নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

"বাংলা আমার জন্মভূমি, বাংলা আমার প্রাণ; হবনা পিছপা, রাখতে আমার বাংলা মায়ের মান ।"

শহীদ ভূইয়া

”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শহীদ ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেনা পেচানোর রাজনীতি

৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এক মহিলা গেল এক দর্জির দোকানে তার জন্য পজামা বানাতে। সে দর্জিকে এক পিস কাপড দিয়ে বলল, ভাই আমার জন্য একটা পাজামা বানিয়ে দিবেন। কাপড়টা দিয়ে কিছুদূর এসে তার মনে হল, এতটুকু কাপড় দিয়ে মাত্র একটা পাজামা! সে দর্জির কাছে ফিরে গিয়ে বলল, ভাই, যতটুকু কাপড় বেশি হয় তা দিয়ে আমার ছোট মেয়েটার জন্যও একটা পাজামা বানিয়ে দিয়েন।তখন দর্জি বলল, আচ্ছা আপা। মহিলা ফিরে আসতে গিয়ে আবার মনে হল, যেহেতু দর্জি আচ্ছা বলেছে, তাহলে নিশ্চই আরো কাপড় বেশি হবে। তিনি আবার ফিরে গিয়ে দর্জিকে বলল, বাকিটুকু দিয়ে ছোটটার ছোট জনের জন্য আরেকটা বানিয়ে দিয়েন।আবার দর্জি বলল, আচ্ছা আপা। তখন সে আরো আরেকটার জন্য অর্ডার দিয়ে আসল।

এর কয়েকদিন পর সে তার পাজমাগুলি আনতে গেল।তখন দর্জি তাকে ৪টা পাজামা একটা প্যাকেটে ভরে দিল।বাসায় এসে খুলে দেখে,পুতুলকে পড়ানোর উপযোগি ৪টা ছোট ছোট পাজামা।তখন তিনি রেগেমেগে আবার দর্জির কাছে গিয়ে বললেন, এটা কি দিলেন? দর্জি তখন বলল,”কি করমু আফা, এইটুকু কাপড় দিয়ে বললেন ৪টা পাজামা বানাতে, কিন্তু আপনার কাপড় তো আর টানলে বাড়ে না”।

ঠিক তেমনি আমাদের দেশের রাস্তা ঘাটের জন্য যে বরাদ্দ হয়, তা ধাপে ধাপে ঘুষ,চাঁদা,সেলামি ইত্যাদি দিতে দিতে ঠিকাদারের হাতে খুবই সীমিত আসে। আর সেটুকুর মধ্যে আবার তার লাভটাও থাকে। তাই সেও খুব বাজে মাল দিয়ে তৈরি কিছুদিন পর রাস্তা আবার মেরামত উপযোগি হয়ে যায় বা পুরো ভেঙ্গে যায় যার জন্য আবার বরাদ্দের প্রোয়োজন পড়ে যায়।যে দেশে একটা রাস্তা,ই প্রতি বছর মেরামত করতে হয়, সে দেশের উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব? উন্নত দেশে রাস্তার দরপত্র দেয়ার সময় তার মেয়াদকালও দেয়া থাকে। সেই মেয়াদের আগে রাস্তা নষ্ট হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্দে মামলা করা হয় এবং তাদের খরচেই আবার রাস্তা তৈরি করে দিতে হয়।তাহলে আমাদের দেশে এমন করতে সমস্যাটা কোথায়!

