![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনটা নিয়ে ভাবতেই বর্তমান! যা ভাল লাগে তাই করি। যা ভাল লাগে না,মুহুর্তে না করার চেষ্টা করি। খুব স্বপ্ন দেখি! এই তো জীবন অসাধারন,ছোট ছোট সুখে! ইমেইলঃ [email protected]
দুই টাকা দিয়ে এখন আপনি সারা বাংলাদেশ তো দূরে থাক সাথে সারা বিশ্বের আজব আজব সব খবর পাবেন একই সাথে।এমনই দুটি দৈনিক পত্রিকা এখন ঢাকার রাস্তার গুরুত্বপুর্ন মোড়গুলোতে সুবিধাবঞ্চিত শিশু হকারের হাত থেকে কিনতেই পারবেন। এখন তো এক টাকার কোণ দামই নাই। আর না হলে কি দোকানদার এর কাছ থেকে শুনতেই হয়- ভাই পরে নিয়েন। যদিও আর কখনও সে দোকানটাতে যাওয়া হবে কি না, তাই তো অনিশ্চিত! কিন্তু এক টাকা ফেরত না দেয়ার মতো ব্যাপারটিকে দুঃসাহস তো দূরে থাক পাত্তাই দেন না এখন বোধ হয় কেউ। এই অধমও তা শুনে মেনে নেই। কি করার আছে আসলেই?হায়রে একটাকা! কদিন পর কি দেখবো- এক লাখ টাকার কোন দাম নেই!
সেই দুই টাকার পত্রিকার আবার বৈচিত্র্যময় সব হকার। নানান বয়সী হকারের মধ্যে বাচ্চা ছেলেই বেশি। মেয়ে শিশুরা করে কি না জানি না। সে দুই টাকার পত্রিকা আসলেই কি ভাল খবর দেয় নাকি বিভ্রান্তিমুলক খবর পরিবেশনা করে। তা নিয়েই একটু জানতে দুটি পত্রিকাই পড়লাম। যাওয়ার সময় একটি আর আসার সময় আরেকটি। যাত্রা- আজিমপুর টু মহাখালী আবার গুলশান-১ টু আজিমপুর। দ্বিতীয় পত্রিকাটি যখন কিনি, শিশু হকারটির সাথে কথা বললাম মিনিট-খানেক।
প্রশ্ন: তুমি কি শুধু পত্রিকাই বিক্রি করো?
উত্তর: হ
প্রশ্ন: এইখানেই করো নাকি?
উত্তর: হ ( মনে হল বিরক্ত হয়েছে আমার ২য় প্রশ্নে)
প্রশ্ন: কয়টি পত্রিকা বিক্রি করো প্রতিদিন?
উত্তর: ৫০ থেকে ৬০টি। ভাই টাকা দেন? ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে টাকা পরিশোধ করা আমার)
শেষ প্রশ্ন: তোমার কি লাভ হয় এই পত্রিকা বিক্রি করে?
উত্তর: ১৫০০ টাকা। ( এই বলে আর টাকাটি পকেটে ফেলে দে ছুট আরেক জায়গায়)
এরপর খানিকটা হিসেব করলাম। দিনে ৬০টি হলে মাসে ১৮০০টি পত্রিকা। ভার মানে সংখ্যাটি তো ভালোই। ১৮০০টি পত্রিকা বিক্রি করে শিশু হকারটি পাচ্ছে ১৫০০টাক। কিন্তু খুব বেশি মানুষ যে তা কিনছে তা বলতে পারি না। আমি আমার চারটাকা দিয়ে কেনা পত্রিকা দুটি বাসায় নিয়ে এসেছি। হাজার হলেও চার চারটি টাকা দিয়ে দুটি পত্রিকা!
আরেকটি ব্যাপার পরিলক্ষিত হয়েছে তা হল- এই দুই পত্রিকাটিরই হকারগুলো সুবিধা-বঞ্চিত হলেও তাদের পোশাক এবং ব্যাবহার যথেষ্ট ভদ্র ট্রাফিক পয়েন্ট এর অন্য সব হকারদের তুলনায়।
পত্রিকাগুলোর সংবাদ কি ধরনের হতে পারে। তা নিয়ে আরেকদিন না হয় আসা যাবে। যে ব্যাপারটি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই টাকার পত্রিকা দ্বারা রাস্তার কিছু সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের একটি ভালো কর্মসংস্থান হয়েছে মনে হচ্ছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৩
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: আমার পুরো পোষ্টটি একটু আরেকবার পড়বেন আশা করি। আমি কিন্তু সহজভাবে একটি দিক তুলে ধরেছি মাত্র। এর বেশি কিছু না। অবশ্যই এই বিষয়ে আরও দিকগুলো আসবেই সামনে।
বলার ইচ্ছে রইল।
ধন্যবাদ আকাশের তারাগুলি আপনাকে।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৭
সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: দুই টাকার একটা পেপার বেচার জন্য এদের খাটুনি চিন্তা করা যায়?
