![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
”পৃথিবীতে অনেক ধরণের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অত্যাচার। কারণ এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনোই কিছু বলা যায় না। সহ্য করে নিতে হয়”--- হুমায়ূন আহমেদ (বলপয়েন্ট)
পুনশ্চ:
“আমি: এই বইতে কয়টা গল্প?
বোন: একটা।
আমি: এত্তো বড় বই, আর মাত্র একটা গল্প! আমি এত বড় বই জীবনেও পড়ব না”
ছোট বেলা বোনের বই পড়া দেখে এটা ছিল আমার উত্তর, কারণ তখন কমিক্সই ছিল আমার রসআস্বাদনের শ্রেষ্ঠ পুজি।মাত্র একটা গল্পের জন্য এতো বড় বই পড়ার কোন যৌক্তিকতাই খুজে পাইনি। একবার এক আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে কোথাও ঘুরতে না যেতে পেরে বাসায় বসে থাকতে প্রচন্ড বিরক্তি লাগছিল।হঠাৎ চোখ পড়ে তাদের বুকশেলফে, আর সেখান থেকে হুমায়ুন আহমেদের একটা বই “চলে যায় বসন্তের দিন” খুবই অনাগ্রহ নিয়ে সময় কাটানোর জন্য নাড়াচাড়া করতে থাকি। প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর এতো ভাল লেগে যায় যে এক বসায় সেই বই শেষ করে ফেলি এবং হুমায়ুন আহমেদের আর একটা বই নিয়ে পড়তে শুরু করি। এই হচ্ছে আমার বই পড়ার সূচনা।তারপর জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, আহমদ ছফা, আবুল মনসুর আহমদ, লুৎফর রহমান, রবীন্দ্র,বঙ্কিম, শরৎ, সুনীল, শেক্সপিয়ার, চার্লস ডিকেন্স, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, লিও তলস্তয় ইত্যাদি দেশী-বিদেশী লেখকের বই পড়া…
কলেজে পড়ার সময়ও ক্লাসের ফাঁকে ফাকেঁ লাইব্রেরীতে গিয়ে বসে একাডেমিক বই বাদ দিয়ে বিভিন্ন উপন্যাস পড়তাম ও লাইব্রেরী কার্ডের মাধ্যমে হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে পড়তাম।ইউনিভার্সিটির শেষের দিকে ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে যখন বন্ধু মিলন আর আমি পাবলিক লাইব্রেরীতে একসাথে পড়তে যেতাম তখনও টেবিলে ক্যরিয়ার ভিত্তিক বইকে ছাপিয়ে লাইব্রেরী থেকে বিভিন্ন লেখেকের বই এনে উচু স্তুপ করে রাখতাম আর মিলন চোখ রাঙিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত….
যে লেখক আমার এই বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে দিয়েগেছেন তিনি আজ নেই,,,, আজ সেই প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন।তাঁর এই জন্মদিনে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাকে বেহ্স্তে নসিব করেন…আমিন।
তাঁর বই থেকে নেয়া আমার কিছু প্রিয় উদ্ধৃতি…..
-একটা মেয়ের জন্যে তোমাকে পারফেক্ট হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ মেয়েরা কখনো পারফেক্ট ছেলেদের সাথে প্রেম করে না |
-মূর্খদের সঙ্গে কখনো তর্ক করতে যাবে না। কারণ হলো মূর্খরা তোমাকে তাদের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসে তর্কে হারিয়ে দিবে।
-সাধুর বিচার ধর্মে, পুরুষের বিচার কর্মে।
-হাতের রেখায় মানুষের ভাগ্য থাকে না। মানুষের ভা্গ্য থাকে কর্মে।
-মানুষ চুম্বকের মতো। একটি চুম্বক যেমন পাশের চুম্বককে প্রভাবিত করে, মানুষও করে।
-মানুষ একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবন পার করার পরেও আফসোস নিয়ে মৃত্যুবরণ করে।
-পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ নাকি ভয়ংকর। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মরা মানুষও নাকি উঠে বসে। সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে, আবার মুতমানুষ হিসেবে মেঝেতে পড়ে যায়।
-মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।
-ভাল মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
-----------বাকিগুলো অন্যকোন দিনের জন্য রেখে দিলাম…
©somewhere in net ltd.