![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।
দেশে রয়েছে অনেক বড় বড় সরকারী বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান।সেই সব প্রতিষ্ঠানের মত জাক জমকপূর্ণ না হলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতার জন্য বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক নামক একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেবা কেন্দ্র।সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নন মেডিকেল শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীদের।তাদেরকে মেডিকেলের একটি স্বল্প সময়ের কোর্স করানো হয়েছে নিয়োগের পরবর্তী সময়ে তারপর হতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের একান্ত আন্তরিকতাই কমিউনিটি ক্লিনিক একটি রোল মডেল বিশ্বের মাঝে। এখানে শুধু যে বিষয় ভিত্তিক বিদ্যা থাকলেই যে একটি বিষয়ে দক্ষ হওয়া যাই, সেই প্রথা ছিন্ন করে দিয়েছে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা।তারা নন মেডিকেল পারসন হয়ে স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের কর্মস্পৃহা ও আন্তরিকতাই স্বাস্থ্য সেবাই যে ভুমিকা রেখে চলেছে তা সারা পৃথিবী মনে রাখব।
মনোবল আর আন্তরিকতাই অসম্ভবকেও সম্ভব করা যাই তার উজ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা।
বাংলাদেশের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকে সর্বোচ্চ নরমাল ডেলিভারী /বাচ্চা প্রসব করানো কমিউনিটি ক্লিনিক সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিক।এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী সিএইচসিপি তার মায়ের স্বপ্ন পুরণে কাজ করে পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত হতে জাতীয় পুরুষ্কার স্বাস্থ্য সেবাই অবদানের জন্য।
কেন সে এই পেশাকে এত ভালবাসে? তার সফলতার পেছনের কাহিনী কি?
ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোঃ হানিফুল ইসলাম । তার ছোট মনে কষ্টের দাগ কেটে গিয়েছিল তার মায়ের সন্তান হতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু। তখন সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।সেই সময়ে ঐ উপজেলাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তেমন ভাল ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল ছিল না। তাই মায়ের মৃত্যু চোখের সামনে দেখতে হয়েছে হানিফুলের।
হানিফুলের নিজের মনে কথা তুলে ধরলাম নিজে লিখা ইনবক্সে তার।
আমি তখন মায়ের জন্য কিচ্ছু করতে পারি নি
আমার মা আমার খুব প্রিয় ছিলেন
আমাকে অনেক আদর করতেন
আমার মা বলতেন আমাকে স্বাস্থ্য কর্মী বানাবেন
পরিবার অবস্থা তকন খুব বেশি ভালো ছিল না
তাই বিজ্ঞান বিভাগে পরতে পারি নাই
মা মারা যাওয়ার পর লেখা পড়ায় অমনযোগী হয়ে পড়ি
তখন আমার খালা আমাকে উনার বাসায় নিয়ে পড়ান
আমি ২০০৭ সালে দাখিল পাস করি
২০০৯ সালে আলিম পাস করি
আলিম পাস করার পর সিএইচসিপি পদে আবেদন করি
আমাকে ভাইবার জন্য সিলেক্ট করা হয়
আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিল আমার বর্তমান এমপি ও মাননীয় হুইপ এর বোনের ছেলে
তাই উনার প্রথমে চাকরি হয়
কিন্তু উনি ওনার ঐ সময় ইউনিয়নের সচিব পদে চাকরি হওয়াতে সিএইচসিপি যোগদান করেন নি
তারপর ২০১২ সালেন এপ্রিল মাসে আমার সিসিতে মাননীয় প্রকল্প পরিচালক কমিউনিটি ক্লিনিক, মাকদুমা ম্যাডাম সিসি পরিদর্শনে আসেন
তখন এই সিসির সিএইচসিপি পদ খালি ছিল
উনি সিসিতে থাকা অবস্থায় উনার অফিসে ফোন দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে যে আছে তাকে যোগদান লেটার পাটানোর জন্য বলেন
আমি এর এক সপ্তাহ পড়ে যোগদান লেটার হাতে পাই
১২ এপ্রিল ২০১২ সালে সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করি
