![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
”রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা” - কাজী নজরুল ইসলাম। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। বর্তমানের কুৎসিত রাজনীতির বশবর্তী হয়ে কোন সংকীর্ণতাকে ঠাই দেয়া কোন শিক্ষিত লোকের উচিত নয়। কারণ এখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য জনসেবা নয়, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে কিভাবে নিজে বড় হওয়া যায় এটাই মূল উদ্দেশ্য। দয়া করে কোন দলের হয়ে অন্য দলের সাথে কামড়া-কামড়ি না করে, আসুন আমরা সকল ভালর পক্ষে এবং সকল মন্দের বিপক্ষে সোচ্চার হই। আমার লেখা পড়ে যদি আমাকে কোন রাজনৈতিক দলের মাতাদর্শী বা কোন দলে ফেলার চেষ্টা করেন, তাহলে বড় ভুল করবেন । আমি একজন দেশপ্রেমিক, দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি, ইংরেজীতে যাকে বলে JINGO. দেশের নামে কেউ মিথ্যা কিছু বললে মাথায় রক্ত উঠে যায়, তা সে যে-ই হোক । এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এই প্রাণের দেশ বাংলাদেশের গৌরব কোন দিন ভূলুন্ঠিত হবার নয়। শহীদ, বি.বি.এ, এম.বি.এ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এক মাতাল ব্রিজের উপর দিয়ে যাবার সময় নিচে পানিতে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে থমকে দঁড়ায়-
মাতাল :- এই যে ভাই, নিচে ওটা কি?
পথচারী :- ক্যান চাঁদ।
মাতাল :- কি ?------------ আমি এতো উপড়ে কি করে উঠলাম ??
এ থেকে বুঝা গেল যে, শুধু সংগ্রাম করলেই এতো উচুতে উঠা যায় না, পেটে কয়েক গ্লাস মাল পড়লে অনায়াসেই উচুতে উঠা যায়। ইদানিং সাবেক বিরোধী দলের ভবিষ্যৎ কর্ণধারের কিছু উক্তি থেকে প্রথম প্রেসিডেন্ট হওয়া বা কাউকে অবৈধ ঘোষণা করে নিজেরা উচুতে উঠার প্রয়াস সহজেই অনুমেয়। এক্ষেত্রে, এ নিয়ে অযথাই বাক্যব্যয় করার কোন মানে আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু এ নিয়ে সরকারী দল বা অন্য কোন রাজনৈতিক দল বাক্যব্যয় করে জাতীয় সংসদে প্রতি মিনিটে (প্রায় ৭৮ হাজার টাকা) দেশের জনগণের কষ্টের টাকা উড়ানোকে কোনক্রমেই সমর্থন করা যায়না। এছাড়া তেলযুক্ত বাক্যব্যয় করে প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াসও কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়া ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন দলের বিভিন্ন নেতার তীর্যক এবং অথর্ব বাক্য আমাদের আগের আমলের রাজা বাদশাদের আমলে তাদের সভায় শোভিত ভাড় (কৌতুক অভিনেতা যেমন, বীরবল বা গোপাল ভাড়) এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
দয়া করে নিজেদের সত্যিকারের পরিচয় তথা খোলসবিহীন পরিচয় দিতে গিয়ে আমাদের মত সাধারণ জনগণকে নিজেদের মত এতটা গোবরমন্ডিত মস্তিষ্ক ভাববেন না, প্রেস্টিজে খুব লাগে। আর যারা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা দিবেন তাদেরকেও এমন অথর্ব বা ফাউল ভাবতে নিজেদের খুব খারাপ লাগে। কথা না জানলে প্লিজ বলবেন না, মিডিয়ার কল্যাণে বা অকল্যাণে আপনাদের চরিত্র (রাজনীতিজীবীদের) তথা দেশকে যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা দিবেন তাদেরকে পুরো বিশ্বই চিনতে পারছে। আমাদের দেশকে মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করতে আপনাদের এসব কর্দমাক্ত বাক্যই যথেষ্ট, যা দেশের বাইরে আমদের অপরিনামদর্শী ও বর্বর হিসেবে খ্যাতি বা কুখ্যাতি এনে দিচ্ছে। এ দেশকে নিয়ে তামাশা করা অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?
তাই দয়া করে অযথা বাক্য ব্যয়ে আরো সচেতন হউন আর মুখে কথায় ঠেলাঠেলি করলে দ্রুত ফুলস্টপ ( . ) দিয়ে দিন , কারণ, মনে রাখবেন পুরো বাংলাদেশটা একটা রঙ্গমঞ্চ না।
©somewhere in net ltd.