মাঝে মাঝে আমি এদের খাটুনি দেখে দু'একটা পেপার কিনি.....আসলে তেমন কিছু পড়িনা.....।আর ওদের ব্যবহার আসলেই ভাল
পোস্ট এ প্লাস..........আমার নিজের এরকম একটা পোস্ট লিখার ছিল আপনি আগে লিখে ফেললেন
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৮
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: আসলেই ওরা অনেক কষ্ট করে। বাসে উঠাও তো একট ঝুকির ব্যাপার একহাতে পেপার নিয়ে।
হ্যা ওদের ব্যবহার আমার কাছেও ভাল লেগেছে বলেই পোষ্ট এ উল্লেখ করেছিও।
আপনি লিখেন সাইফুল ভাই। নিশ্চয়ই আপনার ভাবনার প্রকাশ থেকে নতুন দিক আমরা জানতে পারি।
ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৮
জাওয়াদ হাসান বলেছেন:
হ্যা শিশুদের কর্মসংস্থান হইসে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৪
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: এই শিশুদের জন্য তো আমরা কিছুই করতে পারি না। তাই তাদের যে ভাবেই হোক একটি ভালো কর্মসংস্থান বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। তাই তো ব্লগ বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করা বিষয়টি নিয়ে।
ধন্যবাদ হাসান ভাই।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৩
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: শিশুদের কর্মসংস্থান না করে সব গুলারে ধইরা স্কুলে পাঠাইয়া দেওন দরকার।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৬
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: স্বপ্ন আছে বলেই পৃথিবী এখনও টিকে আছে।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০২
মু.ই.মা ইমন বলেছেন: আমরা যেমন করে হাত গুটিয়ে বসে আছি , "স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া উচিৎ" বলেই আমরা ক্ষান্ত দেই ... অদূর না , সুদূর ভবিষ্যতেও এদের শিক্ষার ব্যবস্থা হবে কি না সন্দেহ আছে !
এর চেয়ে একদম দারিদ্রে না ভুগে তাদের তো কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হচ্ছে , এটাই বা কম কিসে ?
+
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১২
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: সহমত।আমিও এইভাবেই চিন্তা করেছি। আসলে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাই আমাদের কে অনেক কিছু করতে বাধ্য করছে।
আশা করি কোন একসময় হয়ত আসবে যে- সব পরিবর্তিতি হয়ে ভালো কিছু বিরাজ করবেই সব জায়গায়
ধন্যবাদ ইমন ভাই
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩২
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: স্কুলগামী শিশুদের হার বাড়ছেই................।
স্বপ্নদেখতেই পারি.................।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫২
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: স্বপ্ন নিয়েই তো মানূষ বেচে উঠে বাস্তব করবে বলে। তবে তা'ই হোক..............................................
ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১১
আরিফ্ ৯১ বলেছেন: ভাল সাবজেক্ট। অরা যে কষ্ট করে কি আর বলব। তাও তো ভিক্ষাবৃত্তির চেয়ে ভাল!!!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৩
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: অরা যে কষ্ট করে কি আর বলব। তাও তো ভিক্ষাবৃত্তির চেয়ে ভাল!! সহমত আপনার সাথে।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৪৯
১১স্টার বলেছেন: এরা যদি পেপার না বিক্রি করত তাহলে হয়ত টোকাই-চুরি-ছিনতাইকারী-ডাকত- অথবা ভিক্ষুক হতো। কিন্তু তাদের পেপার বিক্রি করাটাও পজেটিভ কিছু না আসলে যার যার এলাকায় কমপক্ষে দুটি করে শিশুকে পুনর্বাসিত করা। এই ব্লগে এমন ও লোক আছে যে ব্যক্তিগত ভাবে ১০০টি শিশুর লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করতে পারে। আমি ১১স্টার নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে ২০ জন ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার ব্যয়ভার নিয়েছি। গতকাল দেখলাম 'অন্যেরজন্য" কিছু করার লক্ষ্যে একভাই ৪ টা ছেলেমেয়ের ভার নিয়েছে। আপনি আপনার এলাকায় শুরু করুন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার লেখায় আছে আশা করি পরবর্তীতে ভাল দিক মন্দ দিক উল্লেখ করে সুন্দর একটি পোস্ট দিবেন।
ধন্যবাদ এবং পেলাচ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪০
ভালবাসার দেয়াল বলেছেন: এরা যদি পেপার না বিক্রি করত তাহলে হয়ত টোকাই-চুরি-ছিনতাইকারী-ডাকত- অথবা ভিক্ষুক হতো।
ধন্যবাদ ১১ষ্টার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৬
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: শিশুশ্রমে উৎসাহ দেয়ায়-মাইনাস। ঐসব পত্রিকার মালিকরাই শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস ফেক্টরীর লোকজনকে ধুয়ে ফেলে।