নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনশীলতাই বিশ্বাসী । পরিবর্তন চাই সর্বত্র।

উদভ্রন্ত বালক

আমি বই পড়তে ভ্রমন করতে আর আড্ডা দিতে ভালবাসি । জীবনে কাছের মানুষের দ্বারা অধিক কষ্ট প্রাপ্ত একটি ছোট্ট জীবন আপনাদের মাঝে আসলাম ।

উদভ্রন্ত বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান কয়লা ও সোনা কাহিনীর উপর কিছু কথা ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

দুনীর্তি এমন পর্যায় যে কারো কোন কনফিডেন্ট নাই এই দেশ পরিচালনায়।তাই সোনা পিতল হচ্ছে আর কয়লা হাওয়া হচ্ছে মিডিয়ায় দৌলতে সরকার বুঝে উঠার আগেই দুর্নাম যা রটার তা আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে বিষাক্ত ধোয়ার ন্যায়। প্রবাদ বাক্যর ন্যায় চিলে কান নিয়েছে এখন চিলকে ধরো । দে দৌড় কয়েক মাঠ পেরিয়ে মনে হলো কান কোথায় ওটা ত মাথায় থাকার কথা দেখি হাত দিয়ে দেখে সব ঠিক আছে হুজুগে এত পরিশ্রম করা হলো ।

এবার আসল কথায় আসি । গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট হতে সোনা লোহায় তামায় পিতলে পরিণত হয়ে গেছে বলে বিরাট এক সংবাদ প্রকাশিত হলো । সকলে এ দেশ রসাতলে যাচ্ছে সরকার দেশ বিক্রি করে ভাজা মুড়ি খাবে কত কি রসদার কথাবার্তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলল । পত্রিকা টিভি চ্যানেল কত মধুর মধুর সংবাদা ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট দিতে থাকলেন । শেষ সার্বিক তথ্য তদন্ত শেষে জানা গেল ৯৬৩ কেজি স্বর্ণের মধ্যে মাত্র ৩ কেজি স্বর্ণে গড়মিল হয়েছে । কিন্তু সরকারের যা হবার তা আগেই মিডিয়া কাম সেরে দিয়েছে চোর বানিয়ে ।

এবার আসি চলমান ইস্যু কয়লা নিয়ে । প্রবাদ বাক্য কয়লা ধুয়লে যায় না ময়লা । তাই কত কিচ্ছা কাহিনী এখন দেখতে পাচ্ছি এই কয়লা নিয়ে । আজ সকালে ATN বাংলা চ্যানেলে মুন্নি সাহার সঞ্চালনায় পাওয়ার কথা অনুষ্ঠানে সাবেক পরিচালক পেট্রোবাংলার কিছু কথা শুনে মনে হলো আমরা চিলের পিছে ছুটায় অভ্যস্ত আর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি দুর্নীতি করতে করতে ।মানুষের বেচে থাকার জন্য ৫ টি মৌলিক চাহিদা থাকে তার মধ্যে অন্যতম খাদ্য । খাদ্যর অভাব হলে তখন অন্য কিছুর চিন্তা থাকে না আগে খাদ্য যোগাড় করি তারপর সেটা পরিষ্কার না অপরিষ্কার তখন বিচার করা যাবে । ঠিক তেমনি একটি দরিদ্র দেশ হতে উন্ননয়শীল দেশে পর্দাপণ করতে গিয়ে বর্তমান বাংলাদেশে অনেক কিছু চোখে পড়ছে এবং সেটা সমাধানও হচ্ছে এটা আমাদের খুবই পজেটিভ দিক । কারণ সমস্যা না হলে সমাধানের পথ খুজে পাওয়া যায় না শেখাও যায় না ।

