![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতগুলো লাশ এক যায়গায় পড়ে থাকতে আমার আগের জনমেও দেখিনি। একজন এসে বললো লাশগুলো এ এলাকার কিছু পাখি দম্পতির। এরা সবাই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। পাখি ও পাপ পাশাপাশি দেখে আশপাশের মানুষজন আতংকিত হয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। রয়ে গেছে কেবল কয়েকজন মাঝি। প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে নৌকা মেরামত করতে করতে সবাই একেকটা বটগাছের মত বেড়ে উঠছে।
এসব পাখির মতো একদিন এলাকার একমাত্র নদীটিও মরে লাশ হয়ে পড়েছিলো। কেউ ফিরেও চায়নি, ধরেও চায়নি। পরে অভিমান করে এক দুপুরে রোদ বেয়ে বেয়ে কোথায় যেন চলে গেছে। দু’একজন মাঝি নদীর জল কামড়ে ধরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু বাতাসের সাথে টিকতে না পেরে দাঁত ভেঙে পড়ে মরে গেলো। যেসব মাঝি সাহস করে নদীর লাশকে বিদায় জানিয়েছিলো, ওরা এখন নৌকা মেরামতে মনোযোগ দিয়ে সে পাপের প্রায়শ্চিত্ব করে। মাঝে মাঝে মাঝিরা গানও করে। তখন পাখিগুলো তাদের সঙ্গী বদল করে নেয়। গাইতে গাইতে মাঝিরা যখন কিঞ্চিত নেচে উঠে, জোড়ায় জোড়ায় পাখি তখন যায়গা বদল করে নেয়।
ওহ! বলছিলাম আমার পূর্বজনমের কথা। এটা আগে ছিলো না। একদিন সন্ধ্যায় ভুল করে একটি বন্ধ্যা গাছের তলে স্বপ্ন দেখার পর থেকে আমার পূর্বজন্মকে দেখতে পাই। সে গাছে কিছুদিন পরই ফুল দেয়। কিন্তু তার স্বামী আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে স্বামী সংস্কৃতি উঠে যায়। এখন আর কেউ বিয়ে করে না। সবাই গান গায়।
শুনেছি এ অঞ্চলের পাখিগুলো বিয়ে করে। বিয়েতে অনেক মজা করে। আমি এসেছি বিয়ের নিমন্ত্রণে। না, কেউ আমাকে আসতে বলেনি। আমার এখন কোন পাখি যোগাযোগ নেই। এমনিতে গান গাইতে গাইতে চলে এসেছি। কিন্তু তার আগেই যে ভয়ংকর অনাচার হয়ে গেলো, এখন আর নিজের গ্রামে ফিরে যাওযার কোন পথ নেই। সর্বশেষ পরিচিত পথ নিয়েও কয়েকজন মাঝি সন্দেহ প্রকাশ করলো। ঘটনার পর আমি আগের চাইতে অনেকটা স্থির হলাম।
এর কিছুদিন পর মাঝিদের মাঝে ঝগড়া লাগে। একজন এসে লাশ গণনা করতে করতে লাশগুলো যে পাখির নয়, তার পক্ষে নানান যুক্তি দেখাতে লাগলো। আশ্চর্য! বাকি মাঝিদের কেউই দ্বিমত করেনি। পরে সবাই মিলে লাশ গণনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি পাখি, পাপ এবং মাঝিদের ঘুম পাহারা দিয়ে কোনমতে টিকে রইলাম। বাতাসের যা বেগ, অসহ্য!
অনেক আলোচনা সমালোচনার পর মাঝিদের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ লাশগুলো নদীতে জেগে ওঠা সর্বশেষ নতুন চরের। নদী উড়ে যাওয়ার পর এরা প্রাণ হারিয়ে ফেলে। এখন এ লাশগুলো মৃত্যুর গভীর থেকে গভীরতর স্তরে নেমে যাচ্ছে এবং অভিশাপ ছড়াচ্ছে। মাঝিরা ফিসফিস করে চরের আগে জারজ শব্দটি বসিয়ে নেয়। পরে গোল হয়ে বসে সবাই মিলে চরের গল্প করে। আমি এসবের একমাত্র সাক্ষী বলে ওরা আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছে
বাকিটুকু এখানে পড়ুন
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ঝড়ে পাখি গুলো সব মরে গেছে?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লাশ বৃত্তান্তে ভালো লাগা!
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে এখন কেবলই লাশের লাশ
ভিন্নমতের লাশ
স্বার্থের দ্বন্ধে লাশ
ধর্ষনের লাশ
খুন গুমের লাশ
আতংকে আরো আছে চলমান লাশ
জিন্দা লাশেরা চলেফেরে প্রতিক্রিয়াহীন!
কেউ কেউ সাহসী স্বাক্ষী বটে। স্বাক্ষ্য জ্বালায় প্রকাশ করে বৃত্তান্ত
++++