নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম

“যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)

ভালবাসা007

প্রত্যক মানুষের জীবনে কাউকে না কাউকে ভালবাসা প্রয়োজন। এম ডি আরিফ

ভালবাসা007 › বিস্তারিত পোস্টঃ

**আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপা**

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৫

আল্লাহ পাক হলেন প্রেমের ভাণ্ডার। প্রেমের রূপময়তাও তার ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি মাখলুক্কাত থেকে ভিন্নমাত্রার প্রেম আস্বাদন করে থাকেন। তিনি অন্যান্য মাখলুক্বাতের চেয়ে মানবজাতিকে উত্তম আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং মানবের মধ্যে তার প্রেমকে করেছেন অবারিত। শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদা দিয়ে তিনি মানুষকে তার মনোনীত খলিফা বা প্রতিনিধি বানিয়েছেন।



আদমকে সেজদা না করার জন্য আজাজিল হয়েছে ইবলিশ বা শয়তান। তাই শয়তান হলো আদমের প্রকাশ্য ও চিরশত্রু। ওমা খ¦ালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়াবুদুন (আল কোরআন) অর্থাৎ জ্বিন এবং মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্রআল্লাহর ইবাদতের জন্য। একদিকে আল্লাহর হুকুম, অন্যদিকে শয়তানের প্ররোচনা। আল্লাহ বিমুখ করার জন্য শয়তান সদা তৎপর। তাই আল্লাহ জাল্লাহ শানুহু বিপথগামী মানবজাতিকে সত্যের পথে, কল্যাণের পথে আহ্বান করার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল (স:) প্রেরণ করেছেন তার প্রদত্ত কিতাবের মাধ্যমে।



এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ রাসুল হযরত মুহম্মদ (স:) কে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব আল কোরআন দিয়ে পাঠিয়েছেন পথভ্রষ্ট মানুষের কল্যাণের জন্য।



কোরআন ও হাদীসের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর অধিক যিকির বা স্মরণের জন্য বারবার তাকিদ দেয়া হয়েছে। এজন্য যিকির করা ফরজ। সাবানে যেমন কাপড়ের ময়লা দূর হয়, যিকিরের মাধ্যমে তেমনি অন্তরের ময়লাও পরিষ্কার হয়। যেকোন অবস্থায়ই যিকির করা যায়।



নামাযের মধ্যে যিকির আছে, বাইরেও রয়েছে । যেমন আল্লাহ পাক বলেন, যখন নামায সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়, আল্লাহ প্রদত্ত রুযী অন্বেষণ কর এবং আল্লাহর যিকির অধিক পরিমাণে করতে থাক। (সুরা জুমুয়া)।



আল্লাহ পাক আরও বলেন, তারা মুমিনগণ এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির ও নামায কায়েম করা থেকে গাফেল করে না। (সুরা নূর)



কোরআনে আল্লাহ পাক আরও বলেন, এরপর যখন তোমরা নামায সমাপ্ত কর, তখন আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত হও দণ্ডায়মান অবস্থায় উপবিষ্ট অবস্থায় এবং শায়িত অবস্থায়ও । অত:পর তোমরা যখন সুস্থির হও তখন যথারীতি নামায পড়তে থাক।



রাসুল (স:) বলেন, তেলাওয়াতে কোরআনকে অপরিহার্য করে নাও এবং আল্লাহর যিকির কর। কেননা এতে আকাশে তোমার যিকির হবে। (আত্মারগীব) এ হাদীসটি রাসুলুল্লাহ (স:)-এর একটি ওছিয়ত। যা তিনি হযরত আবু যর গিফারি (রা:) কে করেছেন।



আল্লাহ পাক আরো বলেন, আপন প্রতিপালকের যিকির কর নফসের মধ্যে অর্থাৎ ক্বলবের মধ্যে (রুহুল মাআনী) কোরআন মজীদে যেখানে যিকিরের আদেশ করা হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ স্থলে এর সাথে অধিক বিশেষণটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। যেমন-মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর। (আহযাব)।



হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত রাসুলে করিম (সা:) বলেন, ফেরেশতাগণ যিকিরকারীদেরকে খুঁজে ফিরে। যেখানেই তারা যিকিরকারীদের কোন দল পেয়ে যায়, সেখানেই সঙ্গীদেরকে ডেকে বলে এই সেই বস্তু, যা তোমরা খুঁজে ফিরছো। সে মতে ফেরেশতাগণ যিকিরকারীদেরকে দুনিয়ার আকাশ পর্যন্ত আপন আপন পাখা দ্বারা আবৃত করে নেয়।



রাসুল (সা:) বলেছেন, আল্লাহতাআলা ফেরেশতাগণকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি তোমাদেরকে সাক্ষী করে বলছি আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। অত:পর ফেরেশতাদের মধ্য থেকে এক ফেরেশতা বলে, অমুক ব্যক্তি যিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়। সে নিজের কাজে এসেছে। আল্লাহতাআলা এর জওয়াবে বলেন, এই মজলিশে উপবেশনকারী কেউ হতভাগা থাকতে পারে না (বুখারী)।



হযরত আনাস (রা:) থেকে রেওয়ায়েত করেছেন, রাসুল (সা:) ইরশাদ করেন, যিকিরকারীদের সাথে মিলে ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকির করা আমার কাছে ইসমাইল (আ:)-এর সন্তানদের মধ্যে থেকে চার গোলাম আযাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয়। আর আসর নামাযের পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাদের সাথে যিকির করা চার গোলাম আযাদ করার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়।



হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) বলেন, রাসুল (সা:) সদা সর্বদা আল্লাহতাআলার যিকিরে মশগুল থাকতেন (মুসলিম) আবু সায়ীদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন ইবাদত কিয়ামতের দিন আল্লাহতাআলার নিকট শ্রেষ্ঠ হবে? তিনি বলেন, যারা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে, তাদের মর্তব্য সর্বোচ্চ হবে।



আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা:) বলেন, আল্লাহর যিকির জান ও মালের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।



রাসুল (সা:) বলেন, আল্লাহর যিকির মুমিনের জন্য একটি দুর্গ। শয়তানের হামলা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে আল্লাহর যিকির।



আল্লাহ পাক আরও বলেন, শয়তান তাদের উপর পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করেছে। অত:পর সে তাদেরকে আল্লাহর যিকির ভুলিয়ে দিয়েছে। এরাই শয়তানের বাহিনী। (মুজাদালাহ)।



আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সকল সময় তাঁর যিকির বা স্মরণে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আমীন।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৬

দূর প্রবাসী বলেছেন: 'মানব দেহে এক টুকরো মাংসপিন্ড রয়েছে। ঐ মাংস পিন্ড যদি অপবিত্র হয় তাহলে সমস্ত শরীর অপবিত্র আর যদি ঐ মাংস পিন্ড পবিত্র হয় তাহলে সমস্ত শরীর পবিত্র' (বুখারী)
'যার কাল্বে আল্লাহ শব্দের জিকর নাই সে প্রকাশ্য গোমরাহিতে রয়েছে"
( জুমার-৩৯:২২)

এর অর্থ হলো দৈহিক জিকরের চাইতে অন্তরের জিকর অর্জন করা জরুরী। একজন মানুষের কাল্বে (রূদয়) জখন জিকর জারী হবে তখন ঐ মানুষ যতই ব্যস্ত থাকুক, খাওয়া দাওয়া কিংবা ঘুমানো যাই করুকনা কেন তার অন্তরে জিকর বন্ধ হবেনা। এমনকি তার মৃত্যু হবে ইমানের সাথে কারন মৃত্যুর সময় হয়তো তার জবান বন্ধ হতে পারে, কিংবা শয়তানের ধোকা খেতে পারে কিন্তু তার কাল্ব সচল থাকলে কোন ভয় নাই সে মুখে কিছু বলতে না পারুক তার কাল্ব সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে যাবে।
হযরত রাসুল (স) ঐ শিক্ষাই তার সাহাবগণকে দিয়ে গেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.