সকালের অনুষ্ঠানটি দেখে যেটা মনে হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা গায়েব বা লোহা তামা পিতলে পরিণত সংবাদের মত কয়লার সংবাদ টাও ভিত্তিহীন হবে কিন্তু ততক্ষণে সরকারের ইমেজের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে মিডিয়া । আর সরকারের দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ আমলা মন্ত্রী এমপি গুলো । কারণ এরা কেউ কনফিডেন্ট নিয়ে কথা বলতে পারেন না যে, আমি দুর্নীতি করিনি । যে কেউ আঙুল তুলে দেখিয়ে যদি বলে আপনি চোর অমনি সে ভেবাচ্যাকা খেয়ে ফেলে কারণ সে কোন না কোন ক্ষেত্রে এ দেশে চুরি করেছে তাই তার মনের মাঝে খটকা লেগে থমকে যায় যে উনি কি কিছু জেনে ফেলল। আর যদি সৎ থাকতেন ঠাটিয়ে একখান চড় বসিয়ে বলতেন কোথায় চুরি করেছি প্রমাণ করে বলেন আমি চোর এর আগে নহে চোর শব্দ উচ্চারণ করা । সেই সৎ সাহস এই দেশের আমলা মন্ত্রী এমপিদের নেই তাই দেশের উন্নয়ন কাজ গুলো হুজুগে শব্দে বাধা গ্রস্ত করে সময়ক্ষেপন করা সহজ হচ্ছে ।

পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায় ১লক্ষ ৪২ হাজার টন কয়লা মোট উৎপাদনের ১.৪% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে যা প্রতি বছর বছর রিপোর্ট করা দরকার ছিলো দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কয়লা খনি এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে । তাহলে এই চুরি বা সরকারের দুর্নাম আসত না ।২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টন।

কয়লা/মাটি/বালু এগুলো পানি মিশ্রিত পদার্থ । এগুলো স্থান্তরের সময় ওজন পরিমাপ কম গতে থাকে । যেমন সকলে জানেন এক ট্রাক বালু যদি কোথাও আপনি ট্রাক হতে মাটিতে রাখেন তখন বালু ওখানে শুকাতে থাকবে , মাটিতে মিশতে থাকবে ,বাতাসেও উড়বে । পরবর্তী আবার গাড়িতে উঠানোর সময় কিছু বালু ঔ মাটিতে পড়ে থাকবে সম্পূর্ণ গুছিয়ে গাড়িতে তোলা যাবে না ফলে ৫০০ সেপ্টি বালু নামালে উঠানোর সময় নূন্যতম ১ সেপ্টি বালু অপচয় হয়ে ৪৯৯ সেপ্টি বালু গাড়িতে উঠল । এবার এমন যদি ৫ টি স্থান পরিবর্তন হয় তাহলে ৫ সেপ্টি বালু কমে গেল কিন্তু সরকারের খাতায় ত ৫০০ সেপ্টি ক্রয় দেখানো হলো । এটা প্রতি হিসাবে অপচয় ৫ সেপ্টি দেখানো না হলে এমন তের বছর বছর হিসাব করলে কয়েক লক্ষ হাজার সেপ্টি বালু অপচয় হবে এবং সেটা একত্রে সকলের চোখে পড়বে । কারণ হিসাবটা কত বছরের সেটা কেউ দেখছে না বরং চুরির হিসাবটা এ বছরের সেটা দেখছে সকলে । তদ্রুপ কয়লা খনি হতে হিসাব করে তোলায় হয় বাট প্রসেসিং সহ ব্যবহার পর্যন্ত যদি এমন অপচয় হতে থাকে আর সেটার হিসাব এই তের বছর পর করে একবারে ধরিয়ে দেওয়া হলো চুরি হিসাবে । আর চোরের দল সেটা যাচাই বাছাই না করেই নিজের দোষ চাপা দিতে পাগলের মত এর দোষ ওর দোষ হেন তেন পাগলের মত বকা বকি শুরু করল আসল তথ্য উৎঘাটন না করে । মূলত যে হিসাবটি এখন আসার সম্ভবনা আছে তা হলো কয়লা খনির সঠিক হিসাব রিপোর্ট সংরক্ষণ না করা ।

