নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনশীলতাই বিশ্বাসী । পরিবর্তন চাই সর্বত্র।

উদভ্রন্ত বালক

আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।

উদভ্রন্ত বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণ সম্পৃক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন রাজনৈতিক আধিপত্য ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২২



বর্তমান সরকার জনগনের সরকার ।উন্নয়নশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সঠিক নেতৃত্ব প্রদান কারী এই সরকারের সাফল্য অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ডিজিটালাইজড । দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠ পরিচালনা ও জবাবদিহিতার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় জনগণকে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্তকরণ । এটি একটি খুবই ভালো উদ্যোগ একটি উন্নত রাষ্ট্রের জন্য শিক্ষিত সমাজের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি হয়ে দাড়িয়েছে অনেকাংশে ভয়ংকর পর্যায় বলা চলে । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য সম্মানী ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এখন পরিচালনা পর্ষদ নামে কমিটি করা হচ্ছে । এ সকল গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসাবে সে সকল ব্যক্তি কমিটিতে স্থান করে নিচ্ছেন, অত্র এলাকার রাজনৈতিক নামধারী অক্ষরজ্ঞান হীন ব্যক্তিরা । বিশেষ ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে যাচ্ছেন অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধি যিনি শিক্ষা স্বাস্থ্য বিষয়ে নিরুৎসাহিত বাট উৎসাহিত এখান হতে কত টাকা আয় করা যায় এবং কতটা ক্ষমতা ব্যবহার করা যায়, সবোর্চ্চ শিক্ষিত সম্মানিত শিক্ষক স্বাস্থ্য কর্মী সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীর উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে এখন ব্যস্ত এই জনসম্পৃক্ত নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচালনা পর্ষদ নামের কমিটির ব্যক্তিবর্গ ।

আমি এই পরিচালনা পর্ষদের কোন বিরোধীতা করছি না বরং এটা কে সঠিক ও সুন্দর এ্কটি পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছি বর্তমান বাংলাদেশে । তবে এই ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি অন্তভূর্ক্ত হওয়া জরুরি বলে মনে করি আমি ।

যেমন ঃ যে কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের জন্য প্রতিষ্ঠান অনুযায় যিনি সভাপতি সহ অন্যান্য সদস্য নির্বাচিত হবেন তাদের একটি শিক্ষা যোগ্যতা থাকা খুবই জরুরী । সেই সাথে স্থানীয় ভাবে সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত এভিডেন্স থাকতে হবে।

একটি যে কোন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্টান বা স্বাস্থ্য প্রতিষ্টানের সভাপতি হতে হলে তাকে নূন্যতম বি, এ পাশ ডিগ্রিধারী হওয়া আবশ্যক এবং স্থানীয় ভাবে সম্মানিত ব্যক্তি । শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না । সেই সাথে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে । এখানে ভালো গুণের গুরুত্ব দিতে হবে । এবং অন্যান্য সদস্যদের নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতে হবে । তাহলে একটি পরিচালনা কমিটি বুঝবে একটি প্রতিষ্টানের সাথে জড়িত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সম্মান কি ? এবং সেখানে তার দায়িত্ব কর্তব্য কি?

বর্তমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে বসে থাকচেন সেখানে রাজনৈতিক দাপট দেখাচ্ছেন বাট উন্নয়নের কিছুই হচ্ছে না বরং সরকার যা বরাদ্ধ দিচ্ছেন সেটা লুটেপুটে খাচ্ছে প্রতিষ্ঠান কিছুই করতে পারছে না । দেশে এখন ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার যার ফলে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ তার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে । দেশের দুর্নীতি ক্রুমেই বেড়ে চলেছে ।


এই সকল কিছুকে পরিবর্তন করতে হলে সরকারকে প্রথমেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । সংশোধন আনতে হবে পরিচালনা পর্ষদ নামে যত কমিটি এ্ দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আছে সেখানে । রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে হবে প্রতিটি দপ্তরের প্রশাসনিক বিভাগকে । সকল দপ্তর তার প্রশাসনিক কাজ দপ্তরের শৃঙ্খলা অনুযায় করতে পারে বাইরের প্রভাব মুক্ত হয়ে । তাহলে দেশের মানুষ সরকারের ঘোষিত সকল সুবিধা খুব সহজেই সঠিক ভাবে পাবে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত প্রতিষ্ঠান এখন সাধারণ মানুষের দাবি। কারণ, একজন নেতারা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করলেও এখন করে স্বার্থস্বীদ্ধির জন্য।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.