![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।
বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যর অন্যতম প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিভাগ । বর্তমান আওয়ামলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে স্বাস্থ্য সেবার মানন্নোয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। তারই ধারাবহিকতাই দেশের সকল বড় বড় হাসাপাতাল বিশেশায়িত হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ সহ গ্রামীন স্বাস্থ্য সেবা জোরদারদার করণের লক্ষে কাজ করেছেন অকল্পনীয় । সারা দেশের হাসপাতালে ডাক্তার নার্স নিয়োগ সহ দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে চালু করেছেন একটি করে মিনি হাসপাতাল খ্যাত কমিউনিটি ক্লিনিক । এই প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী যিনি গ্রামীন জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহ স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে ৩টা পর্যন্ত কাজ করে চলেছেন। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলার জন্য দেশ স্বাধীনের পর হতে ইপিআই কর্মসূচি চলমান আছে। সেখানেও নিয়োগ রয়েছেন একজন এক্সপার্ট স্বাস্থ্য কর্মী । যিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ শিশু কিশোরী ও গর্ভবর্তী মায়েদের টিকাদানের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছেন।বর্তমান দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন জনকল্যাণকর সন্তুষ্টিমুলক ।
আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরো একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো বর্তমান ডিজিটাল যুগের সাথে সামঞ্জ্যতা রেখে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগ চালু করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা । মুহুর্তে মানুষ টেলিফোন ইন্টারনেটরে মাধ্যমে পাচ্ছে চিকিৎসা সেবা । এছাড়াও দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার রেকর্ড এখন অনলাইনে সংরক্ষণ ও করা হচ্ছে বিশ্বয়নের সাথে মিল রেখে। তৃণমুল পর্যায় হতে মানুষের স্বাস্ত্যসেবার তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে । কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃস্বাস্ত্য তথ্য এখন প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে অনলাইন স্বাস্থ্য তথ্য ভান্ডারে । আর এর মুলে তৃণমুল পর্যায়ে কাজ করে চলেছে একঝাক তরুণ মেধাবী যুবক যুবতী কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক।
এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে আরো বেগবান এবং সরকারের অযথা অর্থের অপচয় রোধে স্বাস্থ্য সেবার কাজের কিছু রদবদল আশু প্রয়োজন। তৃণমুল মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োগকৃত স্বাস্থ্য সহকারীগণ খুবই সুক্ষ ও দক্ষতার সহিত কাজ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে দেশে এখন পোলিও মুক্ত । কিন্তু তাদের মান সম্মত পদোন্নয়ন নেই । নামমাত্র দুইটি পদ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ে আছে যা দিয়ে স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন হয় না বরং সরকারের অর্থের অপচয় হয় । এখন স্বাস্থ্য সেবা ডায়নামিক সিস্টেমে চলছে । স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নামে দুইটি পদ বর্তমান দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে আছে । যাদের কাজ দেওয়া হয়েছে ইপিআই সেন্টার পরিদর্শন ও সহযোগিতা করা। আবার ইপিআই নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা উপজেলা পর্যায় আছে ইপিআই সুপারভাইজার । তাহলে এই দুজন ব্যক্তি কেন প্রয়োজন ।
প্রতিটি ইউনিয়নে আছে একজন প্যারমেডিকেল সম্পন্ন স্যাকমো যিনি চিকিৎসা সেবা সহ সার্বিক বিষয়ে দক্ষ। প্রতিটি ইউনিয়নে আছে ৩ টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক সেখানে আছে একজন করে প্রশিক্ষিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। চিকিৎসা , টিকা , স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত সকল কাজ ইউনিয়ন মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আওয়তায় নেওয়া হলে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে সহজে মনিটরিং সম্ভব। একজন স্যাকমো প্রতিনিয়ত মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা প্রদান করেন পাশাপাশি ইউনিয়নের সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের খবর সহজে রাখতে পারছেন স্থানীয় ভাবে। কাজে কোন ভুল বা অনিয়ম হচ্ছে কি না । সেই সাথে প্রতি উপজেলা পর্যায় ই্আপিই সুপারভাইজার পদ আরো ২ জন করে বাড়ানো হোক তাহলে ফিল্ড পর্যায় তারা পরিদর্শন করে ইপিআই কার্যক্রম দেখভাল করতে পারবেন।
আর এই স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদ সৃষ্টি হয়ে যাদের নির্ধারিত কোন উন্নয়নমুলক কাজ নেই এমন শত শত স্বাস্থ্য কর্মী বসে থেকে সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে চলেছে । এই পদ দুটি বিলুপ্ত করে তাদের কেও টিকাদান কর্মসূচি সহ স্বস্থানে কাজে নিয়োগ করা হোক এতে স্বাস্ত্য সেবার মান আরো উন্নত হবে মাঠ পর্যায় স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট নিরাসন হবে।
ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসাবে সকলকে কাজে যথা সময়ে উপস্থিত নিশ্চিকল্পে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেওয়া হোক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন । ক্লিনিকের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীকে প্রধান করে প্রতিটি ক্লিনিকের আওতায় গ্রামীন স্বাস্থ্য সেবা মনিটরিং এর ব্যবস্থা । আর প্রতিটি ক্লিনিক মনিটরিং এর দায়িত্ব ইউনিয়ন মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হোক । তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি চেন অফ কমান্ডে চলে আসবে জনগণ পাবে সঠিক সেবা সমুহ।
©somewhere in net ltd.