এই লিখাটি সরকারকে তুষ্ট করার জন্য নহে একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে বিভিন্ন বিশেজ্ঞদের তথ্য আলোচনা শুনে আমার মনে হলো এই সকল ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশ একদিন সর্বদিক দিয়ে প্রতিরোধ প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরী ও স্বাবলম্বী হবে ঠেকা খেতে খেতে । তারজন্য প্রয়োজন আমাদের সততা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলা । কেউ চোর বলল সঙ্গে সঙ্গে সেটা যাচাই বাছাই ছাড়াই মেনে নেওয়া সততার পরিচয় না । সরকারের দায়িত্বশীলদের আরো দায়িত্ববান হওয়া এখন সময়ের প্রয়োজন দেশকে এগিয়ে নিতে । কোন কান কথায় বিচলিত না হয়ে ।

মোঃ মাজেদুল হক
স্বাস্থ্যকর্মী

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

সরকারে বাঁচাতে এত নগ্ন অপচেষ্ট!!!!

আপনার কথা মতোই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩ কেজি সোনা গায়েব!!
৯৬৩ কেজির তুলনায় ৩ কেজি বলে আপনি হালকা দেখাতে চেয়েছেন!
কিন্তু আপনি ভূলে গেছেন ওখান থেকে ১ রত্তি সোনা গায়েবও অতংকজনক!
এটা হতে পারবে না। গত ৩০ বছরে হয় নি! এখন কেন হয়???

আর ১ সিএফটি করে বুঝি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টন কয়লা চুরি জাস্টিফাই হয়ে যায়!!!
নেভার এভার! গাঞ্জা খাইলে নাকি তালগাছের উপর বাজার দেখে
সেভাবে হিসাব মিলালে ১ লাখ ৪০ হাজার টন আর কি ১ কোটি ট্ন চুরিও সহজেই মিলায়ে দিতে পারবেন।
কি অদ্ভুত আপনাদের মন মানসিকতা!!
বঙ্গবন্ধুর চোরের খনি বুঝি আবার একটিভ হল স্বাধীনতার ৩৬ বছর পর!!!


