নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনশীলতাই বিশ্বাসী । পরিবর্তন চাই সর্বত্র।

উদভ্রন্ত বালক

আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।

উদভ্রন্ত বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরবেশ আরব শাহ একজন আধ্যাত্নিক পীর যার ছোঁয়ায় ঝিনাইদহের মাটি হয়েছে পূর্ণ ভূমি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

ষষ্টদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ( বিদ্যমান)


জেলা ঝিনাইদহের উত্তরাংশে অবস্থিত শৈলকুপা উপজেলার সদরে মাহী মসজিদ পাড়ায় ( দরগাপাড়ায়) দরবেশ আরব শাহের মাজার বিদ্যমান। অনেকে উহাকে ’মাওলানা সাহেব, - এর মাজার বলে থাকেন (A tombof Moulana Sahib)। মধ্যযুগীয় বাংলার অনুপম পুরার্কীতি শৈলকুপা শাহী মসজিদ সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে প্রাচীর ঘেরা দরবেশ আরব শাহের মাজার সহজেই চোখে পড়ে। তিনি ছিলেন একজন বুজুর্গ কামেল দরবেশ।তিনি সূতি নামক স্থানে ছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সূতি কোথায় তা জানা যায় না। জাগতিক সুখের প্রতি নিরাসক্ত হয়ে যিনি ধর্ম প্রচারে আত্ননিয়োগ করেন তিনি ”দরবেশ” নামে পরিচিত হন। পার্থিক সুখের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে ইসলাম প্রচারকে জীবনের আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সে কারণে তিনি হতে পেরেছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ “দরবেশ” এবং সার্থক পীর ।তাঁর নামের পূর্বে দরবেশ অভিধাটি সংযুক্তি তাঁর মাহাত্ন্য ঘোষণা করছে। স্থানীয়ভাবে “পীর সাহেব ও “মাওলানা” সাহেব নামে খ্যাত। পীর শব্দটি মুরশিদ” অর্থে ব্যবহৃত হয়। মুরশিদ আরবি শব্দ অর্থঃ পথ প্রদর্শক। মুরশিদ ধর্ম পথের প্রকৃত দিশারী ।দরবেশ আরব শাহ ছিলেন ধর্ম পথের দিশারী ।সে জন্যই তিনি পীর ও দরবেশ নামে আখ্যায়িত হন। অনেকে আবার পীর দরবেশ উভয় নামে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন।প্রতিদিন বহু ভক্ত ও পুণ্যার্থী মাজার জিয়ারত করতে আসেন এখানে।

দরবেশ আরব শাহর মাজারের স্থাপত্যিক বর্ণানা


আউলিয়া পীর-দরবেশ সুফি সাধক ও আধ্যাত্নিক বুজুর্গ ব্যক্তিদের পাঁকা কবরস্থান বা সমাধিস্থল মাজার নামে খ্যাত। পবিত্র স্থান ভেবে মুসলমানেরা মাজারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন। বাংলাদেশের বহু জায়গায় বিভিন্ন আকৃতির ছোট বড় অনেক মাজার দেখা যায়। জেলা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দরগা পাড়ায় (শাহী মিসজিদ পাড়ায়) অবস্থিত দরবেশ আরব শাহর সমাধি । পীর আরব শাহর মাজার নামে পরিচিত।
আলাউদ্দিন হুসাইন শাহর পুত্র সুলতান নসরত শাহর (১৫১৯-১৫৩২খৃঃ) রাজত্বকালে তাঁর ধর্মগুরু ও রাজকীয় মুরশিদ দরবেশ আরব শাহ ইন্তেকাল করেন। শাহী মসজিদের ঠিক ৬০’ পূর্বে তাকে সমাহিত করা হয়। উজির শাহ আলী পীরের কবরের উপর সুউচ্চ পাঁকা মাজার তৈরী করে দেন। কোন সালে মাজারটি নির্মিত তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অধিকাংশের ধারণা সুলতান নসরত শাহর আমলে এবং তাঁরই নির্দেশে মাজারটি তৈরী করা হয়। এ মাজারের পশ্চিমে তদীয় খাদেম সৈয়দ শাহ আব্দুল কাদের-ই-বাদদাদী ও পূর্বে উজির শাহ আলীর সমাধি আছে। এ মাজারের কাছে তার কয়েকজন শিষ্যের ও সমাধি বা কবর আছে বলে জনশ্রুতি আছে। আয়তকার এ মাজারের অভ্যন্তরীন দৈর্ঘ্য ৪৫’ ও প্রস্থ ৩০’। ভূমি থেকে মূল মাজারের উচ্চতা ৫’। পাঁচ ধাপ বিশিষ্ট মাজারের উপর অংশ অপেক্ষাকৃত ছোট এবং হালকা হলুদ রংয়ের মোজাইক করা। ইহার উত্তরে আরবী অক্ষরে “আল্লাহ” শব্দটি খোদিত করা।মাজার দুটির উপরে কোন ছাদ নেই । ফলে সরাসরি রোদ বৃষ্টি লাগায় ইহার আদি রুপ ও রং অনেকাংশে অস্পষ্ট হয়ে গেছে। মাজার সংরক্ষণ কমিটি ও খাদেম গোষ্ঠির এদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

বিঃদ্রঃ দরবেশ আরব শাহের জীবনী কৃতিত্ব পর্যাক্রমে সকলের জন্য তুলে ধরব ।
তথ্য সুত্রঃজেলা ঝিনাইদহের পুরাকীর্তি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উরস হয় কি? খাজার আসর হয়না? উরসে আয় ইনকাম কেমন? নারী পুরুষের জলসা বসে কি?
যদি উত্তর হ্যা, তাহলে সব বিনোদন। লুল! :#)

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা বলেছেন: সব ভন্ডামি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.