![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আবুল গেল তার জ্যোতিষ বাবার কাছে। ডান হাতবাড়িয়ে বলল, বাবা! আমার ডান হাত চুলকায়।
কী আছে সামনে বলেন?
জ্যোতিষ বাবা বলল, তোর অর্থ প্রাপ্তি সুনিশ্চিত!
আবুল বলল, বাবা বাম হাতও চুলকায়!
... বাবা বলে, কী বলিস! তোর আরও অর্থ আসবে।
আবুল আনন্দিত গলায় বলল, বাবা বাবা, আমারডান হাঁটু চুলকায়।
জ্যোতিষ বলল, তোর তো বিদেশ যাত্রা হবেরে ব্যাটা।
খুশিতে গদগদ আবুল মহা উৎসাহের সাথে বলল, আমার বাম হাঁটুও চুলকায়!!
এইবার মহাবিরক্ত হয়ে জ্যোতিষী বলল, ওরে হারামজাদা, তোর তো চুলকানি রোগ হয়েছেরে!!!
এই ভুল আমরাও বার বার করি, কোনটা যে সৌভাগ্য আর কোনটা যে দুর্ভাগ্য সেটাই বুঝতে পারিনা। আমরা কি ডাক্তারের কাছে যাব নাকি জ্যোতিষের কাছে যাব তা-ই বুঝিনা। এই যেমন ধরুন রাজনীতিতে দল পাশ করার পর তারা কি জনগণের সান্নিধ্যে গিয়ে ভাল কাজ করে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে, নাকি দরবেশ বাবা, সন্ত্রাস বাবাদের কাছে যাবে তা-ই তারা বুঝতে পারে না। যার ফলে প্রতি ৫ বছর পর পর নাকানি চুবানিও কম খেতে হয়না।কারণ,বিদেশে টাকা পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ইত্যাদি টাইটেলকে আমরা ব্যাজ হিসেবে বুকে ঝুলাই, আবার কোন কোন অন্ধভক্ত বলে তাদের পক্ষে কথা বলা হচ্ছে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা।আবার অন্যদিকে দেশের ভিক্ষার ঝুলি কালো বিড়ালরা খামচে ধরলেও ছাড়ানোর কোন চেষ্টা করি না। সে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেও অত্যুক্তি করা হয়না।
যতদিন সাধারণ জনগণ দ্বারা দলগুলোর প্রতিনিধি বাছাই করে মনোনয়ন দেয়া না হবে, ততদিন যে দলই যাক না কেন, আমরা যোগ্য প্রার্থী বা প্রতিনিধি পাব না।মিঃ বিনের এক সিরিয়ালে দেখেছি, সে শার্ট্ পছন্দ করছে অপু ১০ ২০ গুনে। যেটা সিলেক্ট হয় সেটা তার পছন্দ না। তাই যেটা সিলেক্ট হয় সেখানে তার পছন্দেরটা রেখে আবার গোনে। তারপর তার পছন্দেরটাই পড়ে।ঠিক তেমনি গত জাতীয় নির্বাচনে আমার এলাকায় তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মীদের ভোটে যে লোক এগিয়ে ছিল মনোনয়ন দেয়া হয় তার চেয়ে ৪-৫ গুণ কম ভোট বা সমর্থন পাওয়া একজনকে। পাশের এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার এবং সাবেক এমপিকে বাদ দিয়ে দেয়া হল অন্য একজনকে। যদিও তারা পূর্ববর্তী সরকাররের অজনপ্রিয়তা প্রকট থাকার কারণে তারা পাশ করে, তবুও বলতে হয় যোগ্য লোক যোগ্য স্থানে বসেনি। তাহলে পরবর্তীতে এমন দলের ভরাডুবিতে আশ্চর্য হবার কোন কারণ দেখিনা।
আবার আজ কালীগন্জ এলাকায় নির্বাচন হল, এতে আওয়ামীলীগ থেকে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হল সে কিছুদিন আগে বিএনপির হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিল। এখন বিএনপি থেকে বহিষ্কিৃত হয়ে সে আ.লী থেকে মনোনয়ন পেয়েছে। কিসের জোরে যে সে মনোনয়ন পেল তা জানি না, অনেকের মধ্যে অনেক কথা চালাচালি হচ্ছে এ নিয়ে। এবং কিছুক্ষণ আগে জানলাম সে নাকি ফেল মারল, তাও আবার অনেক ভোটের ব্যবধানে।এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে নৌকার ভরাডুবি হলে দুশ্চিন্তার কোন কারণ দেখি না। কারণ দেশে আমার মত কিছু পাবলিক আছে যারা ঐতিহ্যের কারণে নৌকাকে সমীহ করে ঠিকই, কিন্তু ছিদ্রযুক্ত নৌকায় উঠতে ভয় পায়, আর ভাল মানুষকে ভোট দিতে কোন দল তা বিবেচনা করে না।কারণ ভাল মানুষ সে যে দলেরই হোকনা কেন, এলাকার মঙ্গল হবেই।কোন এক আ.লী প্রার্থীর বাড়িতে বাড়ি হওয়ায় নির্বাচনে হারার পর শুনতে হয় বাড়িতে আসা অমুসলিম মানুষের ঘর পোড়ানোর ও নির্যাতনের বেদনাতুর কান্নার রোল আরো অনেক শোকগাথা। তাই শুধু নৌকা নয়, তাই ধানেও যেন কোন চিটা না থাকে দেশের মানুষ সেটাও আশা করে। রাজনীতি হক গঠনমূলক, এটা যেন কোন জুয়া খেলা না হয়।আর দেশের মানুষ্ও যেন সে জুয়া খেলার গুটি না হয়।দেশের স্বার্থেই শক্তিশালী সরকারী ও বিরোধী দলের প্রয়োজন।
এতো কিছু সত্ত্বেও শুধু বলি,” আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।ভালবেসে যাব নিরন্তর”।
©somewhere in net ltd.