নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনশীলতাই বিশ্বাসী । পরিবর্তন চাই সর্বত্র।

উদভ্রন্ত বালক

আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।

উদভ্রন্ত বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়দেব পুর রেল ষ্টেশনে প্রসব বেদনায় কাতর এক মায়ের নিরাপদ ডেলিভারী করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন স্বাস্থ্যকর্মী সিএইচসিপি, শামীমা নাসরিন (সিএসবিএ)

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ তার কর্মীবাহিনীর সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সুনামের উচ্চতর শিখড়ে আরোহন করছে । সরকারের সকল দপ্তর ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের স্বল্পতম ছুটি দিয়ে ঈদের পরদিন হতে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে কাজে নেমে পড়ছেন কর্মীরা। দেশের তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিকও সেই সেবার সাথে জড়িত হয়ে কাজ করে চলেছেন দেশের প্রায় ১৪০০০ হাজার প্রশিক্ষিত তরুণ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) । তাদের হাতে সেবা পাচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শিশু ,কিশোর, গর্ভবর্তী, প্রবীণ পুরুষ মহিলা। সারা দেশব্যাপী নিশ্চিত করছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারী বিনা খরচে এই সিএইচসিপিরা ।

গত ৫/০৭/২০১৭ তারিখে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় কর্মরত সিএইচসিপি শামীমা নাসরিন এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আজ তার কর্মের মাধ্যমে। গাজীপুর হতে ট্রেনযোগে ছেলেকে আজ যাচ্ছিলেন টাঙ্গাইল পথিমধ্যে জয়দেবপুর রেল স্টেশনে ট্রেন থামেন সকাল ৯।০০ টায় । শামীমা নাসরিন ট্রেনে বসে ছিলেন হঠাৎ স্টেশনে পাশে দেখতে পান কিছু মানুষের জটলা চেচামেচি । সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার হাসিনা বেগম তার পরিবারের সাথে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন গাজীপুর হতে । জয়দেব পুর রেল স্টেশনে আসলে তার প্রসব বেদনা উঠলে দিশেহারা হয়ে পড়েন তার স্বামী । আশপাশের লোকজন দাড়িয়ে তাদের আত্তচিৎকার শুনছিলেন কিন্তু শামীমা সে কাজ আর করেনি। তিনি তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে কাজে নেমে পড়েন এবং স্বাভাবিক সফল একটি ডেলিভারী করান । মা ও শিশু উভয় সুস্থ্য আছেন।

ঈদের ছুটি শেষে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম টাংগাঈল সকাল ৯ টায় ট্রেন বসে আছি জয়দেব পুর ষ্টেশনে হঠাৎ কিছু মানুষেের চেচামেচি শুনে কাছে গিয়ে দেখি এক মহিলার প্রসব বেধনা শুরু হয়েছে মহিলা ব্যাথায় কাতরাচ্ছে আর লোক জন তা ভীর করে দেখছে এগিয়ে গেলাম সাথে স্বামী আর ছোট দুই টা বাচ্চা, উপায়ন্তর না পেয়ে প্লাটফর্মে শুয়ালাম। দুইটা উড়না দিয়ে চার পাশে বের দিয়ে ডেলিভারী করালাম ।

কিন্তু বিপদে পরলাম নাভী বাধা নিয়ে এই সময় আমার ছেলে তার ব্যাগ থেকে সুতা বের করে দিল যেটা নিয়েছিল তার মশারী সেলাইয়ের জন্য যাই হউক সবশেষে নিরাপদ ভাবেই ডেলিভারী টা করতে পারলাম তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া জানাই আমার সিএসবিএ ট্রেনিং আজ সার্থক মহিলাটার বাড়ী সিরাজগ্জ বেলকুচি দোয়া করবন সবাই এভাবেই যেন সেবা দিতে পারি সারাটা জীবন######

সিএইচসিপি শামীমা নাসরিন শিখা গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার কপালীস্বর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। তিনি কমিউনিটি স্কীল বার্থ এটেনডেট( সিএবিএ) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন স্বাস্থ্যকর্মী।

এভাবেই সেবা দিয়ে চলেছে দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি । তবুও তারা আজ হতাশায় আবর্তিত তাদের চাকুরী নিয়ে । জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময় গণমানুষের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সকলে বিনিময়ে সরকারের কাছে একটাই প্রত্যাশা তাদের শুধু চাকুরীটি জাতীয়করণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সেবাদানের পথ স্থায়ীভাবে উন্মুক্ত রাখা।
তথ্যসূত্রঃ তথ্যসুত্রঃ ফেসবুক লিংক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: পত্রিকাতে এই নিউজ টা চোখে পড়ে নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.