![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আজ হরতাল ঘোষণার পরপরই গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়া শুরু হয়েছে। আমার ধারণা সেই দিন খুব বেশি দূরে নাই, যখন দিয়াশলায়ের একটি কাঠি ঠুকে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে অসাধারণ জনগণ (নেতা-নেত্রী) হরতালের ঘোষনা বা শুভ উদ্ভোদন করবেন। অথবা পুচকে নেতারা একজন সাধারণ জনগণকে চ্যাংদোলা করে ধরে নিয়ে আসবেন এবং অসাধারণ জনগণ লাঠি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে বা ইট দিয়ে মাথা থেতলে হরতালের ঘোষণা বা শুভ উদ্ভোদন করতে পারেন।
আর সাধারণ জনগণ দিনাতিপাত করবে সুখের যন্ত্রণাদায়ক দুঃস্বপ্নের মধ্যে।
আজ মরহুম আবুল মনসুর আহমদের “আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর” বইটির একটা অংশ তুলে দিচ্ছি, যা বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকের ফাকিস্তান আমলের শাসন সম্পর্কে বলা। এখানে ফাকিস্তান এর স্থলে বাংলাদেশ লিখলে খাপে খাপ মিলে যাবে-
” দেশবাসীর দুর্ভাগ্য এই যে রাষ্ট্র-নেতারা একজনের পর আরেকজন কেবল ভুলের উপর ভুলই করিয়া যাইতেছেন। পূর্ববর্তী সরকারের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দেশবাসীর ভোগান্তির সীমা ছিল না। সেই ভোগান্তির অবসান ঘটাবার মহৎ উদ্দেশ্য লইয়া যাঁরা আসিলেন, তাঁরা আগের ভুলের প্রতিকারের বদলে নুতন করিয়া মারাত্মক সব ভুল করিতে লাগিলেন।
এতসব ভুল-ভ্রান্তি অন্যায়-অনাচার সহিয়া্ও বাংলাদেশ (ফাকিস্তান) টিকিয়া আছে, ইনশাআল্লাহ টিকিয়া থকিবেও। কিন্তু এই টিকিয়া থাকায় নেতাদের কোনও কৃতিত্ব নাই। বাংলাদেশ (ফাকিস্তান) টিকিয়া আছে রাষ্ট্র-নেতাদের জন্য নয়। সকল দলের সকল আমলের রাষ্ট্র-নায়করা চেষ্টা করিয়া ধ্বংস করিতে পারেন নাই খোদার ফযলে সে রাষ্ট্রের হায়াত আছে। এর শুধু টিকিয়া থাকার নয়, বাঁচিয়া থাকারও অধিকার আছে। বুদ্ধি যতই কম হউক,আর ভুল-ভ্রান্তি যতই জটিল হউক, চল্লিশ (বিশ) বছর সময় তা বুঝিবার জন্য যথেষ্ট।”
তাহলে অর্জন কি শুধুই এই ”বাংলাদেশ” নাম? জনগণের পেরেশানি কি থামার নয়? দেশ কি শুধুই নেতাদের বগল দাবায় চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে, আর সেই ঘূর্ণিচক্রে কি শুধু জনসাধারণের সাজানো জীবন সংসার তছনছ হতে থাকবে?
এই কি আমাদের এত কাঙ্খিত স্বাধীনতা ! যদি তাই হয়, তাহলে স্বাদ এত তিক্ত কেন !
তাই উপরে মনে হয় লেখকের নামের আগে মরহুম কথাটা সাজে না, কারণ তাঁর কথা শুধু বেঁচে থাকে না, বাস্তবতার সাথে মিশে বেচেঁ থাকে, চিরঞ্জিব হয়ে বেচে থাকে।
©somewhere in net ltd.