![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যক মানুষের জীবনে কাউকে না কাউকে ভালবাসা প্রয়োজন। এম ডি আরিফ
১. ভূ-পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ৩৩২,৫০০,০০০ কিউবিক মাইল জুড়ে পানি রয়েছে। এত পানি থাকা সত্ত্বেও শতকরা মাত্র ১ ভাগ হলো বিশুদ্ধ অর্থাৎ পানোপযোগী পানি। আপনার ফ্রিজে ভরে রাখা বোতলপূর্ণ পানিও এই ১% থেকে বাদ যাচ্ছে না।
২. ১% বিশুদ্ধ পানির মধ্যে ‘কিন্তু’ আছে।২০০৯ সালের পূর্বে (বিদেশে)পানি বোতলজাতকারীদের ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ামুক্ত পানি নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের দেশের পানি বোতলজাতকারীরা এখনও ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ামুক্ত পানি বোতলজাত করেন কি-না তা আমি জানি না। যদি আপনারাও নিশ্চিত না হয়ে থাকেন তবে কেবল ফুটানো কিংবা ফিল্টারাইজড করা পানি পান করুন।
৩. ই.কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত পানি বললে খুব কম বলা হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে কারখানার বর্জ্য পদার্থপূর্ণ একটি নালার পার্শ্ববর্তী পানির উৎস থেকে পানি নিয়ে সেই পানি বাজারজাত করে একটি নামকরা ব্র্যান্ড। জ্বি হ্যা, এমন কথাই বলছে ন্যাচারাল রিসোর্স ডিফেন্স কাউন্সিল।কিছুদিন আগে আমাদের দেশেও এমন ঘটনা ঘটার বেশ কিছু প্রমান পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ কিছুদিন লেখালেখিও হয়েছে। সেসব বাজারজাতকারী ব্র্যান্ড দেশের মানুষের কথা ভেবে, নৈতিকতার কথা ভেবে পানির সেই উৎস থেকে পানি নেয়া বন্ধ করেছেন কি-না সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
৪. মারহাবা !! ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সদ্য প্রস্তুত ওয়াটার রিকোভারি সিস্টেম মহাকাশচারীদের ৯৩% মলমূত্র রি-সাইকেল করে পানোপযোগী পানিতে রূপান্তরিত করছে !!!
৫. ইরাকের উত্তরাংশের গ্রামগেুলোতে কয়েকটি রিলিফ গ্রুপ নদী-নালার পানি বিশোধনের জন্য নাসা সিস্টেমের কয়েকটি পোর্টেবল ভার্সন ব্যবহার করছে।
৬. বরফ হচ্ছে টেট্রাহেড্রালি বন্ডেড মলিকউলস-এর ল্যাটিস যার অভ্যন্তরে অসংখ্য ফাঁকা জায়গা রয়েছে। এই ফাঁকা জায়গার কারণে বরফ ভাসে।
৭. বরফ গলার পরেও সামান্য কিছু টেট্রাহেড্রন একই রকম থেকে যায়। এসব ছোট ছোট আইস কিউব প্রায় ১০০ মলিকিউল পরিমাণ প্রশস্ত।
৮. নিজের জন্য পানি প্রস্তুত করার পদ্ধতি: একটি কন্টেইনারে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাস নিয়ে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করুন।ব্যস, পানি প্রস্তুত! বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটা হচ্ছে সেই ফর্মূলা যার সাহায্যে হিন্ডেনবার্গ ধ্বংস হয়েছিলো।
৯. লোডশেডিং-এ বিরক্ত জনগনের জন্য বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার রেসিপি দিচ্ছি, শিখে নিন। এর জন্য আমাদের লাগবে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন। প্রথমে হাইড্রোজেন মলিকউল থেকে ইলেকট্রনগুলোকে আলাদা করে ফেলুন। এবার অক্সিজেন মলিকউলের সাথে হাইড্রোজেন থেকে আলাদা করা ইলেকট্রনগুলো মিশিয়ে দিন। ব্যস, ইলেকট্রিক কারেন্ট উৎপন্ন হয়ে যাবে। ফুয়েল সেলের সাহায্যে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। আপনারাও বাসায় ট্রাই করতে পারেন। ফলাফল যা হবে তার জন্য আমি দায়ী নই;-)