সো ধানাই পানাই দিয়ে আর যাই হোক সরকারের ব্যার্থতা আর চোরের চুরি জাস্টিফাই হয় না। হবে না
যারা করতে যাবে তারাও তার বেনিফিসিয়ারী বা ঘেটুপুত্র বলেই বিবেচ্য হবে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: আমি সরকারকে বাঁচাতে নহে । চুরি চুরিই । আর চোর দেশের দায়িত্বশীলরা এটা আমি বলে গিয়েছি পোষ্টে । কিন্তু সঠিক প্রতিবেদন প্রমাণ এর পরই তাকে সাব্যস্ত করা উচিত আগে নহে। তবে এই সকল ধরা খাওয়ার ভিতর দিয়ে দেশের অনেক বিষয়ে জনগণ সরকার সকলে সচেতন হতে পারছে বলে আমি মনে করি । যাইহোক এটার প্রমাণ হোক চুরি হয়েছে বিচারও চাই চোরের সেই সাথে পরবর্তীতে এর সঠিক পরিচালনার নীতিমালান সহ পরিচালিত হোক । কারণ এই সম্পদ জনগণের । কোন চোরের বাপের না । জীর্ণশীর্ণ জরাগৃস্থ গৃহ হতে দালানে যাওয়ার সময় অনেক কিছুই নজরে আসে আমাদের দেশেরও এখন তাই ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মুন্নি সাহার সঞ্চালনা ?
পুরা পোস্টটাই অসার করে দিলেন!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: দেখুন আলোচনার কথা গুলো বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হলো । প্রতি বছর বছর হিসাব টা পেশ করার দরকার ছিল তাহলে বোঝা যেত প্রতি বছর কত টন কয়লা গায়েব/চুরি হলো।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা হা... জনাব, চুরি তো চুরিই। এক ট্রাংক পানিতে একফোঁটা কেরোসিনই যথেষ্ট। তদন্ত করে যদি সোনা চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া না যেতো তাহলে অবশ্য কথা ছিলো।
আর মিডিয়াকে মাথায় তুললে এমন তো হবেই। মিডিয়ার জন্য কি আইন নেই?! এসব প্রয়োগ করার সৎ সাহস, যোগ্যতা কোনটাই ক্ষমতাসীনদের নেই।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: ঠিক বলেছেন চুরি ত চুরিই । ১০ হাজার কোটি টাকা চুরি হলো । এর পর সোনা । এখন কথা হলো এক সময় চুরি হতো কোটিতে এখন কমতে কমতে হাজারে । এক সময় প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন হবে শূন্য চলে আসবে । আমাদের সকলের সচেতনতায় সেই শূন্য নিয়ে আসতে হবে । কয়লা নাকি মাঝ পথে ট্রাকে করে নিত জনগণ দেখত বাট প্রতিবাদ করত না এখন এই আলোড়নে তারা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠবে । তাদের উঠতে উৎসাহিত করতে হবে । সকল দুর্নীতির বিরুদ্দে ।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন চুরি ত চুরিই । ১০ হাজার কোটি টাকা চুরি হলো । এর পর সোনা । এখন কথা হলো এক সময় চুরি হতো কোটিতে এখন কমতে কমতে হাজারে । এক সময় প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন হবে শূন্য চলে আসবে ।

হাসব না কাঁদব!???
ভাই আপনার মুথামুথা ঠিকাছেতো! আপনি বললেন-এক সময় চুরি হতো কোটিতে এখন কমতে কমতে হাজারে!!! এই হাজার কি শুধুই হাজার না হাজার কোটি? দশ হাজারের পরে কোটিটা চোখই পড়ে নি???
আগে চুরি হতো শুধু কোটি টাকা, এখন হচ্ছে হাজার কোটি, লক্ষ কোটি!
এটা কি কমার লক্ষন!!!!! সেলুকাস! একি শোনালেন!!!!

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: পুরোটাই তেলতেলে B-))

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এখন সবাই আপনাকে কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই দালাল উপাধি দিয়ে দিবে।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এখন সবাই আপনাকে কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই দালাল উপাধি দিয়ে দিবে।
ভাই এখানে দালাল উপাধি দেয়ার কিছু নেই। একটু মাথা খুলে ভাবুন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টের মত এত সিকিউর জায়গা থেকে ৩ কেজি সোনা এদিক সেদিক হেয়েছে এরপর যে ৩০০ কেজি হবে না এর কি নিশ্চয়তা আছে? আর আপনি ৯৬৩ কেজি জায়গায় ৩ কেজি বলে ৩ কেজি সোনাকে খাটো করে দেখবেন? আবার সেদিন নিউজে দেখলাম সোনালী ব্যাংক থেকে নবাবি আমলের হীরা 'দরিয়া-ই নূর' উধাও হয়ে গেছে।
আবার তের বছর মাটিতে থাকার কারনে এক লক্ষ চল্লিশ টন কয়লা হাওয়ায় উড়ে গেছে?
স্যালুট জানাতে ইচ্ছা করে ভাই আপনাদের।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকারি যেকোন সংস্থা, তেলের ডিপো, খাদ্যগুদাম, রেলওয়ে, বিমান বা যে কোন সংস্থাই বলেন - দুর্নিতির স্বর্গরাজ্য।
পিয়ন থেকে ডিজি পর্যন্ত সবাই চোর।

