নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ফাঁসিতে ঝুলেও বেঁচে যাওয়া সেই ব্যক্তির আর ফাঁসি নয়’

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

এম বি ফয়েজ।।২৩ অক্টোবর।। "হে মহারানী ভিক্টোরিয়া! এক প্রাণে দুই প্রাণ বধ করোনা"--এ ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী জনৈক মহিয়সী মহিলার ফাসি-কাষ্ঠ থেকে রেহাই পাওয়ার এক অভিনব আর্তনাদ। ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থায় ঐ মহিলার ফাঁসির সাজা দেয়া হলে তিনি রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে প্রান ভিক্ষা চেয়ে আবেদন জানান। মহারানী দণ্ডপ্রাপ্ত ঐ মহিলার ফাঁসির সাজা মকুব করতে গিয়ে তাকে শিখিয়ে দেন যেন সে ফাঁসিতে ঝুলানোর সময় চিৎকার করে বলে, "হে মহারানী ভিক্টোরিয়া! এক প্রাণে দুই প্রাণ বধ করোনা"। ফাঁসির দণ্ড কার্য্যকর করার মুহূর্তে মহিলাটি অগত্যা তা-ই করলে সংগে সংগে তাকে ফাসি-কাষ্ঠ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং মেডিকেল পরীক্ষা দ্বারা প্রমানিত হয় যে দণ্ড-প্রাপ্তা ঐ মহিলা কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা নয়। তারপর আবার তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলানোর প্রস্তুতি নেয়া হলে মহারানী ভিক্টোরিয়া বারন করে ডিক্রী জারি করে বলেন, "এক ব্যক্তির দুইবার ফাঁসি হয় না।" ইরানে আজ সে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভিন্ন পথে হলেও বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পুর-মুহাম্মাদির প্রশংসনীয় উদ্যম গ্রহনে তা রুখে দেয়া সম্ভব হয়েছে। মোদ্দা-কথা, "রাখে আল্লাহ মারে বা কে?"





ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পুর-মুহাম্মাদি বলেছেন, ফাঁসিতে ঝুলেও বেঁচে যাওয়া সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না। তিনি আরো বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিটিকে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দিয়ে রাখা হয়েছে। জীবিত থাকলে তাকে আর ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না। ইরানের প্রেস টিভি আজ (বুধবার) এ খবর দিয়েছে।







মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৩৭ বছর বয়সী আলী রেজাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয় ইরানের আদালত। আলী রেজার কাছে এক কেজি সিসা পাওয়া যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সিসা হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিকারক মাদক দ্রব্য। ইরান মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে থাকে।







গত ৯ অক্টোবর আলী রেজার দণ্ড কার্যকর করা হয়। ফাঁসির দড়িতে ১২ মিনিট ঝুলে ছিলেন তিনি। এরপর লাশ নেওয়া হয় কারাগারের মর্গে। দণ্ড কার্যকরের পরদিন পরিবারের সদস্যরা লাশ আনতে মর্গে যান। এ সময় মর্গের স্টাফরা লাশের কাছে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখেন। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন তিনি হাসপাতালেই আছেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

মশিকুর বলেছেন:
হায় হায়!! বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে কলঙ্ক মুক্ত করা যেতে পারে এটা ব্যবহার করে।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১

এম বি ফয়েজ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সে "বিশেষ ক্ষমতা" সত্যের খাতিরে প্রয়োগ করতে পারতেন না বলেই তো চিন্তায় মারা গেছেন বলে মনে করি।

আর বর্তমান রাষ্ট্রপতি কি করেন তা দেখার অপেক্ষায় রহিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.