![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।
রহিমন বিবি কালীগড় গ্রামের একজন প্রবীন মহিলা । বয়স প্রায় ৮০ (আশিঁ) বছর । ২ ছেলে ২ মেয়ে । সম্পত্তি আছে মোটামুটি স্বামীর রেখে যাওয়া। ছেলে মেয়ে ছোট অবস্থায় স্বামী ইহলোক ত্যাগ করেন। নিজ পরিশ্রমে ছেলে মেয়েকে বড় করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চাকুরী বা ব্যবসায়িক করেননি কৃষি পরিবার তাই কৃষি কাজে এখন তারা গ্রামের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত মোড়ল কৃষক । জায়গা জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের দিন দিন পরিশ্রমের ফলে । রহিমন বিবির ছেলে মেয়েদের ছেলে মেয়ে এখন বিয়ে দিয়ে নতুন নতুন আত্তীয় সৃষ্টি হয়েছে ।সকলে নিজ নিজ আত্তীয় নিয়ে কাজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
এ দিকে রহিমন বিবি আগের মত আর শক্তি নেই শরীরে । এক সময় লোক লস্কার নিয়ে জমি চাষ দেখা শুনা করেছেন। পাড়ার কত বউ মেয়ে কাছে গল্প করতে আসত সকাল সন্ধ্যা । রসকসের মজার কত গল্প তখন বলতেন। সেই রহিমন বিবি এখন বয়সের ভারে মাজা নুয়ে চলাচল করতে হয় । মাঝে মধ্যে খুব রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন সে । তার ভাষায় মোটা ব্যামো হয়েছে । আসলে বার্ধক্য এসেছে তার শরীরে ।
রহিমন বিবি এখন শিশুর মত আচরণ করে সকলের সাথে । তার মন চাই তার যৗবনের গল্প কেউ শুনুক তার পাশে বসে। কিন্তু কেউ এখন আর তার কাছে আসে না বসে না । এমন কি তার সন্তানরা পর্যন্ত সময় পাই না তার মায়ের সাথে কথা বলার । সময় মত একটু ওষুধ ও নিয়ে আসতে ভুলে যাই রহিমনের ছেলেরা ।
কিন্তু তাতে কি রহিমন বিবি কিন্তু তাতেও কিছু মনে করে না কারণ তার বাড়ির পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক হাসপাতাল আছে সেখানে তার নাতির মত একজন নাতিছেলে আছে ( কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) সে গল্প করে ,তার শরীরের ভাল মন্দ জানতে চাই , একটু রসিকতা করে , এরপর হাতে তার রোগ অনুযায় ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠায়। সে নিয়মিতই এই কমিউনিটি ক্লিনিক হাসপাতালে আসে এই খাতিরে।
রহিমন বিবির অসুস্থতার একমাত্র ভরসাস্থল এই কমিউনিটি ক্লিনিক । রোগে শোকে এখন সে চলে আসে ক্লিনিকে । শুধু রহিমন বিবি না এমন অসংখ্য শিশু যুবক যুবতী প্রবীন মানুষ এখন হাতের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক পেয়ে স্বাস্থ্য সেবার ভরসা স্থল পেয়েছেন গ্রামীন জীবনে। অসহায় মানুষ গুলো এখন আর কারো মুখ পানে চেয়ে থাকতে হয় না তার রোগ নিয়ে ।
কমিউনিটি ক্লিনিক শুধু গরীব অসহায় মানুষই আসে না আসে শিক্ষক ,ছাত্র, মোড়ল,মাত্ববর, সহ সকলেই সেবা নিতে আসেন। সোহেল সাহেব পেশায় তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক । তার স্ত্রীর সন্তান ধারণকাল হতে শিশু জম্ম এবং শিশুর ১০ মাস বয়স এখন সে কমিউনিটি ক্লিনিক হতেই সেবা নিয়ে চলেছেন। বড় ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি ছোট খাট বিষয়ে । তবে এই এই ক্লিনিকের কর্মরত সিএইচসিপির পরামর্শ মত সে তার শিশুর যত্ন পরিচর্যা করেন। এবং সে মনে করেন এই ক্লিনিকে আরো উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদান কারী দরকার তাহলে গ্রামীন মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তারমতে কমিউনিটি ক্লিনিক জীবনের একটা অংশ এখন।
স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে হাতের নাগালে একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী থাকায় গ্রামীন জনগোষ্ঠীর ভুল চিকিৎসার শিকার হতে হচ্ছে না । অর্থের অপচয় হচ্ছে না । সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে ।
গ্রামে বসবাস কারী দরিদ্র অশিক্ষিত মানুষের কথা রোগ দিছে আল্লায় আবার সারণের ব্যবস্থা করছে সরকারের মাধ্যমে বাড়ির পাশেই একটি হাসপাতাল দিছে সে। সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা ভরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ( বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা) নামটিও উচ্চারণ করে শ্রদ্ধাভরে। কমিউনিটি ক্লিনিক এখন একটি বৃক্ষ যেখানে মানব সমাজ অনেক বিশ্বস্ততার সহিত সেবা নিতে পারে।
সমাজের রহিমন বিবির মত প্রবীন বয়সের অনেকেই এখন সেবা নিয়ে থাকেন , একটু কথা বলেন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে মন খুলে ।সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা মন খুলে প্রার্থনা করেন সেবাদানকারীর জন্য। তারা কোন উপহার দিতে না পারার কষ্ট বুকে নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন এবং এটাই উপহার হিসাবে দান করেন।
এই জীবন বৃক্ষ টিকে থাক হাজার বছর মানব কল্যাণে এমনটিই আশা এই বাংলার জনমানবের ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৮
উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: উদভ্রন্ত বালক ,
হুমমমমমমমমম......... লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষজনদের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি একটি আশির্বাদ হয়ে এসেছে ।
উপরে সহব্লগার "আবুল খায়ের সাইয়িদ রফিকুল হক" এর মতোই বলি ----আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। আরও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯
উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা জানাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১
আবুল খায়ের সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। আর এগুলো শুধু দরিদ্রশ্রেণী নয়---সর্বস্তরের মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
শুভকামনা রইলো।