হুমম, সমস্যা আছে। সমস্যা পেতে হলে খুজতে হবে কাজ কারা পায় তাদেরকে। দেখবেন কাজগুলো পাচ্ছে, ছাত্র লীগ/দল, যুব লীগ/দল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ/দল ইত্যাদির কর্মীরা। প্রতি সরকারই তাদের নেতা কর্মীদের তো আর ফাও টাকা দিতে পারে না, তাই কাজ দেয় এবং গরুর মত বছর বছর বিয়ান দেয় বা দিতে হয়। আর যার জন্য এসব লেজুর ভিত্তিক দলগুলোতে ঢুকার জন্য ছাত্ররা পড়াশোনা শিকায় তুলে করছে গ্রুপিং, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি। ভাল চাকরি পাচ্ছে যাদের এসব লবিং ভাল আছে। আর মেধাবিরা বঞ্চিত হচ্ছে। আর এসব যদি বেশি দিন চলে, তাহলে দেশটা হয়ে যাবে মেধাশূন্য। দেশের ভিত হয়ে যাবে নড়বড়ে। দেশের পুরো কাঠামোই হয়ে যাবে নড়বড়ে এবং সবাই হয়ে যাবে তখন রাজনীতিবিদ।

তাই দেশের স্বার্থে সরকারকে, বিরোধীদলকে তথা সকল রাজনৈতিক দলকে এসব ব্যপারে সচেতন হতে হবে। তাদের মধ্যে গুণগত পরিব র্তন আনা খুবই জরুরী।দয়া করে সবাই গদির জন্য রাজনীতি না করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। কারণ দেশের মানুষ আপনাদের মুখপানে তাকিয়ে থাকে অসহায় দৃষ্টি নিয়ে, তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। দেশকে ভালবাসুন, সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।



” আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।

ভালবেসে যাব নিরবধি।”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উন্নত দেশে রাস্তার দরপত্র দেয়ার সময় তার মেয়াদকালও দেয়া থাকে। সেই মেয়াদের আগে রাস্তা নষ্ট হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্দে মামলা করা হয় এবং তাদের খরচেই আবার রাস্তা তৈরি করে দিতে হয়।

আমাদের দেশে এমন করতে হবে!

++
সকল ক্ষেত্রেই এরকম পজিটিভ ভাবনা দরকার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

শহীদ ভূইয়া বলেছেন: হুম, পজেটিভ হওয়া ছাড়া পজিটিভ কিছু ভাবা বা করা যায় না। ধন্যবাদ

২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

খাটাস বলেছেন: আপনার লেখা টা খুব ভাল লাগল। কিন্তু শেষ আশাবাদ টা বোকামি মনে হয়েছে। আমরা ১৫ কোটি বাঙ্গালিরা ও নিজেদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করি না, বা ইচ্ছে থাকলে ও পারি না। তবু ও আমরা যদি একটু কষ্ট করে নিজেদের দায়িত্ব কর্তবের প্রতি সচেতন হউয়া শুরু করি, তাহলে রাজনিতির মাথা টাইপের লাখ খানেক কুকুর বড় বড় হাড্ডি খেলে ও দেশ এগিয়ে যাওয়া শুরু করবে। এরা কখনও পালটাবে না। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব যেন ভাল হয়, তাই আমাদের একটা ভাল মানসিকতার সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদের কে নিজেদের এবং পরিবার ও পরিচিত জনদের সচেতন করে তুলতে হবে।
পোষ্টে প্লাস। ভাল থাকবেন, ভালবাসবেন দেশ কে - এভাবে আজীবন।
” আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
ভালবেসে যাব নিরবধি।”

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

শহীদ ভূইয়া বলেছেন: কি আর করা, বোকার মত বার বার আশা নিয়ে স্বপ্নের তরী ভাসাতে মন চায়। ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৫

বাংলার হাসান বলেছেন: প্কারবাদ আছে। ”কামার বাড়ীতে কোরআন পড়ে কি লাভ”

এসব বলেল কি আর আমাদের দেশে চলে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

শহীদ ভূইয়া বলেছেন: ভাই, হয়ত আপনার মত আমিও তাদেরকে যদি কামার ভাবতে পারতাম তাহলে ভাল লাগত, আর তাদের জন্য কোন কিছু বলতাম না। কিন্তু যার বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করেন, যাদের উপর অনেকাংশে আমাদের নির্ভর করতে হয়, তাদের কি এতটা নীচভাব উচিত? তাই কোরআন পড়ে তাদের মানসিকতা একটু উন্নত করার প্রয়াস চালাচ্ছিলাম। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.