নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে আত্মসংযমের মাস। দীর্ঘ একমাস সময় রোজা পালনের মধ্য দিয়ে ঈমানদার মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় খুজে। সূর্য্যোদয় থেকে সূর্য্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, লোভ-লালসা, কাম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে রোজা পালন। ছেহরী খাওয়া ও ইফতার করা হচ্ছে রোজাদারদের অন্যতম শর্ত। কিন্তু আজ-কাল রমজানে ইফতার খাওয়া রাজনীতির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে গেছে। বিভিন্ন সমাজ-সেবী সংস্থা, মন্ত্রী-আমলা সবাই রমজানের ইফতার রাজনীতির সংগে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে পড়েছে। তারা জানে সস্তা-রাজনীতিতে ইফতার-পার্টি অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। বলা বাহুল্য, ইফতার খাওয়ার রেওয়াজ প্রচলিত হয়েছে কেবল রোজাদারদের মধ্যে। অথচ, আজকাল সে নিয়ম গিয়ে ঠেকেছে বে-রোজাদারদের গণ্ডি পর্যন্ত। ভিন্ন ধর্মী মন্ত্রী-আমলারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পালি-নেতাদের সহযোগে বিভিন্ন ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকে। সেসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত রোজাদারদের মধ্যে মিঠাই ও নামী-দামী খাওয়ার বিতরন করে মহান আল্লাহর দরবারে কৃত-কর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে দোওয়া করার পরিবর্তে ইফতার পার্টিতে রোজাদেরদের শুনানো হয় রাজনীতির তোতার-বুলি। এখন মানুষ রোজা পালন করে আল্লাহকে স্মরন করার পরিবর্তে কোন ইফতার পার্টিতে কবে, কখন এবং কোথায় কোন মহা-মন্ত্রী যোগ দিচ্ছেন তা-ই যেন তছবী দানায় প্রতিনিয়ত গুনছে। পালা-বদলের সময় দোর-গোড়ায় উপবিষ্ট। আমাদেরকে ইফতার রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। ইফতার পার্টিতে কোন অ-রোজাদার মন্ত্রী-আমলার যোগদান বারন করতে হবে। বারন করতে হবে মেকী রোজাদারকেও। তবেই তো আল্লাহ প্রদত্ত রোজা, ইফতার ও ছেহরী খাওয়ার প্রকৃত স্বাদ আমরা উপলব্ধি করতে পারব। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, অজানা পথের পাথেয় বৈ-কি!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩২
এম বি ফয়েজ বলেছেন: আল্লাহর কাছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলে না; বরং ধর্মীয় রাজনীতি আল্লাহর পছন্দ।