তেলের ডিপো ও খাদ্যগুদামে ৬ মাস পর ইন্টার্নাল ইনভেন্টরি, প্রতি বছর অডিট। সারা বছর ধরে যত চুরি হয়। বছরশেষে অডিটে সমন্নয় করা হয়। সেখানেও দুর্নিতি। ঘুশের মাধমেই সমন্নয় করা হয়।

তবে যা বুঝলাম কয়লা খনির ব্যাপারটা একটু জটিল।
বাংলাদেশে এই প্রথম একটি কয়লাখনি ম্যানেজ করেছে।
কয়লা উঠানো হয় ওজন হিসেবে (একটি ছোট ট্রলি, কয়লা ধরে দেড় টনের মত) একটি খোলা মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়।
কিন্তু সরবরাহ বা বিক্রি করা হয় আয়তন হিসেবে (কিউবিক মিটার) কিন্তু পরে ওজনে কনভার্ট করে মুল্য হিসেব করা হয়। এতে অনেক এরর থাকার কথা।
কয়লার একমাত্র ক্রেতা খনি সংলগ্ন ৩ টি সরকারি বিদ্যুতকেন্দ্র।

যেহেতু ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সরকার তাই হয়তো অবহেলা ও মোজুদ অব্যাবস্থাপনা বেশী ছিল। স্বাধীন পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে প্রতি বছর অডিট হয়নি। ইন্টার্নাল ইনভেন্টরি পর্যন্ত হত না, ১.৫% সিস্টেম লস ও ৫% টেকনিক্যাল লস (ভেজা কয়লা)২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কখনো প্রতি বছর সমন্নয় হয়নি।
কেন হয়নি কার অবহেলায় হয়নি তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

কয়লা চুরি হয়নি এমনটা ভাবাও বোকামি।
ইটখোলাদের কাছে নিয়মিতই বিক্রি করেছে চোর, খুবই বোকা চোর। হিসেবও জানে না, প্রতি বছর হিসেব করে সমন্নয় করতে হয় সেটাও জানে না। চো্রের দল এখন ভয়ে হজে চলে গেছে।

শক্ত তদন্ত করে সকল চোর ও অবহেলাকারিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: একটা জীবন নরক করতে একটা লোকই যথেষ্ট। একটা দেশ নরক করতে কয়েকটা লোকই যথেষ্ট।
ভাষা ও সাহিত্য নষ্ট করতে গুটিকয়েক লোকই যথেষ্ট।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

ক্স বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীও রিয়েলাইজ করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সরকারের পক্ষেও ঢালাও দূর্নীতি করা সম্ভব - সেখানে কোথাকার কোন উদ্ভ্রান্ত বালক ৩ কেজি সোনা ফুঁৎকারে গায়েব করে দিতে চান? দেড় লাখ টন কয়লা মুন্নি সাহার সঞ্চালনায় মাটিতে মিশিয়ে ফেলতে চান?

আর কত কিছু যে দেখতে হবে বেঁচে থাকলে!

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোথায় নেই সৎ সাহস? এই তো দেখুন:

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১-২% কয়লা সিসটেম লস হয়, সেই হিসাবে গত ১৩ বছরে এক কোটি দশ লাখ টন কয়লা উঠানো হইছে এবং লস হইছে এক লাখ ৪৪ হাজার টন। ১.৩% লস। হুজুগে বাংগাল কানের দিকে না তাকায়া আবারো চিলের পিছে দৌড়াইতেছে। সিসটেম লসরে চুরি হিসাবে চালায় দিতেছে - ছাগলের দল।

কোল মাইনিং কোম্পানি অবশ্যই দোষ করছে, কিন্তু সেইটা কয়লা চুরি না। সেইটা হইল কয়লার মজুদের ঘাটতি হইতে পারে তা আগে থেকে সরকারকে জানাইতে ব্যর্থ হওয়া।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: আমি একাই মরতে ছিলাম আপনি আবার আসলেন সঙ্গী হতে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.