নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাজহারুল ইসলাম টিটু

মাজহারুল ইসলাম টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘৯ মাত্রার ভূমিকম্পের’ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৭



যে ভূ-গাঠনিক অবস্থানে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে প্রায় ৯ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে গবেষকরা সতর্ক করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের একদল গবেষকের এই গবেষণার তথ্য সোমবার নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটলে এ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, এখনই বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এমন কথা বলা না গেলেও দুটি গতিশীল ভূগাঠনিক প্লেট পরস্পরের ওপর চেপে বসতে থাকায় সেখানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে।

গবেষক দলের প্রধান নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ মাইকেল স্টেকলার টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প কবে ঘটতে পারে, সে পূর্বাভাস আরও গবেষণা না করে দেওয়া সম্ভব নয়।

ভারতের পূর্ব অংশ ও বাংলাদেশের যে অঞ্চল সম্ভাব্য সেই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তার ১০০ কিলেমিটার ব্যাসের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বসবাস।

রয়টার্সের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অন্যতম দরিদ্র এই অঞ্চলে এ ধরনের একটি ভূমিকম্প মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

তেমন কোনো ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা ভবন, ভারী শিল্প, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গ্যাস ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে বলে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলছেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ১৯ কিলোমিটার গভীর পলি জমে বাংলাদেশের যে ভূ-খণ্ড তৈরি হয়েছে, তা সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে জেলাটিনের মত কেঁপে উঠতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গায় তরলে পরিণত হয়ে গ্রাস করতে পারে ইমারত, রাস্তাঘাট আর মানুষের বসতি।

তাদের এই গবেষণায় প্রায় ৬২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে এই ভূমিকম্পের ঝুঁকির আওতায় বলা হয়েছে।

অধ্যাপক আখতার রয়টার্সকে বলেন, তেমন মাত্রার ভূমিকম্প সত্যিই হলে তার ক্ষয়ক্ষতি এতোটাই ভয়াবহ হবে যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ত বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।

২০০৪ সালে যে ফল্ট লাইনের ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, সেই একই ফল্ট লাইনে নতুন এই ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি কম্পিউটার মডেল তৈরির মাধ্যমে তারা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের ভূ-গাঠনিক প্লেট উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের ভূ-গাঠনিক প্লেটে চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা।

ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা টেকটোনিক প্লেটের ওই সরে যাওয়া জিপিএস এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন ২০০৩ সাল থেকে।

সেই তথ্য বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের প্লেট মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের প্লেটকে বছরে ৪৬ মিলিমিটার করে ঠেলছে।

অধ্যাপক আখতারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই প্লেটের সংযোগ স্থলে ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে অন্তত ৪০০ বছর ধরে। ওই শক্তি একসঙ্গে মুক্তি পেলে তা প্রলয়ঙ্করি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।

মাইকেল স্টেকলার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসকে বলেন, এমন একটি বিপদ যে ঘনিয়ে আসছে সে ধারণা গবেষকদের কারও কারও মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য বা মডেল এতোদিন হাতে ছিল না।

সুত্রঃ আরটিএনএন

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হু..

ভয়াবহ দু:সংবাদ- প্রতিরোধের আয়োজনের সুযোগহীন তাৎক্ষনিত মহা বিপর্যয়...

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভয়ংকর দুঃসংবাদ।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:





৯ রিকটার স্কেলের ভুমিকম্প গত ১০০০ বছরের কোথায় কোথায় হয়েছে? যেখানে, প্লেটের চাপ বাড়ছে, সেখানে সর্বশেষ কখন কত স্কেলের ভুমিকম্প হয়েছে/? বিশ্বে যেসব এলাকায় ৯ মাত্রার ভুমিকম্প হয়, সেখানকার সাথে, এখানকার প্লেটের গঠনের মিল আছে কিনা?

গত ২০০ বছরের মাঝে এি এলাকায় ৯ মাত্রার ভুমিকম্প না হয়ে থাকলে, এক লাফে তা ঘটবে না; ছোট ছোট কম্পনে এনার্জি রিলিজ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৬

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: এক ভুগোলবিদের পোস্ট পরে জেনেছিলাম যে এই ধরনের সংবাদগুলো পুরাই গুজব। কত মাত্রার ভুমিকম্প হতে পারে তা আগাম জানার কোন উপায়ই নাই ।

জাপান ভুমিকম্প প্রবন একটি দেশ। কিন্তু কত মাত্রার ভুমিকম্প হতে পারে তা যদি আগাম জানা যেত তবে আর জাপানের মত উন্নত দেশে কয়েক বছর আগে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ভুমিকম্প ও সুনামিতে এত প্রানহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি হত না।

এই ধরনের ভীতিকর খবর প্রচার করার মধ্যে নানান ধরনের স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১২

মহসিন ৩১ বলেছেন: এশিয়ান ও ইন্ডিয়ান প্লেটের মদ্ধখানের বদ্বীপ বাংলাদেশ । বহুকাল আগেই ভূতত্ত্ববিদেরা এখানে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেছে । এখন হয়তো এ সম্পর্কে কিছু বৈজ্ঞানিক ডাটা পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পলির স্তর খুবই পুরু, ১০/২০ মাইল হবে , যেটা প্রাচীন কাল থেকেই জমছে। যাই হোক, ভূমিকম্পের মাত্রা সম্বন্ধে কোন সঠিক পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব বলে মনে হয় না।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভয়াবহ দু;সংবাদই বটে
খুবই ভয়ের কথা
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.