নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

"বাংলা আমার জন্মভূমি, বাংলা আমার প্রাণ; হবনা পিছপা, রাখতে আমার বাংলা মায়ের মান ।"

শহীদ ভূইয়া

”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শহীদ ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরোটাই কাল্পনিক, বাস্তবতার সাথে মিলে গেলে আমার কোন দোষ নাই (রম্য-২)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

রম্য- ডিজিটাল



আমরা সবাই খলিফাদের আমলের একটি কাহিনী জানি, কিন্তু সেই কাহিনীর ব্যতিক্রম জানি না। সংক্ষেপে কাহিনীটি ছিল এমন, এক বাচ্চাকে নিয়ে দুই মহিলা (তখনকার আমলে দুই মহিলা নামে কোন গালি ছিল না) কাজীর কাছে গেল বিচার নিয়ে। দুইজনই বলছে যে, এটা আমার বাচ্চা।কাজীতো পড়ে গেল মহাফ্যাসাদে, দুইজন বাপ বললেও কথা ছিল, কিন্তু দুই মা আবার কেমনে হয়, আবার DNA টেস্টেরও কোন ব্যবস্থা নাই। তখন কাজী বুদ্ধি করে বলল, ঠিক আছে, বাচ্চাটাকে কেটে দুইভাগ করে দুই জনকে দিয়ে দাও। তখন যে আসল মা সে চিৎকার করে বলে উঠল, নাহ্ আমার বাচ্চা দরকার নাই, বাচ্চাটা তাকেই দিয়ে দাও, কারণ বাচ্চাটার সাথে তার ভালবাসার সম্পর্ক্। আর অন্যজন ভাবল, পেলে লাভ না পেলে লস, পেলে বাচ্চাটাকে দিয়ে কত কিছু করানো যাবে, বাসার কাজ করানো যাবে, ইচ্ছা করলে একটা প্লেট দিয়ে রাস্তায় বসিয়ে দিলেও প্রচুর ইনকাম, এমনকি বেঁচেও দেয়া যাবে।



এখন একটু ভাবুন, যদি দুইজনই নকল মা হত তাহলে কি কেউ কোন ছাড় দিত? ভাবত কেটে দিলে দিক, আমার কোন প্রবলেম নাই। যা পাই তা-ই লাভ। কিডনি, চোখ কত কিছু বেচা যাবে, মাংসগুলো বেচে দিমু পশুখাদ্য হিসেবে চিড়িয়াখানায় আর হাড়গুলো বেচে দিমু বোতাম বানানোর কারখানায় আর না হলে হাড়গুলি দিয়া ডুগডুগি বাজামু। যা পাই তা-ই লাভ।



যাই হোক, সেই কাজী কবর থেকে উঠে আসল এক আজব রাজ্য্ ভিজিটিংয়ে, এসে দেখে রাজ্য নিয়ে ব্যাপক গ্যাঞ্জাম চলছে ,এক রানি বলে সিংহাসন আমার চাই, অন্যজন বলে আমার চাই, পুরো রাজ্য আমার লাগবেই। তখন কাজী শুনে মুচকি হাসে, ভাবে এ আর এমনকি প্রবলেম, তার মাথায় তখন সেই বাচ্চা নিয়ে বিচারের ঘটনা মনে আসল।কাজী ভাবল এত বড় রাজ্য্ আর এতগুলো প্রজাকেতো কাটাকাটি করা যাবে না, তাহলে কমবেশি হলে আবার ঝগড়াঝাটি লাগাবে। তাই কাজী বলল, ঠিক আছে, দুইজনেরই যেহেতু রাজ্য লাগবে, তাহলে আগুন জ্বালিয়ে, ককটেল আর পেট্রোল বোমা মেরে প্রজা আর রাজ্যটাকে ছাই বানিয়ে দাড়িপাল্লা দিয়ে মেপে তোমাদের দুইজনকে সেই ছাই সমানভাগে ভাগ করে দেই।তখন একজন বলল, নাহ, এতে আমি নীল নকসা ও সূক্ষ কারচুপির গন্ধ পাচ্ছি, তাই মাপতে হবে ডিজিটাল মেশিনে।তখন কাজী বলল ঠিক আছে, তাই হবে। তখন দুইজনই বলল দেন, কোন সমস্যা নাই, কারণ স্বার্থের ব্যপারে দ্বিমত করে লাভ নাই, স্বার্থের ব্যাপারে আমরা দু্জনই এক । যা পাই তা-ই লাভ। সেই ছাই দিয়া আমি দাত মাজুম, হাড়ি পাতিল মাজুম নো প্রবলেম। আরেকজন বলে নাহ্, ছাই দিয়ে দাত মাজলে চার-ছয় মারা যাইব না, টিভির এ্যডে আমারে তামিম ভাই কইছে, আমি ছাইগুলো কোন কোম্পানির কাছে বেইচ্যা দিমু। তারা ভিম, হাড়পিকের মত ১০০ লেবুর শক্তি লাগাইয়া বেইচ্যা দিব, আর না হয় ছাইয়ের জুস বানাইয়া বেইচ্যা দিক, আমার কি। আর OLX তো আছেই, দেখেন না এ্যাডে যে বলে, এখানে সব বেঁচা যায়; আর bikroy.com এ যামু না, এখানে বিক্রয় কারলে আবার নাচতে হয়, সেই বয়স কি আর আছে। যাই হোক, আমার লাভ হইলেই হইল, প্রফিট ইজ দ্যা আলটিমেট সল্যুশন।



