেন: বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি : ১৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার নির্দেশ::::::::
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) দুটি বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৩ জন অধ্যাপকসহ ১৮ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ছাড়াও জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দুই গ্র“পের মধ্যে দ্বন্দ্বে উৎসাহিত করা, ষড়যন্ত্র করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনতে বলা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ মামলা করতে বাউবির রেজিস্ট্রারের প্রতি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৩৩ জন শিক্ষককে হাইকোর্ট তলব করেছেন। ১২ মার্চ তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হারুন অর রশিদ, উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আরআইএম আমিনুর রশিদ, সাবেক ভিসি এরশাদুল বারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, সাবিহা সুলতানা, মাহফুজা চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেনকেও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনকে আসতেও আদালত অনুরোধ জানিয়েছেন। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে বলা হয়েছে, তারা হলেন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান, একই বিভাগের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন এবং অধ্যাপক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, বাউবির সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ফরিদ আহম্মেদ, বাউবির সাবেক শিক্ষক বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এ করিম, বাউবির সাবেক শিক্ষক বর্তমানে চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল উদ্দিন, বাউবির অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ গালিব আহসান, বাউবির সহযোগী অধ্যাপক নাজনীন জাহান, আরশেদ আলী মাতব্বর, ড. জোবেদা আক্তার, মিজানুর রহমান, এবিএম খায়রুল ইসলাম, মোঃ কুতুব উদ্দিন, ড. মোঃ আবদুল করিম, ড. মোঃ আবদুর রাহিম, বাউবির সাবেক ডিন ড. মোঃ আলিনুর রহমান, সাবেক প্রভাষক এইচএম দেলোয়ার আকবর ও বাউবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোঃ আনসারুজ্জামান। আদালত তাদের ১২ মার্চ তলবও করেছেন। এ ১৮ জন ছাড়াও অন্য যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেনÑ বাউবির শিক্ষক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম, ড. সাদিয়া আফরোজ সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন, আবু সাঈদ মোঃ রিপন, ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম, রাফসান মাহমুদ, মিসেস অনন্যা লাবণী, মিসেস শিরিন সুলতানা, এসএম রেজাউল করিম, মোঃ জাফর আহম্মেদ, মিসেস তাসরুন জাহান, মাসুদ মোঃ পারভেজ ও মোঃ কবির উদ্দিন। উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক সমাজ বিজ্ঞান ও পৌরনীতি বইয়ে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করায় ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করা হয়। জানা যায়, হারুন অর রশীদ ও শওকত আরা যৌথভাবে উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রামের পৌরনীতি দ্বিতীয় পত্র বই লেখেন। ওই বইটিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ গ্রেফতারের পর জনতা দিকনির্দেশনার অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়ে। জাতির এ সংকটকালে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান নিজেকে প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
এছাড়্ াসাবিহা সুলতানা, মাহফুজা চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একই প্রোগ্রামের সমাজ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বই লেখেন। এই বইয়ে ‘বাংলাদেশের জš§ ও ক্রমবিকাশ’ অধ্যায়ের এক অংশে বলা হয়, ‘অকুতোভয় মেজর জিয়া তার সঙ্গী বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে কেবল পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামই গড়ে তোলেননি, তিনিই প্রথম চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
পরে বই দুটিতে ইতিহাস বিকৃতি করার অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট আলতাফ উদ্দিন আহম্মেদ ও মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে এ রিট মামলা করেন। এ রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ওই বই দুটি বাজার থেকে প্রত্যাহারের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, পরবর্তীতে এমন ইতিহাস বিকৃতিসম্পন্ন বই প্রকাশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষা সচিব, উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রফেসর হারুন অর রশিদসহ ২৮ জনকে জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া বাজার থেকে বই দুটি বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। আদালত ওই ২৮ জনের তালিকা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২০ বি, ১৫৩, ১৫৩(এ), ৪৬৫, ৪৬৯, ৪৭১, ৪৭৪, ৪৬৮,, ৫০০, ৫০০(এ) এবং ৩৪ ধারায় মামলা করতে বলেন। এসব ধারার মধ্যে ১২০(বি) রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এবং এ ধারায় শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ভিসির আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রকৃত ইতিহাস সংশোধন করে ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে ওই ১৮ শিক্ষক জড়িত বলে বাউবির তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে এই বই দুটি সংস্করণের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রিটকারী দু’জনের পক্ষে শুনানি করেন ড. বেলাল হোসেন জয় এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডিএজি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেনা।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:০৫
ফায়ারউলফ বলেছেন:
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:১৫
তীর্থযাত্রী বলেছেন: জিয়া বলেছেন, তখন ফাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কে ভারতের দালাল বলতো।
আর এখন জিয়ার বউ খালেদা আযম আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল বলে।
এ থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম তা হলো, আসলে খালেদা জিয়া ফাকিস্তানের দালাল। কারন '৭১ সালে ফাকিস্তানিদের বক্তব্য আর এখন খালেদা আযমের বক্তব্য এক।
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: তীর্থযাত্রী বলেছেন: জিয়া বলেছেন, তখন ফাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কে ভারতের দালাল বলতো।
আর এখন জিয়ার বউ খালেদা আযম আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল বলে।
এ থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম তা হলো, আসলে খালেদা জিয়া ফাকিস্তানের দালাল। কারন '৭১ সালে ফাকিস্তানিদের বক্তব্য আর এখন খালেদা আযমের বক্তব্য এক।
সহমত।
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২২
ফায়ারউলফ বলেছেন: ""তীর্থযাত্রী বলেছেন: জিয়া বলেছেন, তখন ফাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কে ভারতের দালাল বলতো।
আর এখন জিয়ার বউ খালেদা আযম আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল বলে এ থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম তা হলো, আসলে খালেদা জিয়া ফাকিস্তানের দালাল। কারন '৭১ সালে ফাকিস্তানিদের বক্তব্য আর এখন খালেদা আযমের বক্তব্য এক।"" জয় বাংলা!!! জয় বঙ্গবন্ধু!!
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২২
ফায়ারউলফ বলেছেন: ""তীর্থযাত্রী বলেছেন: জিয়া বলেছেন, তখন ফাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কে ভারতের দালাল বলতো।
আর এখন জিয়ার বউ খালেদা আযম আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল বলে এ থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম তা হলো, আসলে খালেদা জিয়া ফাকিস্তানের দালাল। কারন '৭১ সালে ফাকিস্তানিদের বক্তব্য আর এখন খালেদা আযমের বক্তব্য এক।"" জয় বাংলা!!! জয় বঙ্গবন্ধু!!
৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২৪
ফায়ারউলফ বলেছেন: তীর্থযাত্রী ভাই প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৩১
ফায়ারউলফ বলেছেন: আরেফিন ভাইরে চেনা চেনা লাগে..
১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫১
মাহমুদডবি বলেছেন: ভাত পায় না চা খায় সাইকেল দৌড়াই হাগতে যায় দেশের অবস্থা এখন এমন।
১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
কস্ট বলেছেন:
অফেন্ডিং শেখ মুজিব-১ : ২৫ মার্চ , ১৯৭১ , টাইম ম্যাগাজিনের অদ্ভুত তথ্য
Click This Link
১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:০৯
াহো বলেছেন: +++++++++
তীর্থযাত্রী বলেছেন: জিয়া বলেছেন, তখন ফাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কে ভারতের দালাল বলতো।
আর এখন জিয়ার বউ খালেদা আযম আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল বলে।
এ থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম তা হলো, আসলে খালেদা জিয়া ফাকিস্তানের দালাল। কারন '৭১ সালে ফাকিস্তানিদের বক্তব্য আর এখন খালেদা আযমের বক্তব্য এক।
১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৪
রাজীব বলেছেন: আমাদের সরকারের কথামত জিয়া ছিল আইএসআই এজেন্ট পাকিস্তানের চর। তিনি কখনো কোন জায়গায় পকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করেননি।
অতএব বর্তমান সরকারের কথা বিশ্বাস করলে বলতে হয় যে জিয়া যদি সেই ভাষনকে গ্রীন সিগনাল ভেবে থাকে তাহলে সেটি ছিল পাকিস্তানীদের সাথে আপোষ করার সিগনাল।
আমি আরো একটি জিনিস বুঝিনা, শেখ মুজিব কি করে একজন পাকুপন্থী আইএসআই এজেন্টকে বীরউত্তম খেতাব দিলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের ওরা দাবিয়ে রাখত, অবহেলা করত, অসম্মান করত, বলত- ‘আওয়ামী লীগের দালাল’। একাডেমির ক্লাসগুলোতেও সবসময় বোঝানো হত- আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন ওদের রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।”