১০. অভিজ্ঞ মালীদের কাছে প্রশ্ন করলে জানা যায় দিনের বেলা গাছে পানি দিতে নেই। কখনো কি ভেবেছেন কেন? এবার জেনে আসল কারণটি। পাতার উপরে পড়ে থাকা পানির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস হিসেবে কাজ করে।এরা সূর্যের আলোকে কেন্দ্রীভূত করে পাতাকে ধীরে ধীরে পুড়িয়ে ফেলে।
১১. আপনার ত্বকের উপরের ছোট ছোট পশম বা লোমগুলো পানির কণা আটকে রাখে। এগুলোও সূর্যের আলোকে কেন্দ্রীভূত করে ত্বককে পুড়িয়ে ফেলে। এজন্য লোমে ঢাকা পা লোমহীন পায়ের তুলনায় দ্রুত পুড়ে যায়।
১২. ভিসিয়াস সাইকেলঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের পানি সূর্যের আলোকে কেন্দ্রীভূত করে অ্যাটমোস্ফিয়ারিক টেম্পারেচার বাড়িয়ে দেয়। ঘটনাক্রমে এই তাপমাত্রা ট্রপিকাল অঞ্চলে সাইক্লোন হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়।সাইক্লোনের কারণে পুনরায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পানি জমা হয়। এভাবে চলতে থাকে।
১৩. গত দশকে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে জমে থাকা পানির পরিমাণ কম ছিল বলে অ্যাটমোস্ফিয়ারিক টেম্পারেচার বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল ধীর।
১৪. অধিকাংশ ডাক্তাররা রোগীদের দিনে আট গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ্ দিয়ে থাকেন্। এই পরামর্শ সাপোর্ট করে এমন কোন সায়েন্টিফিক তত্ত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
১৫. এই ভুল তত্ত্বটি ১৯৪৫ সালের একটি রিপোর্ট থেকে প্রচার পেয়েছে।রিপোর্টটি ছিল এরকম- আমেরিকানরা প্রতি ক্যালরি খাবারের জন্য প্রায় এক মিলিলিটার (৮ কাপ থেকে ১০ কাপ) পরিমাণ পানি অপচয় করে। এই রিপোর্টে আরো একটা অংশ এমন ছিল যে,এই অপচয়কৃত পানির অধিকাংশ আসে খাবার থেকে। অধিকাংশ মানুষ এই রিপোর্টের দ্বিতীয় অংশটি মিস করেছিল।
১৬. আপনি কি জানেন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পানি খেলে ওয়াটার ইনটক্সিকেশনের স্বীকার হতে পারেন? পরিণামে সেরেব্রাল কিংবা পালমোনারী ইডিমার মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন যার কারণে প্রতি বছর অ্যামেচার ম্যারাথন রানাররা মৃত্যূ বরণ করেন।
১৭. অরিগণ স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীগণ মহাসাগরের তলদেশের নিচে পানির বিশাল এক আধার আবিষ্কার করেন। ধারণা করা হয়, তলদেশের উপরে যতটা পানি আছে নিচে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি পানি আছে।
১৮. তলদেশের উপরে এবং নিচে পানি দিয়ে তৈরি এ ভারসাম্য না থাকলে আমাদের এই পৃথিবী এত সুন্দর, এত বৈচিত্র্যময় হতে পারতো না। এই সজীব ভূ-ত্বক পৃথিবীর অগ্নিগর্ভে বিলীন হয়ে যেতো। এমনটা হলে আমাদের পৃথিবী শুক্রগ্রহের মতো নরকময়, নির্জীব হতো।
১৯. ওয়েটসনস স্কেলের অপরপ্রান্তে একটি গ্রহ আছে। এই গ্রহটি একটি লাল রঙের বামন তারাকে ঘিরে ঘুরছে। ধারণা করা হয় এই গ্রহটির পুরোটাই পানি।
২০. সম্প্রতি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে য়খন সোলার সিস্টেম সবে গঠিত হচ্ছে তখন ধুমকেতুর কেন্দ্রে তরল মজ্জা (পানি) ছিল।এই ব্যাপারটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে ধুমকেতু থেকে প্রথম জীবনের উৎপত্তি হয়েছিলো।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
পয়গম্বর বলেছেন: বিশাল জ্ঞান লাভ করলাম। খাড়ান, অখনই এক গেলাস পানি খাই গিয়া।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৫
আসিফ চৌধুরী বলেছেন: অনেক জিনিস জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
জীবন্মৃত০১ বলেছেন: ভাল লাগ্ল। বুতামে টিপ্যা জানাইয়াও দিলাম।