তখন কাজী ভাবে, ওমা, একি!! আমি বরং কবরে গিয়ে ঘুমাই, আর বিচার কইরা আমার কাম নাই। এই বুঝি ডিজিটাল যুগ আইসা পড়ছে। এই ঘটনা শুইন্যা কাজীর পাশের কবরের লোক একটেলের এ্যাডের ভাষায় কইল, আমি আগেই ক্ইছিলাম, ডিজিটাল যুগ আইব। এইখানে মায়া, মোহাব্বত, ইশক, পেয়ার বলে কিছু থাকব না।



মোড়াল: ভালবাসার সম্পর্ক্ না থাকলে ছাড় দেয়ার কোন ব্যাপার থাকেনা, আর ব্যবসায়িদের কাছে সব কিছু নিরাপদ নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাজী ভাবে, ওমা, একি!! আমি বরং কবরে গিয়ে ঘুমাই, আর বিচার কইরা আমার কাম নাই। এই বুঝি ডিজিটাল যুগ আইসা পড়ছে। এই ঘটনা শুইন্যা কাজীর পাশের কবরের লোক একটেলের এ্যাডের ভাষায় কইল, আমি আগেই ক্ইছিলাম, ডিজিটাল যুগ আইব।

+++

ভালাই কইছেন!

এইবার আরেকটু মিলায়া নেন দেখি কুনটা ন্যায় মুনে হয়!!

এক মা পুরাই ইন্ডি সিরিয়ালে মতো মূখে মদূ অন্তরে বিষ!! সবার সামনে আদর দেখায় সন্তানরে ময়লা সহ কুলে লয়... আবার আড়ালে পরের বাড়ির রাস্তা পরিস্কার করায়, হেন কাম নাই যা করায় না....অহন পুলার হইছে অসুখ.. ঘাও.. হেই মা খালি মুখে মিঠা কথা কয়! চিকিৎসা করে না।মলম লাগায় না..

আরেক মা পুরাই বাংলা বোকাই। যা বলে রাগের মাথা সামনাসামনি। দুম ধাম গরিব মায়েগো মতোই লাগায় দেয় পুলারে!! মগর পুলার ভালার লাইগা জান। পরের বাড়ির রাস্তা দূরে থাক-সীমানায়ও যাইতে দেয়না। সে পুলার অসুখ দেইখা তার সাধ্যমত চিকিৎসা শুরু করল।

তাতে বাহ্যত দেখা যাচ্ছে মলমের জ্বালায় পুলা চিক্কুর পারতেছে- কিন্তু আখেরে রোগমুক্তি
আর ঐ মিঠা কথা কওয়া মা- উপরে আদর ভাব দিয়া পুলাটারে মরার পথে নিতে চাইতেছে...

আপনি কারে ভাল কইবেন ;) ????????

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

শহীদ ভূইয়া বলেছেন: মা তার স্বমহিমায়ই সব চেয়ে সুন্দর, কোন কাল্পনিক বা নাটকীয় চরিত্রে মাকে খোজা অর্থহীন।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১

হিংস্র ঈগল বলেছেন: ফাটায়ে দিসেন বস। =p~ =p~ =p~

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শহীদ ভূইয়া বলেছেন: ফাটাইতে আর পারলাম কই। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.