এরপর হতেই সে এই ক্লিনিককে মনে প্রানে ভালবেসে কাজ শুরু করেন।যদিও তার কোন মেডিকেল শিক্ষা ছিল না।তার স্বপ্ন ছিল মাকে বাচাতে পারিনি।কিন্তু গ্রামের এলাকার মানুষের জন্য কিছু করব।তারপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং একজন বেসরকারী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ ডেলিভারী করানো কর্মীর সহযোগিতাই ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারী করানো শুরু করেন।এ বিষয়ে হানিফুলের বক্তব্য হলোঃ
আমি মনে করি আমার মাকে বাঁচাতে না পারলেও ।আমার মায়ের মতন কোন মায়ের অকালে মারা না যায় সেই জন্য কাজ করে চলেছি।
এজন্য আমি দিবারাত্রি কাজ করি
আমি যখন যোগদান করি তখন আমার কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা ভালো ছিল না।
এখন আমি আমার সিসি আমার মনের মতো করে সাজিয়েছি।
একটি সিসিতে যা দরকার সব কিছু আমার সিসিতে আছে ।
আমার সিসির ০৫ টি রুমের মধ্যে প্রতিটি রুম খুবি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখি।
এখন ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত নরমাল প্রসব করানো হয় । এই তরুণ ছেলে মেয়ে সারা দেশব্যাপী এই ভাবে কাজে মনোনিবেশ করে আছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলদেশ সরকার পাচ্ছেন দেশ বিদেশে অনেক সুনাম ও খ্যাতি।কিন্তু এই তরুণ মেধাবী স্বাস্থ্য কর্মীদের মনের একটাই কষ্ট তাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা নিয়ে। বাংলাদেশ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সকল কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এদের চাকুরী জাতীয়করণের মাধ্যমে নিশ্চিন্তে কাজ করার সুযোগ করে দিতেন।এটা শুধু হানিফুল না এমন শত শত ছেলে মেয়ে এ ভাবে তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চলেছেন। তাদের একটাই দাবী সরকারের কাছে তাদের চাকুরী জাতীয়করণ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো বাংলাদেশের ডিজিটালাইজড তথ্য ব্যবস্থার স্বাস্থ্য বিভাগের ১ম তথ্য সংরক্ষণ কারী এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। প্রতিটি ক্লিনিকে একটি করে আইটি ডিভাইস রয়েছে যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা চিত্র প্রতিদিন আপডেট হয় দেশের। এবং সকল কর্মী দক্ষ অনলাইনে। একাধারে এরা একজনই ৮ জনের দায়িত্ব পালন করেন সিসিতে।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: এরা এখন দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। এরা ডাক্তারী বিদ্যার কিছু না জেনেও সবাই স্বঘোষিত ডাক্তার হয়ে গেছে। আর মুড়ি মুড়কির মত ঔষধ দিয়ে এবং সঠিক ডায়াগনোসিস না করে সিস্পটোমেটিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে স্বাস্হ্যসমস্যা সৃষ্টি করেছে। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর মূল হোতা এদের মত কিছু স্বঘোষিত ডাক্তার!! কিছু ভালো দিক থাকলেও সমগ্রিক ভাবে তেমন কিছুই হচ্ছেনা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: এরা কিন্তু ডাক্তার না । এরা স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করে। আর আপনি যেটা বলছেন মুল তথ্য হলো ফাস্ট এইড এর যে ওষুধ গুলো দরকার সেটা এরা ব্যবহার করে যা মানব শরীরের খুব বেশী ক্ষতিকর না। কিন্তু গ্রামের যেসব অর্ধশিক্ষিত কোয়াব ডাক্তার রা না জেনে বুঝে এন্টিব্যায়েটিক হরহামেশা ব্যবহার করে এখন স্বাস্ত্য ঝুকি বাড়িয়েছে সেটা আপনি কিন্তু সেটা বললেন না। এই ক্লিনিকের কর্মীরা ত ফাস্ট এইডের খুব ভাল একটি প্রশিক্ষণ পেয়েছে কিন্তু গ্রামের ঐ সব ডাক্তার রা তাও ত জানে না। সব মিলে সিসি একটি উপকারী প্রতিষ্ঠান দেশের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
মেমননীয় বলেছেন: এদের সেবার কাহিনি শৃনে আমি মুগ্ধ! কসাই তৈরীর সকল মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেয়া উচিত।